FIFA World Cup 2022: কাতার বিশ্বকাপে এবার মৃত্যু নিরাপত্তারক্ষীর! ফাইনাল যে স্টেডিয়ামে হবে সেখানেই দুর্ঘটনা
কাতার বিশ্বকাপ শুরুর আগে থেকেই বড় ইস্যু ছিল শ্রমিক মৃত্যু। বিশ্বকাপ চলাকালীনও মৃত্যুর ঘটনা এড়ানো যাচ্ছে না। এবার প্রাণ গেল নিরাপত্তারক্ষীর।
বিশ্বকাপের ফাইনালে আর্জেন্তিনা ও ফ্রান্স মুখোমুখি হবে লুসাইল স্টেডিয়ামে। সেখানেই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে নিরাপত্তারক্ষী জন এনজাউ কিবুর। স্টেডিয়াম থেকে পড়ে গিয়েই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে বিশ্বকাপ আয়োজকদের তরফে জানানো হয়েছে।
বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্বে থাকা সুপ্রিম কমিটির তরফে বলা হয়েছে, এই নিরাপত্তারক্ষী স্টেডিয়াম থেকে পরে যাওয়ার পর দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। রাখা হয়েছিল ইনটেনসিভ কেয়ারে। গত মঙ্গলবার তাঁর জীবনাবসান হয়।
বিশ্বকাপের স্টেডিয়ামগুলির দায়িত্বে যে নিরাপত্তারক্ষীরা রয়েছেন তাঁদের বেশিরভাগই পরিযায়ী শ্রমিক। কেনিয়া-সহ আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের নাগরিকরাই স্টেডিয়ামে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করছেন। যদিও যে নিরাপত্তারক্ষীর মৃত্যু হয়েছে, তিনি কোন দেশ থেকে কাতারে গিয়েছিলেন তা আয়োজকদের তরফে জানানো হয়নি। ওই নিরাপত্তারক্ষীর পরিবারকে দুর্ঘটনার বিষয়ে জানানো হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। জানা যাচ্ছে, যেদিন দুর্ঘটনাটি ঘটে সেদিন লুসাইল স্টেডিয়ামে কোনও ম্যাচ ছিল না।
কাতার বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পাওয়ার পর পরিকাঠামো নির্মাণে সেই দেশে ২০ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক নানা কাজে যুক্ত হন। ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত করা-সহ নানা শ্রমিক-শোষণের অভিযোগও আসতে থাকে। সরব হয় নানা মানবাধিকার সংগঠন। কাতারে প্রচণ্ড গরমের মধ্যেও অত্যধিক পরিশ্রমে বাধ্য করায় অনেকের মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ ওঠে। শ্রম আইন সংশোধনের পরও তাকে বুড়ো আঙুল দেখানো, শ্রমিকদের সুরক্ষার ন্যূনতম বন্দোবস্তও না থাকার অভিযোগ জনসমক্ষে আসে। যদিও কাতারে ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজকদের তরফে জানানো হয়েছে, স্টেডিয়াম তৈরির সময় কর্মস্থলে দুর্ঘটনায় গত এক দশকে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। কর্মস্থলের বাইরে মৃত্যু হয়েছে ৩৭ জনের। তবে শ্রমিক মৃত্যুর পাশাপাশি কাতারে বিশ্বকাপ আয়োজকদের অস্বস্তি বাড়াচ্ছে বিশ্বকাপ কভার করতে যাওয়া সাংবাদিকের মৃত্যুও। সংখ্যাটা ইতিমধ্যেই তিন।