ফুটবলপ্রেমী হলে ফিফা বিশ্বকাপ নিয়ে এই অজানা তথ্যগুলি জানতেই হবে
ফুটবলের সবচেয়ে বড় ইভেন্ট নিয়ে নানা অজানা তথ্য জেনে নিন একনজরে।
ব্রাজিল বিশ্বকাপের পর রাশিয়া বিশ্বকাপের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে চার বছর। অবশেষে সম্মুখ সমরে ৩২টি দেশ। এর মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। সাম্বার ছন্দে সকলকে মাতিয়ে দিতে তৈরি কুটিনহো, পাওলিনহো, নেইমাররা। তবে শুধু ব্রাজিল নয়, ইউরোপের দেশ জার্মানি, স্পেন, পর্তুগাল এমনকী দক্ষিণ আমেরিকার দেশ আর্জেন্তিনাও কাপ জেতার অন্যতম দাবিদার। ফুটবলের সবচেয়ে বড় ইভেন্ট নিয়ে নানা অজানা তথ্য জেনে নিন একনজরে।
পূর্ব ইউরোপে বিশ্বকাপের আসর
এই প্রথমবার শুধু রাশিয়ায় ফুটবল বিশ্বকাপ বসছে তা নয়। এই প্রথমবার পূর্ব ইউরোপে বিশ্বকাপের আসর বসছে যা আগে কোনওদিন হয়নি। বস্তুত আয়তনের দিক থেকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দেশে এবার বিশ্বকাপের আসর বসছে।
দুই মহাদেশে বিশ্বকাপ
২০০২ বিশ্বকাপে প্রথমবার দুটি আলাদা দেশ একসঙ্গে বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল। দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান। এবার রাশিয়া একা বিশ্বকাপের দায়িত্বে থাকলেও রাশিয়া যেহেতু দুটি আলাদা মহাদেশ ইউরোপ ও এশিয়ায় অবস্থিত তাই বলা যায় এবছর দুটি মহাদেশে একসঙ্গে বিশ্বকাপ হচ্ছে।
বিশ্বকাপের ম্যাসকট
বিশ্বকাপের ম্যাসকট একটি নেকড়ে। নাম জাবিভাকা। সেটি ডিজাইন করেছে একাতেরিনা বোকারোভা নামে এক পড়ুয়া। ১৯৬৬ সালে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাসকট হয়। নাম ছিল উইলি। তারপর থেকে ১২টি সংষ্করণে ম্যাসকটের ব্যবহার হয়েছে।
সুবিশাল দেশ রাশিয়া
রাশিয়ার পূর্বপ্রান্তের শহর একাতেরিনবার্গে যেমন খেলা হবে, তেমনই পশ্চিমপ্রান্তের শহর কালিনিনগ্রাদেও খেলা হবে। দুই শহরের মাঝের দূরত্ব ২৪১৫ কিমি। যা মস্কো থেকে লন্ডনের দূরত্বের সমান।
মস্কোয় ম্যাকডোনাল্ডস
ফিফা বিশ্বকাপের অফিসিয়াল স্পনসর ম্যাকডোনাল্ডস। ১৯৯০ সালে অবিভক্ত রাশিয়ার মস্কোয় এটির পথ চলা শুরু হয়েছিল। সেই শাখাটি বর্তমানেও রমরমিয়ে চলছে।
কোন দেশ জিতবে কাপ
আগে ২০বার বিশ্বকাপের আসর বসেছে বিভিন্ন দেশে। তার মধ্যে ১১ বার কোনও ইউরোপের দেশ ও ৯ বার কোনও দক্ষিণ আমেরিকার বিশ্বকাপ জিতেছে। এবার কি এই দুই মহাদেশের বাইরের কোনও দল কাপ জিতবে, উত্তরটা সময়ই দেবে।
ব্রাজিল বিশ্বকাপে রেকর্ড
১৯৩০ সালে উরুগুয়ে ফুটবল বিশ্বকাপের সময় তেমন উন্মাদনা ছিল না। তবে যত সময় গিয়েছে তত উন্মাদনা বেড়েছে। ব্রাজিল বিশ্বকাপে ২০১৪ সালে ৩২০ কোটি মানুষ খেলা দেখেছেন। স্টেডিয়ামে গড়ে ৫৩ হাজার মানুষ খেলা দেখেছেন, যা সর্বকালীন রেকর্ড।
জার্মানির কাছে সুযোগ
ব্রাজিল ১৯৫৮ সালের পর ১৯৬২ সালেও বিশ্বকাপ জেতে। পরপর দুবার কোনও দল এভাবে বিশ্বকাপ জিততে পারেনি। ২০১৪ সালে জেতার পরে এবার সেই সুযোগ রয়েছে জার্মানির কাছে। এমনিতে ব্রাজিল ৫ বার ও জার্মানি ৪ বার বিশ্বকাপ জিতেছে।
স্বদেশি কোচই লাকি
যে দল বিশ্বকাপ জিতেছে, প্রতিবারই সেই দলের কোচ সেদেশেরই হয়েছেন। অন্য দেশের কোচিং করিয়ে কেউ বিশ্বকাপ জেতাতে পারেননি। এখনও সেই ট্র্যাডিশন অব্যাহত রয়েছে।