কাতারে ফিফা বিশ্বকাপের আসরে কীভাবে বাইজু'স পৌঁছে দিল ভারতকে?
ভারতের এডটেক (EdTech) সংস্থা বাইজু'স কাতারে অনুষ্ঠেয় ফিফা বিশ্বকাপের অফিসিয়াল স্পনসর হলো। প্রথম কোনও ভারতীয় সংস্থা হিসেবে। বিসিসিআইয়ের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ বাইজু'স, ভারতীয় দলের ক্রিকেটারদের জার্সিতে থাকে সংস্থার লোগো। এবার বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে বড় মঞ্চ বিশ্বকাপেও উজ্জ্বল উপস্থিতি থাকবে ভারতের এই সংস্থার। ২১ নভেম্বর থেকে ১৮ ডিসেম্বর অবধি কাতারে বসছে বিশ্বকাপের আসর।
(ছবি- ফিফা)
বাইজু'সের মাধ্যমে শিক্ষাদানের প্রক্রিয়ায় যুক্ত বিশ্বের ১৫০ মিলিয়ন পড়ুয়া। বেঙ্গালুরুতে সংস্থার হেড অফিস রয়েছে। এ ছাড়া ২১টি দেশেও তাদের অফিস রয়েছে। দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠা এডটেক সংস্থা বাইজু'সকে কাতারে বিশ্বকাপের অফিসিয়াল স্পনসর হিসেবে আজ ঘোষণা করেছে ফিফা। খেলাধুলোর মধ্যে দিয়ে সংস্থার জনপ্রিয়তা ও ব্যাপ্তি নিশ্চিতভাবেই আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। বাইজু'স বিশ্বজুড়ে বিশ্বকাপের প্রচার চালাবে, থাকবে শিক্ষামূলক বার্তা সমন্বিত ক্রিয়েটিভ কনটেন্ট।
We are delighted to announce that BYJU’S would represent India at the biggest stage as an Official Sponsor of the FIFA World Cup Qatar 2022™️.
— BYJU'S (@BYJUS) March 24, 2022
This would make BYJU’S the first EdTech brand to sponsor this prestigious event globally.
Stay tuned for more updates! #FIFAWorldCup pic.twitter.com/4M9cfHT5AN
ফিফার চিফ কমার্শিয়াল অফিসার কে মাডাটি ফিফার সঙ্গে বাইজু'সের যৌথ উদ্যোগে বিশ্বকাপকে সাফল্যমণ্ডিত করে তোলার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী। সংস্থার শিক্ষামূলক পরিকাঠামোর প্রোমোশনে ফিফাও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে। শিক্ষাপ্রদানকারী সংস্থার সঙ্গে হাত মেলানোয় ফুটবলের মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটানোর লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে বলে মনে করছে ফিফা।
সম্প্রতি আইসিসির সঙ্গেও চুক্তি সম্পাদন হয়েছে বাইজু'সের। এবার ফিফার সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন করায় ফিফা কাতার বিশ্বকাপের চিহ্ন, প্রতীক ও সম্পত্তির উপরও অধিকার রইল ভারতীয় সংস্থাটির। সংস্থার কর্ণধার তথা সিইও বাইজু রবীন্দ্রন বলেছেন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় সিঙ্গল-স্পোর্ট ইভেন্টের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আমরা রীতিমতো উত্তেজিত। বিশ্ব ফুটবলের এমন আন্তর্জাতিক আসরে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করতে পারছি বলেও আমরা গৌরবান্বিত। শিক্ষার সঙ্গে খেলাধুলোর মেলবন্ধন নিশ্চিতভাবেই আরও সুদৃঢ় হওয়াতেই খুশি সংস্থার কর্ণধার। তিনি আরও বলেন, খেলাধুলো আমাদের জীবনের অঙ্গ, মানুষকে একজোট করার অন্যতম হাতিয়ার। ফুটবল যেমন কোটি কোটি মানুষকে অনুপ্রাণিত করে, তেমনই এই চুক্তির ফলে প্রতিটি শিশুর জীবনে শিক্ষার আলো পৌঁছে দেওয়ার যে লক্ষ্য নিয়ে বাইজু'স এগোচ্ছে, তা আরও ত্বরান্বিত হবে।