
FIFA World Cup 2022: দুর্ভেদ্য ইয়াসিন বুনো! বিদায় স্পেনের, শেষ আটে পৌঁছে ইতিহাসে মরক্কো
ফিফা বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেল। এদিন এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে স্পেন বনাম মরক্কো ম্যাচের নির্ধারিত ৯০ মিনিট গোলশূন্য ছিল। অতিরিক্ত সময়েও কোনও গোল হয়নি। অবশেষে ম্যাচের ফয়সালা হলো পেনাল্টি শ্যুটআউটে। স্পেনকে ছিটকে দিয়ে প্রথমবার বিশ্বকাপের শেষ আটে গেল মরক্কো। তিনটি শট রুখে নায়ক মরক্কোর গোলকিপার ইয়াসিন বুনো।
|
স্পেনের বিদায়
এদিনের আগে স্পেন কখনও হারেনি মরক্কোর কাছে। তিনটি ম্যাচের মধ্যে জিতেছে দুটিতে, একটি ড্র হয়েছিল। ১৯৬২ সালের বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের প্লে অফে ১৯৫১ সালে অ্যাওয়ে ম্যাচে স্পেন জেতে ১-০ ব্যবধানে, হোম ম্যাচে জিতেছিল ৩-২ ব্যবধানে। এই ম্যাচের আগে স্পেন কোচ লুইস এনরিকে জানিয়েছিলেন, বিশ্বকাপের প্রস্তুতির অঙ্গ হিসেবে প্রত্যেক ফুটবলারকে ১ হাজার পেনাল্টি মারার হোমওয়ার্ক দিয়েছিলেন। যদিও আসল পরীক্ষায় ডাহা ফেল স্পেন। পেনাল্টি শ্যুটআউটে একজনও গোল করতে পারেননি।
|
ইতিহাসে মরক্কো
অন্যদিকে, মরক্কো ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপে বিদায় নিয়েছিল প্রি কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে। সেবার পরাস্ত হয়েছিল জার্মানির কাছে। ফলে বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথমবার শেষ আটে পৌঁছে গেল মরক্কোষ ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে আলজেরিয়া-জার্মানি ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে গড়িয়েছিল। সেবার জার্মানির কাছে হেরেছিল আলজেরিয়া ১-২ ব্যবধানে। সেই ম্যাচের পর এই প্রথম আফ্রিকার কোনও দেশ নক আউট পর্বের ম্যাচ নিয়ে গেল অতিরিক্ত সময়ে এবং তাতেও গোলশূন্য থাকায় টাইব্রেকারে। আর সেখানেই বাজিমাত।
|
আবার অঘটন
রাউন্ড অব সিক্সটিন ম্যাচে ৭৫ শতাংশ বল নিজেদের দখলেই রেখেছিল স্পেন। যদিও মরক্কো রক্ষণ ভেদ করে গোলমুখ খুলতে পারেনি লুইস এনরিকের দল। দুই অর্ধে দাপট দেখিয়ে কয়েকটি সুযোগ তৈরি করলেও প্রতিপক্ষের জালে বল জড়াতে পারেনি। ফুটবল বিশেষজ্ঞদের ধারণা, জাপানের কাছে হারের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে না পারাই এর অন্যতম কারণ। অতিরিক্ত সময়েও ম্যাচের ফল গোলশূন্যই ছিল। বুনো ভালো সেভ করেন ওলমোর প্রয়াস, মোরাতা হেডে গোল করে স্পেনকে এগিয়ে দিতে ব্যর্থ হন। অতিরিক্ত সময়ে ওয়ালিদ চেদিরার প্রয়াস পয়েন্ট-ব্ল্যাঙ্ক সেভের মাধ্যমে রুখে দেন স্পেন গোলকিপার সিমোন। সারাবিয়ার শট পোস্টে প্রতিহত হয়। ফলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।
|
দুর্ভেদ্য বুনো
পেনাল্টি শ্যুটআউটে আবদেলহামিদ সাবিরি মরক্কোর প্রথম গোলটি করেন। এরপর স্পেনের পাবলো সারাবিয়া গোল করতে ব্যর্থ হন। এই প্রথম বিশ্বকাপের কোনও ম্যাচে টাইব্রেকারে প্রথম শটটি নিতে গিয়ে গোল মিস করার লজ্জার নজির গড়লেন তিনি। মরক্কোকে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন হাকিম জিয়েচ। সোলের ও বুস্কেৎসের শট রুখে দেন বুনো। সিমোন আটকে দেন বদর বানুনের শট। যদিও স্পেনে জন্মানো আশরাফ হাকিমির গোলই কোয়ার্টারে ফাইনালে নিয়ে যায় মরক্কোকে। ২০১০ সাল থেকে ধরলে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপে পেনাল্টি শ্যুটআউটে পরাস্ত হলো স্পেন।