আইএসএল সেমিফাইনালের প্রথম লেগে এগিয়ে থেকেও পরাস্ত এটিকে মোহনবাগান, অ্যাডভান্টেজ হায়দরাবাদ
আইএসএলের দ্বিতীয় সেমিফাইনালের প্রথম লেগে পিছিয়ে পড়েও এটিকে মোহনবাগানকে ৩-১ গোলে হারাল হায়দরাবাদ এফসি। ১৮ মিনিটে বাগানকে এগিয়ে দিয়েছিলেন রয় কৃষ্ণ, ওগবেচের গোল শোধে বিরতিতে ফল ছিল ১-১। দ্বিতীয়ার্ধে মহম্মদ ইয়াসির ও হাভিয়ের সিভেরিওর গোলে ব্যবধান বাড়িয়ে ফাইনালের দিকে এক পা বাড়াল হায়দরাবাদ এফসি।
এদিনের প্রথম ৪৫ মিনিটে হায়দরাবাদ এফসিকে ভালোভাবেই সামাল দিচ্ছিলেন এটিকে মোহনবাগানের রক্ষণভাগের খেলোয়াড়রা। এমনকী গোলকিপার অমরিন্দর সিংকে কোনও চ্যালেঞ্জের মুখেই ফেলতে পারেনি নিজামের শহর। বরং আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে ভালো কয়েকটি সুযোগ তৈরি করেছিল এটিকে মোহনবাগান। অন্তত মিনিট ২৫ দাপট নিয়েই খেলে তারা। কাউকো গোলকিপার কাট্টিমণির দক্ষতার কাছে হার মানেন, একা পেয়েও বল জালে জড়াতে পারেননি। ১৮ মিনিটে লিস্টন কোলাসোর মাপা অথচ নীচু ক্রস থেকে গোল করে এটিকে মোহনবাগানকে এগিয়ে দিয়েছিলেন রয় কৃষ্ণ। বিরতির ঠিক আগে কর্নার পায় হায়দরাবাদ এফসি। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে বাগান রক্ষণের ভুলকে কাজে লাগিয়ে গোল করে সমতা ফেরান বার্থোলোমিও ওগবেচে। বাগান রক্ষণের এই ভুলটাই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট হয়ে গেল। এই গোলটি চলতি আইএসএলে ওগবেচের ১৮তম গোল। কোনও আইএসএলে সর্বাধিক গোলের নিরিখে তিনি স্পর্শ করলেন কোরোর রেকর্ড।
দ্বিতীয়ার্ধে হায়দরাবাদ এফসিকে ৫৮ মিনিটের মাথায় এগিয়ে দেন মহম্মদ ইয়াসির। এই গোলটির পিছনেও অবদান রয়েছে ওগবেচের। মাঝমাঠ থেকে ভালো সুযোগটি তৈরি করেছিলেন তিনি, বাগানের তিরি ও সন্দেশ বল দখলের লড়াইয়ে ব্যর্থ হন। সেই সুযোগ হাতছাড়া না করে হায়দরাবাদকে এগিয়ে দেন ইয়াসির। এরপরই তিরিকে তুলে হুগো বুমৌসকে নামান বাগান কোচ ফেরান্দো। কিন্তু ৬৪ মিনিটে হায়দরাবাদ এফসির তৃতীয় গোলটি এটিকে মোহনবাগানের সমস্যা আরও বাড়িয়ে দেয়। ইয়াসিরের নেওয়া কর্নারে মাথা ছুঁইয়ে গোল করেন সিভেরিও। এরপর বাগানের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ হতাশ করে ভক্তদের। শেষদিকে কিছুটা মরিয়া প্রয়াস চালায় সবুজ মেরুন। কিগান নাসিরির একটি শট পোস্টে লেগে ফিরেও আসে।
চলতি আইএসএলে এটিকে মোহনবাগানকে এই প্রথম হারাল হায়দরাবাদ এফসি। প্রথম সাক্ষাতটি ২-২ গোলে শেষ হয়েছিল। দ্বিতীয় সাক্ষাতে এটিকে মোহনবাগান জিতেছিল ২-১ গোলে। ১৬ মার্চ সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে এটিকে মোহনবাগান ৩-০ গোলে জিতলে পৌঁছাতে পারবে ফাইনালে, যদিও কাজটি বেশ কঠিন। ২-০ গোল করলে অতিরিক্ত সময়ের খেলা হবে বা পেনাল্টি শ্যুটআউট হবে। আজ কয়েকটি পরিবর্তন এবং অমরিন্দরের খারাপ গোলকিপিংয়েই আইএসএল থেকে বাগানের ছিটকে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি করল।