চিত্তাকর্ষক ম্যাচে সার্বিয়াকে ৩-২ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপের নক আউটে পৌঁছল সুইৎজারল্যান্ড
চিত্তাকর্ষক ম্যাচে সার্বিয়াকে ৩-২ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপের নক আউটে পৌঁছল সুইৎজারল্যান্ড
সার্বিয়া বনাম সুইৎজারল্যান্ড ম্যাচে দুর্ধর্ষ লড়াইয়ের সাক্ষী থাকল ফুটবল বিশ্ব। পেন্ডুলামের মতো ম্যাচের ভাগ্য দুলল দুই দলের দিকেই। শেষ পর্যন্ত বিজয়ের হাসি হাসল সুইৎজারল্যান্ড। সার্বিয়াকে ৩-২ গোলে পরাস্ত করে বিশ্বকাপে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিল লাল জার্সিধারীরা।
কোনও সমীকরণ ছাড়াই বিশ্বকাপের নক আউট পর্বে জায়গা করে নেওয়ার জন্য এই ম্যাচে জয় প্রয়োজন ছিল সুইৎজারল্যান্ডের, দক্ষতার সঙ্গে সেই কাজটাই করে দেখাল রজার ফেডেরারের দেশের ফুটবলাররা। প্রথমে এগিয়ে গিয়ে, তার পর পিছিয়ে পড়া এবং তার পর পিছিয়ে থেকে জয় তুলে নেওয়ার চিত্তাকর্ষক ফুটবল উপহার দিল পাহাড় আবৃত দেশটি। সুইৎজারল্যান্ডের পাশাপাশি প্রশংসার যোগ্য ফুটবল খেলেছে সার্বিয়াও। তারা যদি সমানে সমানে প্রতিদ্বন্দ্বীতা না করতে পারতেন তা হলে কখনওই এতটা আকর্ষণীয় হয়ে উঠত না এই ম্যাচ।
পাঁচ গোলের ম্যাচের প্রথম গোলটি আসে ২০ মিনিটে। জিব্রিল স-এর পাস ধরে বাম পায়ের শটে গোল করে যান শারদান শাকিরি। যদিও এই অগ্রগমণ ধরে রাখতে পারেনি সুইৎজারল্যান্ড। ২৬ মিনিটে ডুসান টাডিচের মাপা ক্রসে হেডে সার্বিয়াকে সমতায় ফেরান আলেক্সজান্ডার মিত্রভিচ। এই গোলের দশ মিনিটের মধ্যে ম্যাচে এগিয়ে যাওয়ার গোলটি তুলে নেয় সার্বিয়া। জোড়া স্ট্রাইকারের অপর জন ডুসান ভ্লাওভিচ দ্বিতীয় গোলটি করেন সার্বিয়ার হয়ে। প্রথমার্ধ পর্যন্ত এগিয়ে খেলা শেষ করতে পারেনি সার্বিয়া। ৪৪ মিনিটের মাথায় ফুল ব্যাক সিলভান উইডমারের পাস থেকে এই ম্যাচে সুইৎজারল্যান্ডের একমাত্র ফরোয়ার্ড হিসেবে খেলা ব্রিল এমবোলো গোল করে লাল জার্সিধারীদের সুইসদের ফেরান।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ম্যাচের জয়সূচক গোলটি সুইৎজারল্যান্ডকে এনে দেন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার রেমো ফ্রিউলার। রুবেন ভার্গাসের পাস থেকে গোলটি করেন তিনি। ম্যাচের বাকি সময় সমতা ফিরিয়ে এনে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে সার্বিয়া একাধিক আক্রমণ তুলে আনলেও একটি থেকেও কাঙ্খিত গোলের দেখা পায়নি তারা। বিশ্বকাপের পরবর্তী রাউন্ডে যেতে হলে এই ম্যাচে জিততেই হত সার্বিয়াকে। সুইৎজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে এগিয়ে গেলেও সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে না পারায় এবং ডিফেন্স দুর্বল খেলার খেসারত দিতে হল ইউরোপের এই দলটিকে। উল্লেখ্য, প্রথমার্ধে সার্বিয়ার আন্দ্রিজা জিভকোভিচের একটি দূরপাল্লার শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। অসাধারণ দক্ষতার পরিচয় দিয়ে শটটি তিনি নিয়েছিলেন। শটটি থেকে গোল হলে তা এই বিশ্বকাপের সেরা গোল হতে পারত।