Cristiano Ronaldo: পর্তুগালের প্রথম একাদশ থেকে বাদ পড়ে কী ছিল রোনাল্ডোর প্রতিক্রিয়া? জানালেন কোচ
ফিফা বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে শনিবার মরক্কোর বিরুদ্ধে খেলতে নামবে পর্তুগাল। রাউন্ড অব সিক্সটিনের ম্যাচে সুইৎজারল্যান্ডকে ৬-১ গোলে হারিয়েছে ফার্নান্দো সান্তোসের প্রশিক্ষণাধীন দল। গনসালো রামোসের হ্যাটট্রিকের দৌলতে সেই ম্যাচে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো নামার আগেই পাঁচবার প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠায় পর্তুগাল। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে নিয়ে চলতে থাকা নানাবিধ গুজবে বিরক্ত পর্তুগাল কোচ। কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচের আগে তিনি মুখ খুললেন রোনাল্ডো প্রসঙ্গে।
রোনাল্ডোকে বাইরে রেখেই পাঁচ গোল
সুইসদের বিরুদ্ধে রোনাল্ডোকে প্রথম একাদশে রাখেননি সান্তোস। প্রথমবার সেই কথা হেড কোচের মুখ থেকে শোনার পর স্বাভাবিকভাবেই তা ভালো লাগেনি সিআর সেভেনের। সে কথা সান্তোস মেনেও নিচ্ছেন। এরই মধ্যে রটে যায়, বিশ্বকাপ চলার মধ্যেই নাকি কাতার ছাড়ার বিষয়ে ভাবনাচিন্তাও শুরু করেছিলেন রোনাল্ডো। যদিও তা স্রেফ গুজব বলেই দাবি সান্তোসের। উল্লেখ্য, রোনাল্ডোকে বেঞ্চে রেখে সুইৎজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে রামোসকে নামিয়েছিলেন সান্তোস। সেই রণকৌশল দারুণ হিট হয়।
গুজবে বিরক্তি কোচের
রোনাল্ডোকে প্রথম একাদশের বাইরে রাখায় হেড কোচের সঙ্গে তাঁর বাদানুবাদ হয় বলে কয়েকটি সংবাদমাধ্যম দাবি করলেও তা ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছিল পর্তুগালের ফুটবল সংস্থা। অধিনায়কের দলের প্রতি দায়বদ্ধতা প্রশ্নাতীত বলেও বিবৃতি দেওয়া হয়। সান্তোস জানিয়েছেন, আমার ও রোনাল্ডোর মধ্যে দল গঠন নিয়ে কথা হয়েছিল। সেটা না হলে ঠিক হতো না। আমি জাতীয় দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলেই সব ঠিক করি। ফুটবলারদের সঙ্গে আমার সম্পর্কও স্বাভাবিক। আমি এভাবেই সকলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেখে চলে থাকি। ম্যাচের দিন রোনাল্ডোর সঙ্গে কথা হয়েছিল মধ্যাহ্নভোজের পর। তার আগে নয়। তাঁকে বুঝিয়েছিলাম কেন তাঁকে প্রথম থেকে নামাতে চাইছি না। আমি এটা তাঁকে ব্যাখ্যা করে বুঝিয়েছিলাম যাতে তিনি অবাক না হয়ে যান। দলের কৌশলগত কারণেই এই সিদ্ধান্ত এবং দ্বিতীয়ার্ধে তিনি নামলে ভালো হবে, সেটা রোনাল্ডোকে বুঝিয়েছিলাম।
কী ছিল সিআর সেভেনের প্রথম প্রতিক্রিয়া?
সান্তোস আরও জানান, এ কথা শুনে ক্রিশ্চিয়ানোর ভালো লাগেনি। তিনি সব সময় প্রথম থেকেই খেলতে পছন্দ করেন। রোনাল্ডো আমাকে জিজ্ঞাসা করেন, আমার সিদ্ধান্ত ভালো আইডিয়া কিনা। উল্লেখ্য, সুইসদের বিরুদ্ধে ম্যাচ চলাকালীন ক্যামেরা বারেবারেই ফোকাস করছিল রোনাল্ডোকে। তাঁর চোখ-মুখে হতাশার অভিব্যক্তি লক্ষ্য করা যায়। অবশ্য পরের দিকে দল একের পর গোল করছে দেখে হাসিমুখেই সতীর্থদের অভিনন্দন জানাতে যান। রোনাল্ডো পর্তুগাল শিবির ছেড়ে বেরিয়ে যেতে চাইছিলেন কিনা সেই প্রশ্নের উত্তরে খানিক বিরক্তি নিয়ে সান্তোস বলেন, এ কথা রোনাল্ডো আমাকে বলেননি যে তিনি দল ছেড়ে চলে যেতে চান। এই ধরনের আলোচনা বন্ধ হওয়াই ভালো।
রোনাল্ডো স্বাভাবিকই
সান্তোস নিজের বক্তব্যের সমর্থনে উদাহরণ দিয়ে বলেন, রোনাল্ডো ওই ম্যাচে সতীর্থদের সঙ্গে ওয়ার্ম আপ করেছেন। সতীর্থদের সঙ্গে একইভাবে মিশেছেন। গোল হওয়াকে সেলিব্রেট করেছেন। ম্যাচের পর তিনিই দর্শকদের প্রতি ধন্যবাদ জানাতে গোটা দলকে ডেকে নিয়েছিলেন। ফলে রোনাল্ডো পর্তুগালের ফুটবলের জন্য যা করেছেন সে কথা মাথায় রেখে তাঁকে বিতর্ক থেকে দূরে থাকতে দিন।