
ফিফা বিশ্বকাপে দুরন্ত ছন্দে গাকপো, কাতারকে ২-০ গোলে হারিয়ে শেষ ষোলোয় নেদারল্যান্ডস
ফিফা বিশ্বকাপে গ্রুপ এ থেকে শেষ ষোলোয় জায়গা পাকা করে নিল নেদারল্যান্ডস ও সেনেগাল। আজ আল বাইত স্টেডিয়ামে কাতারকে ২-০ গোলে হারিয়ে দিল নেদারল্যান্ডস। ২৬ মিনিটে কডি গাকপো (Cody Gakpo) প্রথমে গোল করে এগিয়ে দেন ডাচ বাহিনীকে। এরপর ৪৯ মিনিটে ফ্রেঙ্কি দে জং (Frenkie de Jong)। আয়োজক কাতার তিনটি ম্যাচেই পরাস্ত হলো।
|
শেষ ষোলোয় নেদারল্যান্ডস
এবারের বিশ্বকাপ থেকে আগেই ছিটকে গিয়েছিল কাতার। এদিনের ম্যাচ আয়োজক দেশের কাছে ছিল কিছুটা সম্মান পুনরুদ্ধারের লড়াই। যদিও আয়োজক দেশ হিসেবে তিনটি ম্যাচেই পরাস্ত হয়ে বিদায় নিল কাতার। এই ম্যাচ ড্র করলেই শেষ ষোলো নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পরিস্থিতি ছিল ডাচদের জন্য। যদিও তিন পয়েন্ট ছিনিয়ে নিয়েই রাউন্ড অব সিক্সটিনে গেল নেদারল্যান্ডস।
|
অনবদ্য গাকপো
ডেভি ক্লাসেনের ক্রসকে গোলে রূপান্তরিত করে নেদারল্যান্ডসকে প্রথমে এগিয়ে দেন কডি গাকপো। ১৯৭৪ সালে ইওহান নিসকেন্স, ১৯৯৪ সালে ডেনিস বার্গক্যাম্প ও ২০১০ সালে ওয়েসলি স্নেইডারের পর চতুর্থ ডাচ হিসেবে বিশ্বকাপের পরপর তিনটি ম্যাচেই গোল করার কৃতিত্ব অর্জন করলেন গাকপো। বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে তিনটি ম্যাচেই দেশের হয়ে প্রথম গোলটি করার ক্ষেত্রে গাকপো হলেন নেদারল্যান্ডসের প্রথম ফুটবলার, বিশ্বে দ্বিতীয়। ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপে এমন নজির গড়েছিলেন ইতালির আলেজান্দ্রো আলতোবেল্লি।
|
ব্যবধান বাড়ান ফ্রেঙ্কি
২৫ বছরের ফ্রাঙ্কি দে জং এদিন কেরিয়ারের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক গোলটি পেলেন, যা নেদারল্যান্ডসের জয়ের ব্যবধান বাড়ায়। ব্যবধান বাড়ানোর পরিস্থিতি তৈরি করে ফেলেছিলেন স্টিভেন বার্গুইস। যদিও তাঁর প্রয়াস নাকচ হয়ে যায় রেফারি ভার-এর দ্বারস্থ হওয়ার পর। মেম্ফিস দেপাইয়ের পরিবর্ত হিসেবে নেমে ৬৬ মিনিটে তিনি প্রতিপক্ষের জালে বল জড়ান। তবে রিপ্লে দেখে হ্যান্ডবলের কারণে গোলটি বাতিল হয়ে যায়। কাতার এবারের বিশ্বকাপে তিনটি ম্যাচে হেরে ০ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপে সকলের নীচে থেকে অভিযান শেষ করল। সাতটি গোল হজম করেছে। সেনেগালের বিরুদ্ধে একমাত্র গোলটি করেছিলেন মহম্মদ মুন্তারি।

গ্রুপের ১ নম্বর দল ডাচরাই
নেদারল্যান্ডস ৩ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপশীর্ষে থেকে শেষ ষোলোয় জায়গা করে নিল। সেনেগাল ৩টি ম্যাচে ২টিতে জিতেছে, একটিতে হেরেছে। আজ ইকুয়েডরকে হারানোয় তাদের পয়েন্ট হলো ৬। ইকুয়েডর ৩ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে অভিযান শেষ করল। ডাচদের বিরুদ্ধে ড্র করলেই তারা পৌঁছে যেতে পারতো শেষ ষোলোয়। সেক্ষেত্রে পয়েন্টের নিরিখে ছিটকে যেত সেনেগাল। যদিও দুরন্ত ফুটবল উপহার দিয়ে ২০ বছর পর বিশ্বকাপের নক আউটে পৌঁছেছে তারা।