স্মরণীয় হল না মেহতাবের বিদায়! বাগানকে উড়িয়ে, তাঁকে নিয়ে লোফালুফি করল অ্যারোজের তরুণ তুর্কিরা
২১ বছর ময়দানে খেলার পর অবশেষে ফুটবল বুট জোড়া তুলে রাখলেন মেহতাব। ২০৩ সালে প্রথম যে বড় ক্লাবের জার্সি গায়ে চাপিয়েছিলেন সেই মোহনবাগানের জার্সিতেই শেষ করলেন ফুটবল-জীবন। কিন্তু তাঁর বিদায়ী ম্য়াচটা মোটেই স্মরণীয় হয়ে থাকল না তাঁর জন্য। ইন্ডিয়ান অ্যারোজের তরুণ ফুটবলাররাও ঘরের মাঠে সবুজ-মেরুনকে ১-৩ গোলে পরাজিত করল।

বুধবার অনুশীলন শেষে বাগানের সব ফুটবলাররা বুট তুলে ময়দানের 'মিডফিল্ড জেনারেল'কে অভিনব সংবর্ধনা দিয়েছিলেন। কিন্তু খেলায় সেই অভিনবত্ব দেখাতে পারলেন না তাঁরা। বরং চমকে দেওয়া ফুটবল খেলল অ্যারোজ। ফলে বিদায়বেলায় এদিনের মোহনবাগান অধিনায়ককে দলের পরাজয়ের সাক্ষী থাকতে হল।
এদিন অবশ্য গোলের খাতা প্রথম খুলেছিল বাগানই। ১৭ মিনিটের মাথায় গোল করেন আজহারউদ্দিন মল্লিক। সোনি নর্ডে অ্যারোজ বক্সে নিচু ক্রস ভাসিয়েছিলেন। আনোয়ার আলি ও আশীষ রাইয়ের গায়ে লেগে সুযোগ এয়েছিল আজহারের সামনে। কোনও ভুল করেননি তিনি।
প্রথমার্ধেই অবশ্য সেই গোল শোদ করে দেয় অ্যারোজ। রাহুল কেপি-কে অযথা ফাউল করে একটি ফ্রিকিক উপহার দেন অরিজিত বাগুই। আনোয়ার আলির শটটি প্রতিহত করেন বাগান গোলরক্ষক কার্ডোজো। কিন্তু ফিরতি বলে গোল করেন অভিজিত সরকার (২৮')। ১-১ ফলেই শে, হয় প্রথমার্ধের খেলা।
এরপর দ্বিতীয়ার্ধে ৭৯ মিনিটে অ্যারোজের হ.য়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন রাহুল কেপি। অমরজিৎ সিং-এর থেকে বল পেয়ে অনেকটা উপরে উঠে গিয়েছিলেন অ্যারোজ ফুলব্যাক বরিস সিং। তারপর বক্সের মধ্যে ফাঁকায় বল বাড়ান রাহুলকে।
তবে ম্যাচের সবচেয়ে দর্শনীয় গোলটি আসে একেবারে ইনজুরি টাইমে। একটি বল ক্লিয়ার করার জন্য বক্সের বাইরে উঠে গিয়েছিলেন বাগান গোলরক্ষক কার্ডোজো। তাঁর হেড এসে পড়ে অ্যারোজের রোহিত দানুর পায়ে। ৪০ গজ দূর থেকে দুরন্ত ভলিতে ফাঁকা গোলে বল ঢোকান তিনি।
ম্য়াচের পর মেহতাবকে ঘিরে আনন্দে মাতলেন অ্যারোজের ফুটবলাররা। মাঠের মধ্যে তাঁকে শূন্যে ছুঁড়ে লোফালুফিও করলেন। তুললেন তাঁর সঙ্গে গ্রুপ ছবি। তাঁর দল না জিততে পারলেও ভারতীয় ফুটবলের এই ভবিষ্যতদের দেখে নিশ্চিন্ত হতে পারেন মেহতাব। সবুজ মেরুনের গোলও তো এল এক তরুণের পা থেকেই।