ঠাকুরদা-ঠাকুমার কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেললেন আর্জেন্টিনার তারকা ডিফেন্ডার, লিসান্দ্রোর হৃদয় জুড়ে শুধুই তাঁরা
ঠাকুরদা-ঠাকুমার কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেললেন আর্জেন্টিনার তারকা ডিফেন্ডার, লিসান্দ্রোর হৃদয় জুড়ে শুধুই তাঁরা
বিশ্বকাপ অনেক স্বপ্নকে পূর্ণ করে, ইতি টেনে দেয় বহু স্বপ্নের। বিশ্বকাপের মঞ্চে তৈরি হয়েছে বহু স্মরণীয় ঘটনা, বহু স্মরণীয় কীর্তি। কিছু ঘটনা অবিস্মরণীয় হয়ে থাকে ফুটবলারদের দক্ষতার কারণে আবার কিছু ঘটনা থাকে যা হৃদয় স্পর্শী। তেমনই আরও একটা ঘটনার সাক্ষী থাকল কাতার।
আর্জেন্টিনার জার্সিতে প্রথম বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পাওয়া লিসান্দ্রো মার্টিনেজ ঠাকুর দা- ঠাকুরমা স্মরণ করলেন ফাইনালে পৌঁছনোর পর এবং পূর্ব পুরুষদের স্মরণ করতে গিয়ে ধরে রাখতে পারলেন না চোখের জল।
আর্জেন্টিনা বনাম ক্রোয়েশিয়া ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে পরিবর্ত ফুটবলার হিসেবে মাঠে নামেন লিসান্দ্রো মার্টিনেজ। ওই ম্যাচে ডিফেন্সিভ স্ক্রিন হিসেবে তাঁকে ব্যবহার করেছিলেন লিওনেল স্কালোনি। ম্যাচ শেষ হওয়ার বাঁশি বাজার পরই আবেগের ঘেরা টোপের মধ্যে নিজেকে পান লিসান্দ্রো। ম্যাচের পর সাংবাদিককে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময়েও নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি তিনি।
ঠাকুর দা - ঠাকুর মা-এর সম্পর্কে কথা বলার সময়ে তাঁর চোখে জল চলে আসে। মার্টিনেজ জানিয়েছে, তাঁর পূর্ব পুরুষদের কাছে এবং তাঁর জীবনের কাছে তিনি কৃতজ্ঞ। ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে দলের এই জয়কে তাঁদেরকেই নিবেদন করেছেন তিনি। তিনি বলেছেন, "এই মুহূর্তে আমার মাথায় অনেক কিছু ঘুরছে। আমি আমার জীবনের কাছে কৃতজ্ঞ, আমার ঠাকুর দা - ঠাকুর মা-এর কাছে কৃতজ্ঞ তাঁরা আজ আর আমাদের মধ্যে নেই। এই জয় আমি তাঁদের (ঠাকুর দা - ঠাকুর মা) উৎসর্গ করতে চাই যাঁরা আমাদের মধ্যে আর নেই।"
এটাই প্রথম বার নয় যেখানে পূর্ব পুরুষদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের বিষয়ে মুখ খুলেছেন মার্টিনেজ। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে অল্প সময়ের মধ্যে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন মার্টিনেজ এবং সমর্থকদের প্রিয় হয়ে উঠেছেন। তাঁর খেলায় মুগ্ধ হয়েই ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সমর্থকেরা 'আর্জেন্টিনা'-র নামে জয়ধ্বনি দিয়েছে ম্যাচের সময়ে।\
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড টিভি-তে তিনি বলেছেন, "সত্যি বলতে আমার কাছে এটা অত্যন্ত ইমোশনাল মুহূর্ত কারণ বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্লাবে আমি খেলি। এই স্টেডিয়াম, পরিবেশ অসাধারণ। আমি যখন শুনি সমর্থকেরা বলছেন 'আর্জেন্টিনা...আর্জেন্টিনা..' তখন সত্যি বলতে আমার চোখ থেকে জল বের হয়ে আসার মতো অবস্থা তৈরি হয়।" অ্যাজাক্সে হয়ে খেলা এই তরুণ ডিফেন্ডার নজরকাড়ে ইউরোপীয় ফুটবলে। অ্যাজাক্স ছেড়ে এরিক টেন হাগ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের দায়িত্ব নেওয়ার সময়ে তাঁকে নিয়ে আসেন রেড ডেভিলসে।