FIFA World Cup 2022: দক্ষিণ কোরিয়া ম্যাচে নেইমারের একাধিক নজির, দল হিসেবে ব্রাজিলেরও
ফিফা বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে ব্রাজিল। দক্ষিণ কোরিয়াকে ৪-১ গোলে হারিয়ে। প্রথমার্ধেই ঝড় তুলে বিরতিতে চার গোলে এগিয়ে গিয়েছিল তিতের প্রশিক্ষণাধীন দল। গোড়ালির চোট সারিয়ে মাঠে ফিরে গোল পেলেন নেইমার। এই ম্যাচে তিনি তো বটেই, ব্রাজিল ফুটবল দলেরও একাধিক নজিরের সাক্ষী রইলেন ফুটবলপ্রেমীরা।
নেইমারের নজির
চলতি বিশ্বকাপ এবং আগের দুটি বিশ্বকাপে গোল করার নজির গড়লেন নেইমার। লিওনেল মেসি, ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো, জেরদান শাকিরি ও ইভান পেরিসিচ ছাড়া এই নজির আর কারও নেই। ব্রাজিলের হয়ে নেইমারের শেষ ৬টি গোল এসেছে পেনাল্টি থেকেই। ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি পেলে পরপর চারটি বিশ্বকাপে গোল করেছিলেন। পরপর তিনটি বিশ্বকাপে গোল করার নজির রয়েছে রোনাল্ডোর। দক্ষিণ কোরিয়া ম্যাচে মাঠেও ছিলেন রোনাল্ডো। রোনাল্ডোর সামনেই তাঁর বিশ্বকাপে গোলের কীর্তি স্পর্শ করলেন নেইমার।
পেলের আরও কাছে
ব্রাজিলের জার্সি গায়ে সর্বাধিক গোল করার নজির রয়েছে পেলের, তিনি ৭৭টি আন্তর্জাতিক গোল করেছেন। আর একটি গোল করলে পেলের সেই নজির স্পর্শ করে ফেলবেন নেইমার। এমনকী চলতি বিশ্বকাপে তিনি আর ২টি গোল করলে পেলেকে পিছনে ফেলে দেবেন। ব্রাজিলের হয়ে রোনাল্ডোর গোলের সংখ্যা ৬২। বিশ্বকাপে ১২টি ম্যাচে নেইমার সপ্তম গোলটি পেলেন দক্ষিণ কোরিয়া ম্যাচে। বিশ্বকাপে রোনাল্ডো ১৫টি এব পেলে ১২টি গোল করেছেন।
ব্রাজিলের রেকর্ড
পরপর আটবার ব্রাজিল বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছল। জার্মানি ছাড়া এই নজির আর কোনও দেশের নেই। জার্মানি ১৯৮৬ সালের মেক্সিকো বিশ্বকাপ থেকে ২০১৪-র ব্রাজিল বিশ্বকাপ পর্যন্ত পরপর ৮ বার কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে। জার্মানির মতো ব্রাজিলও এবার নিয়ে ১৪ বার বিশ্বকাপের শেষ আটে গেল। ব্রাজিল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ৫ বার (১৯৫৮, ১৯৬২, ১৯৭০, ১৯৯৪, ২০০২ সালে)। রানার-আপ ১৯৫০ সালে আয়োজক দেশ হিসেবে, এ ছাড়া ১৯৯৮ সালে। তৃতীয় স্থান পায় ১৯৩৮ ও ১৯৭৮ সালে। চতুর্থ স্থান পায় ১৯৭৪ ও ২০১৪ সালে। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপটিও হয়েছে ব্রাজিলে।
প্রথম দেশ হিসেবে
ব্রাজিল ১৯৩৪, ১৯৬৬ ও ১৯৯০ সালের বিশ্বকাপ বাদে শেষ আটের মধ্যে থেকেছে সবচেয়ে বেশি ১৮ বার। প্রথম ষোলোর মধ্যে থেকেছে ২২ বার, অর্থাৎ প্রতিটি বিশ্বকাপেই। সবচেয়ে বেশি ২২ বার বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেছে পেলের দেশ। চলতি বিশ্বকাপে ২৬ জনের দলের সব ফুটবলারকেই মাঠে নামিয়েছেন তিতে। সেটিও একটি রেকর্ড। বিশ্বের কোনও দেশ এর আগে কোনও একটি বিশ্বকাপে ২৬ জন ফুটবলারকে খেলায়নি।