প্রশ্নের মুখে স্টিমাচের স্ট্র্যাটেজি, বেলারুশের বিরুদ্ধে ছয় ডিফেন্ডার খেলিয়ে হতাশা উপহার মদ্রিচের দেশের কোচের
প্রশ্নের মুখে স্টিমাচের স্ট্র্যাটেজি, বেলারুশের বিরুদ্ধে ছয় ডিফেন্ডার খেলিয়ে হতাশা উপহার মদ্রিচের দেশের কোচের
প্রত্যাশা পূরণ করতে আবারও ব্যর্থ ইগর স্টিমাচের প্রশিক্ষাধীন ভারতীয় ফুটবল দল। বাহরিনের বিরুদ্ধে হারের পর দ্বিতীয় ফ্রেন্ডলি ম্যাচে ভারতরে পরাস্ত করল বেলারুশ। ভারতের বিরুদ্ধে খেলার ফল ৩-০। লাগাতার এই দুই ম্যাচের ফলাফল চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল আইএসএল ভারতের ফুটবলে আদতে কোনও পরিবর্তনই আনতে পারেনি।
বেলারুশের বিরুদ্ধে এই হারের ফলে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে ইগর স্টিমাচের দল গঠন টিম স্ট্র্যাটেজি নিয়েও। ভারতীয় দলের কোচ বেলারুশের বিরুদ্ধে ছয় ডিফেন্ডার নিয়ে শুরু করেছিল যা থেকে বোঝা যায় দলের মানসিকতা। ফিফা ক্রমতালিকায় ৯৫ নম্বরে থাকলেও এবং সেই দল ইউরোপীয় ফুটবলে খেললেও তাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালানোর মানসিকতা প্রয়োজন। কিন্তু একেবারে আক্রমণাত্মক খোলসে যখন গোটা দলকে মুরেফেলা হয় সেখান থেকে ড্র-এর বেশি কিছুই আশা করা যায় না। তবুও এই স্ট্র্যাটেজিতে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে গোলদূর্গ অক্ষত রাখাটাও বড় চ্যালেঞ্জ কারণ। রক্ষণশীল ফুটবল খেললে ক্রমাগত আগ্রমণের তেজ বাড়বে ডিফেন্সের উপর। যার কখনও না কখনও তা ভেঙে পড়তে বাধ্য। বেলারুপশের বিরুদ্ধেই সেই একই ঘটনাই ঘটল।
ভারত এই ম্যাচে দল সাজিয়ে ছিল ৫-৪-১ ফর্মেশনে, যা শুরুতেই প্রতিপক্ষ বেলবারুশকে জানান দিয়ে দেয় ভারতের অবস্থান এই ম্যাচকে কেন্দ্র করে। তাই আগে থেকেই নতজানু দলকে চেপে ধরতে সমস্যা হয়নি ইউরোপের দেশটির। গোটা ম্যাচে ৫৯ শতাংশ বলের দখল ছিল বেলারুশের দখলে। গোটা ম্যাচে পাঁচটি শট নিয়েছিল তারা যার মধ্যে চারটি ছিল অন টার্গেট এবং এরই মধ্যে তিনটি থেকে গোল হয়। অপর দিকে, আইমএসএল-এর সৌজন্যে ঘরোয়া ফুটবলে এক এক জন তারকা হয়ে ওঠা ভিপি সুহের, মনবীর সিং, অনিরুদ্ধ থাপাদের আদতে নীতা অম্বানির স্বপ্নের প্রোজেক্ট (আইএসএল) যে কোনও উন্নতি সাধান করতে পারেনি তা এই ম্যাচ থেকে আরও একবার প্রমাণিত হল।
বাহরিনের পর এ দিনের ম্যাচও ভাল পারফর্ম করতে পারেনি ভারতের ডিফেন্স এবং এর জন্য অন্যতম দায়ী সন্দেশ ঝিংঘান। ওভার রেটেড সেন্ট্রাল ডিফেন্ডারের কিছু কিছু ভুলই এ দিন ডোবাল দলকে।
অন্য দিকে, ভাকতীয় যে সুযোগ পায়নি তেমনটা নয়, প্রতি আক্রমণ নির্ভর ফুটবল খেলে মনবীররা আক্রমণ কুলে আনার চেষ্টা করছিলেন, কিন্তু দক্ষতার অভাব এবং বেলারুশের মাঝমাঠ ও ডিফেন্স দাঁত ফোটাতে দেয়নি ভারতকে।