আইলিগ ২০১৮-১৯, জেনে নিন এবারের সেরা ১০ বিদেশী ফুটবলার সম্পর্কে
জেনে নিন আইলিগ ২০১৮-১৯ মরসুমের সেরা ১০ বিদেশী সম্পর্কে।
আগামী ২৬অক্টোবর থেকে শুরু হতে চলেছে আই লিগ। প্রতি দল স্কোয়াডে সর্বাধিক ৬ জন করে বিদেশী খেলোয়াড়কে নথিভুক্ত করতে পারবে। কিন্তু, মাঠে নামতে পারবেন ৫ জন বিদেশী।
সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের ডেভেলপমেন্টাল দল ইন্ডিয়ান অ্য়ারোজের দলে কোনও বিদেশী থাকার সম্ভাবনা নেই। কিন্তু এবার আইলিগে স্পনসরের অভাবে আরও একটি দল কোনও বিদেশী ছাড়াই স্থানীয় খেলোয়াড়দের নিয়েই দল গড়েছে। তারা হল লাজং এফসি। তবে আইএসএল-এর পাশাপাশি আইলিগেও কিন্তু ভালমানের বিদেশীর অভাব নেই। আইলিগের সূচনার আগে মাইখেল বেঙ্গলি এবারের আইলিগের সেরা দশ বিদেশীকে বেছে নিল।
শাহিদ-মীরা
বিয়ের পরই ক্যামেরার সামনে এসে দাঁড়ান শাহিদ কাপুর ও মীরা রাজপুত।
আলফ্রেড জারিয়ান -আইজল এফসি
এই নিয়ে পরপর ৪ মরশুম আইজল এফসির হয়ে খেলবেন জারিয়ান। দুবছর আগে যেইবার আইজল আইলিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল, এই জারিয়ানই সেরা মিডফিল্ডার মনোনীত হয়েছিলেন।
মীরা-শাহিদ
সাদা শেরওয়ানিতে দুরন্ত শাহিদ, পাশে গোলাপি লেহেঙ্গাতে অসাধারণ মানিয়েছে মীরাকে।
কাতসুমি উসা - নেরোকা এফসি
'জাপানি বোমা' কাতসুমি প্রথম আইলিগ খেলেন ২০১১ সালে। এই বছর তিনি যোগ দিয়েছেন গতবারের রানার-আপ নেরোকা এফসি-তে। ওএনজিসিতে শুরু করে, তারপর আইএসএল-এর ক্লাব নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি ও কলকাতার দুই বড় ক্লাব মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলে খেলে এই বার তিনি পঞ্চম ভারতীয় ক্লাবে খেলবেন।
বিয়ের ছবি
সোমবার সকালে বিয়ের জন্য মুম্বই থেকে দিল্লি আসেন শাহিদ। এদিন বিয়ে সেরে আগামিকাল মুম্বই উড়ে যাবেন তিনি।
পেদ্রো মানজি - চেন্নাই সিটি এফসি
এই স্প্যানিশ উরুগুয়ান স্ট্রাইকার এই বছরই তৃতীয় ডিভিশনের স্প্যানিশ ক্লাব এল ওসপিতালেত থেকে এসেছেন ভারতে খেলতে। গত মরশুমে তিনি ১৭ গোল করে ক্লাবকে পরেরে ডিভিশনে ওঠার প্লেঅফ অবধি নিয়ে গিয়েছিলেন। এই বছর চেন্নাই সিটিতে সিঙ্গাপুরি হেড কোচ আকবর নওয়াস ও স্পেনিয় টিডি জোর্দি ভিলার অধিনে তিনি জ্বলে উঠতে পারেন।
শাহিদ-মীরা
বিয়ের ঠিক পরেই তোলা এই ছবি। গলায় হলুদ গোলাপের মালা পরে রয়েছেন নবদম্পতি।
হেনরি কিসেকা - মোহন বাগান
গত শীতে তাঁকে সই করিয়েছিল গোকুলাম এফসি। ৪টি গুরুত্বপূর্ণ গোল করে তিনি দলের অধঃপতন আটকেছিলেন। এই বছর এই উগান্ডান যোগ দিয়েছেন কলকাতার বড় ক্লাব মোহন বাগানে। কলকাতা লিগেই তিনি আসের দিপান্দার পাশে ভাল মানিয়ে নিয়েছেন। ৬টি গোলও করেছেন।
বিয়ের আসরে
এদিন সকালে একেবারে পাঞ্জাবি মতে বিয়ে হয়েছে শাহিদ-মীরার।
ইউ কুবোকি - মিনার্ভা পঞ্জাব
চেঞ্চোর বদলি হিসেবে এই জাপানি ফরোয়ার্ডকে নিয়ে এসেছে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। তিনি খেলতেন অস্ট্রেলিয়ার সিডনি অলিম্পিক এফসিতে। গত মরশুমে ২২ ম্যাচে ১১টি গোল করেছএন তিনি। এই বছর মিনার্ভার আক্রমণের প্রধান মুখ তিনিই।
বিয়ের আসরে
সকালে বিয়ের সময়ে পাশাপাশি শাহিদ-মীরা। এদিন সন্ধ্যা ৭ টা থেকে আমন্ত্রিতদের আগমণ হবে বলে জানা গিয়েছে।
ভার্নে কালোন - নেরোকা এফসি
গত মরশুমে আইলিগের সেরা ডিফেন্ডার হয়েছিলেন এই লাইবেরিয়ান ফুটবলারটি। ২০১৭-১৮'তে প্রথমবার আইলিগ খেলতে এসেই প্রায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার খুব কাছাকাছি চলে গিয়েছিল ইম্ফলের দলটি। এইবার যদি সেই পারফরম্যান্সের পুনরাবৃ্ত্তি করার অনেকটাই নির্ভর করছে ভার্নে কালোনের ভাল খেলার উপর।
আসের দিপান্দা - মোহনবাগান
গত দুই মরসুম ধরে তিনিই আইলিগের সোনার বুট বিজয়ী। ক্যামেরুনের এই স্ট্রাইকার এইবার কলকাতা লিগেও ১০ গোল করেছেন। তাঁর ধারাবাহিকভাবে গোল করে যাওয়ার দক্ষতার জন্যই তিনি বিপক্ষের রক্ষণভাগের জন্য সবসময়ই বিপজ্জনক।
জনি অ্যাকোস্টা
২০১৮ সালের বিশ্বকাপেই তিনি নেইমার কুটিনহোদের সামলেছেন। সেই কোস্টারিকান ডিফেন্ডারই এবার আইলিগে আস্টবেঙ্গলের রক্ষণ সামলাবেন। কোয়েস কর্পের সঙ্গে চুক্তির অ্যাকোস্টাই ছিলেন ইস্টবেঙ্গেলের প্রথম বড় সাইনিং।
এনরিকে এসকেদা
২০০৫ সালে তিনি মেক্সিকোর হয়ে অনুর্ধ ১৭ বিশ্বকাপ জিতেছিলেন। পরে সিনিয়রদলের আক্রমণভাগেও খেলেছেন। তাঁকেই পোল্যান্ডের ক্লাব থেকে দলে নিয়ে এসেছে ইস্টবেঙ্গল। মালয়েশিয়ার প্রাকমরশুম ম্যাচে কিন্তু মালয়েশিয়া সুপার লিগের দলের বিরুদ্ধে তাঁকে ইচ্ছামতো গেল করতে দেখা গিয়েছে। জাতীয় লিগ আইলিগ হয়ে যাওয়ার পর আর ট্রফি জেতেনি ইস্টবেঙ্গল এইবার এস্কেদা যদি ফর্মে থাকেন, তাহলে সেি অধরা ট্রফির স্বপ্ন দেখতেই পারে ইস্টবেঙ্গল।
সনি নর্ডে
২০১৫ সালে মোহনবাগানকে তাদের প্রথম আইলিগ ট্রফি দিয়েছিলেন সনি। হাইতিয়ান ফুটবলারটি পঞ্চমবারের জন্য মেরিনার্সদের হাল ধরার জন্য এসে গিয়েছেন। গত জডিসেম্বরে চোট পেয়ে বাকি মরশুম তিনি খেলতে পারেননি। এইবার নিশ্চয়ইউ তাঁর প্রাণপ্রিয় সমর্থকদের সুদে আসলে সেই ক্ষতি মিটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন বাগান সমর্থকদের নয়নের মনি সনি নর্ডে।