ফিরে দেখা Pele: এক নজরে ফুটবল সম্রাটের সাফল্যের খতিয়ান
ফিরে দেখা Pele: এক নজরে ফুটবল সম্রাটের সাফল্যের খতিয়ান
ফুটবল বিশ্ব হারাল সম্ভবত সর্বকালের শ্রেষ্ঠ ফুটবলারকে। ৮২ বছর বয়সে দীর্ঘ রোগ ভোগের পর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন পেলে। তাঁর মৃত্যু সংবাদ পাওয়া যায় মেয়ে কেলি ক্রিস্টিনা নাসিমেন্টোর ইনস্টাগ্রাম পোস্ট থেকে। পাঁচ, ছয় এবং সাতের দশকে তিনি বিশ্ব ফুটবলকে বুঁদ করে রেখেছিলেন নিজের দক্ষতা এবং পায়ের জাদুতে। ব্রাজিলের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ী দলের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলারটির নাম ছিল পেলে। ১৯৫৮ সালে জাতীয় দলের জার্সিতে বিশ্বকাপ জেতার পাশাপাশি ১৯৬২ এবং ১৯৭০ সালেও বিশ্বকাপ জেতেন তিনি। ১৯৫৮ সালের বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে টিনেজার পেলে হ্যাটট্রিক করেন এবং ফাইনালে সুইডেনের বিরুদ্ধে জোড়া গোল করেন তিনি। ১৯৭৪ সালে আমেরিকার ক্লাব নিউ ইয়র্ক কসমসের হয়ে খেলতে গেলেও বলতে গেলে পুরো কেরিয়ারটা পেলে খেলেছেন স্যান্টোসেই। 'ও রেই' নামের একই রকম পরিচিত পেলে।
ব্রাজিলের জার্সিতে পারফরম্যান্স:
ব্রাজিলের হয়ে তিনটি বিশ্বকাপ জয়ী জিতেছেন পেলে (১৯৫৮, ১৯৬২ এবং ১৯৭০)। ১৯৫৮ সালের বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে টিনেজার পেলে হ্যাটট্রিক করেন এবং ফাইনালে সুইডেনের বিরুদ্ধে জোড়া গোল করেন তিনি। এছাড়া দেশের হয়ে ১৯৬০ সালে জিতেছেন টেকা দো আটলান্টিকো। ১৯৫৭ এবং ১৯৬৩ সালে জিতেছেন রোকা কাপ। ১৯৫৮, ১৯৬২ এবং ১৯৬৮ সালে জিতেছেন টেকা ওসওয়ালদো ক্রুজ। ১৯৫৯ সালে জেতেন কোপা বার্নাডো ও'হিগিনস। দেশের হয়ে ১৯৫৭ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত ৯২ ম্যাচে ৭৭টি গোল করেন পেলে।
স্যান্টোসের হয়ে সাফল্য:
স্যান্টোসেরহয়ে দশ বার জিতেছেন কাম্পিয়োনাতো পাউলিস্তা (১৯৫৮, ১৯৬০, ১৯৬১, ১৯৬২, ১৯৬৪, ১৯৬৫, ১৯৬৭, ১৯৬৮, ১৯৬৯, ১৯৭৩)। ব্রাজিলেইরো সিরিয়া এ জিতেছেন ৬ বার (১৯৬১, ১৯৬২, ১৯৬৩, ১৯৬৪, ১৯৬৫, ১৯৬৮)। ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ জিতেছেন১৯৬২ এবং ১৯৬৩ সালে। কোপা লিবার্টাডোরেসজিতেছেন১৯৬২ এবং ১৯৬৩ সালে। ইন্টারকন্টিনেন্টাল সুপার কাপ জিতেছেন১৯৬৮ সালে। টরনিও রিও- সাও পাওলো জিতেছেন১৯৫৯, ১৯৬৩, ১৯৬৪ এবং ১৯৬৬ সালে।
নিউ ইয়র্ক কসমসের হয়ে সাফল্য:
নিউ ইয়র্ক কসমসের হয়ে ১৯৭৭ সালে জেতেন নর্থ আমেরিকান সকার লিগ এবং সকার বোল এবং অ্যাটলান্টিক কনফারেন্স চ্যাম্পিয়নশিপ। ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৭ দুই মরসুম কসমসের হয়ে খেলেছেন পেলে।
ব্যক্তিগত সম্মান:
স্যান্টোসের হয়ে ১১ বার কাম্পিয়োনাতো পাউলিস্তা সর্বোচ্চ গোলদাতার শিরোপা জেতেন পেলে। ১৯৫৮ সালে ফিফার বিচারে সেরা তরুণ ফুটবলারের পুরস্কার জেতেন তিনি। এই বিশ্বকাপেই তিনি জেতেন সিলভার বল। ফিফ ফুটবল অলস্টার ওয়ার্ল্ড কাপ টিম (১৯৫৮ এবং ১৯৭০)। ১৯৫৯ সালে কোপা আমেরিকার সর্বোচ্চ গোলদাতা এবং সেরা খেলোয়াড় হন তিনি। ১৯৫৯ সালে সাউথ আমেরিকান চ্যাম্পিয়নশিপের সেরা ফুটবলার নির্বাচিত হন এবং সর্বাধিক গোলদাতার পুরস্কার পান পেলে। ১৯৬১, ১৯৬৩ এবং ১৯৬৪ ব্রাজিলেইরো সিরিয়া এ-এর সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন পেলেন। তিনি অবসর নেওয়ার পর ১৯৭৭ সালে নিউ ইয়র্ক কসমস ১০ নম্বর জার্সিকে অবসর দেয়। পেলের পর আর কেউ এই জার্সি পরেননি। ১৯৭৩ সালে নির্বাচিত হন লাতিন আমেরিকার সেরা ফুটবলার হিসেবে। এনএএসএল মোস্ট ভ্যালুয়েবল ফুটবলার নির্বাচিত হন ১৯৭৬ সালে। ১৯৯৪ সাল থেকে ফিফার অল স্টার দলের সদস্য পেলে। বিংশ শতকের ওয়ার্ল্ড কাপ দলের সদস্য পেলে। আইএফএফএইচএস-এর মতে বিংশ শতকের সেরা ফুটবলার। ফিফার বিচারে বিংশ শতকের সেরা ফুটবলার। আন্তর্জাতিক ফুটবল হল অফ ফেম। ১৯৮৪ সালে তাঁকে সম্মানিত করা হয় ফিফা অর্ডর অব মেরিট দিয়ে। এটিই ফিফার সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সম্মান। ১৯৭৮ সালে পান ইন্টারন্যাশনাল পিস অ্যাওয়ার্ড। ২০১৩ সালে সাম্মানিক ব্যালন ডি'ওর পান পেলে। ২০২০ সালে ব্যালন ডি"ওর-এর প্রকাশিত ড্রিম টিমে জায়গা পান তিনি।
পেলে-মারাদোনার মধ্যে কে সেরা? কী বলেছিলেন ফুটবল রাজপুত্র দিয়েগো