এই কারণগুলিই শেষ করল মোহনবাগানের 'সুপার' জয় স্বপ্ন
মিকু একাই শেষ করে দেয় বাগানকে। তবে এখানে ডিফেন্সের পাশাপাশি কিছুটা হলেও দোষী কিনোওয়াকি-কদমদের মাঝমাঠ। মাঝমাঠে এ দিন কোনও প্রতিরোধই প্রায় গড়ে তুলতে পারেনি মোহনবাগান।
বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে ৪-২ গোলে হেরে সুপার কাপ অভিযান শেষ করেছে মোহনবাগান। মেগা সেমিফাইনালে প্রথমার্ধে ১ গোলে এগিয়ে থেকেও কেন হারতে হল বাগানকে। কেন বেঙ্গালুরু এফসি ১০ জনে হয় যাওয়ার পরও লিড ধরে রাখতে পারল না দল। সেই কারণগুলি বিশ্লেষণ করা হল এই প্রতিবেদনে।
[আরও পড়ুন: মিকু সাইক্লোনে মহানদীর তীরে সলিল সমাধি পালতোলা নৌকার]
এ দিন ম্যাচের শুরু থেকে সবুজ-মেরুনের আক্রমণ এবং মাঝমাঠের ফুটবলারদের ছন্দে দেখা গেলেও পরিচিত ছন্দে ছিল না কিংশুক-কিঙ্গসলেদের ডিফেন্সের। যার প্রমান ম্যাচের ৭ মিনিটের মধ্যেই বেঙ্গালুরুর হরমনজৎ খাবরার সহজ সুযোগ নষ্ট করেন। এই প্রথম নয়, এর পরেও অনেক বার বিপদ তৈরির মতো জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিল বেঙ্গালুরুর দলটি। কিন্তু দলের ব্যর্থতায় সেই সুযোগ কাজে লাগেনি। প্রথমার্ধের এই ছবিটা থেকেই পরিষ্কার কতটা রংহীন ছিলেন কিঙ্গসলেরা।
প্রথমার্ধে কোনও ক্রমে সুনীল ছেত্রীর দলকে আটকে রাখতে পারলেও দ্বিতীয়ার্ধে গার্ডেন সিটির দলটির বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারেনি কিংশুকের দল।
মিকু একাই শেষ করে দেয় বাগানকে। তবে এখানে ডিফেন্সের পাশাপাশি কিছুটা হলেও দোষী কিনোওয়াকি-কদমদের মাঝমাঠ। মাঝমাঠে এ দিন কোনও প্রতিরোধই প্রায় গড়ে তুলতে পারেনি মোহনবাগান। ফলে হুড়মুড়ি আক্রমণের পর আক্রমণ আছড়ে পড়ছিল মোহন রক্ষণদূর্গে। পাশাপাশি আক্রমণের ফুটবলারদেরও অফ কালার দেখায় দ্বিতীয়ার্ধে। ডিকা ছাড়া কোনও আক্রমণ ভাবের ফুটবলারই ত্রাস হয়ে উঠতে পারছিলেন না গুরপ্রতী সিংহ সাঁধুদের কাছে। জামাই আদোর করে আনা আক্রম মোগরাভিকেও খুঁজে পাওয়া গেল না সে ভাবে।
অপর দিকে মোহনবাগানের অন্যতম ভরসা শিল্টন পালও ছিলেন না নিজের পরিচিত ছন্দে। সব মিলিয়ে এই দিনের ম্যাচে দ্বিতীয়ার্ধে বাগানের পুরো দলটাই যেন থমকে পড়ে। সুপার কাপে খেলা অন্যন্য় ম্যাচগুলির ৭০ শতাংশও যদি এ দিন খেলতে পারত মোহনবাগান তা হলে, ফাইনালে ডার্বির স্বাদ নিতেই পারতেন ফুটবলপ্রেমীরা।