ফিফা বিশ্বকাপে অভাবনীয় ঘটনা! ইংল্যান্ড-ইরান ম্যাচে কেন লাগল অতিরিক্ত ২৪ মিনিট সময়?
ফিফা বিশ্বকাপে অভাবনীয় ঘটনা। যা দেখে রেকর্ড বই নাড়াচাড়া শুরু করতে বাধ্য হলেন বিশেষজ্ঞরা। স্মরণাতীতকালে এমনটা আদৌ কবে হয়েছে কেউই সঠিকভাবে বলতে পারছেন না। গ্রুপ পর্বের খেলা হয় ৯০ মিনিট। তবে দুই অর্ধ মিলিয়ে মোট ২৪ মিনিট স্টপেজ টাইমের খেলা চলল। যাঁরা খেলা দেখেননি তাঁরা এতে অবাক হবেনই।
দুটি আলাদা ঘটনার কারণেই এমনটা হলো আজ। প্রথমার্ধে ইরানের গোলকিপার আলিরেজা বেইরানভান্ড মুখে চোট পান। ইংল্যান্ডের আক্রমণ প্রতিহত করার লক্ষ্যে সচেষ্ট ছিলেন গোলকিপার। কিন্তু সতীর্থ ডিফেন্ডারের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। রক্তপাত হতে থাকায় তিনি কিছুক্ষণ মাঠে শুয়ে থাকেন। ১০ মিনিট ধরে খেলা বন্ধ থাকে। তিনি উঠে দাঁড়ান। তবে চোট যে ভালোই লেগেছে তা বোঝা যায় দেরি না করে তিনি পরিবর্ত হিসেবে অন্য গোলকিপারকে নামানোর অনুরোধ করতেই। এই ঘটনার জেরে প্রথমার্ধে অনেকক্ষণ খেলা বন্ধ থাকে। সে কারণে নির্ধারিত ৪৫ মিনিটের পরেও আরও ১৪ মিনিট খেলানোর পথে হাঁটতে হয় রেফারিকে। প্রথমার্ধে ইংল্যান্ড এগিয়ে ছিল ৩-০ গোলে।
দ্বিতীয়ার্ধে ইংল্যান্ডের ডিফেন্ডার হ্যারি ম্যাগুয়ার চোট পান। তাঁর কনকাসনের লক্ষণ দেখা যায়। এরপর তাঁর পরিবর্ত নামাতে বাধ্য হন ম্যানেজার গ্যারেথ সাউথগেট। দ্বিতীয়ার্ধে মোট ৫টি গোল হয়। যার মধ্যে ইংল্যান্ডের তিনটি, ইরানের দুটি। দ্বিতীয়ার্ধেও অতিরিক্ত ১০ মিনিট খেলান রেফারি। তবে এতক্ষণ খেলা হতে দেখে ফুটবলপ্রেমীরা প্রশ্ন তোলেন, যেখানে ইরানের জেতার কোনও সম্ভাবনা নেই সেখানে কেন এতক্ষণ ধরে খেলানো হচ্ছে? যদিও যেটা হয়েছে তা খেলা বন্ধ থাকার সময়ের হিসেব সঠিকভাবে কষেই। শেষ লগ্নে পাওয়া পেনাল্টি থেকে ইরান তাদের দ্বিতীয় গোলটি পায়।
ইংল্যান্ডের প্রথম গোলটি ম্যাচের ৩৫ মিনিটে করেন জুড বেলিংহ্যাম। মেজর টুর্নামেন্টে ইংল্যান্ডের হয়ে সবচেয়ে কম বয়সে গোল করার নিরিখে বেলিংহ্যাম রইলেন মাইকেল আওয়েনের পরেই। আওয়েন ১৮ বছর ১৯০ দিনের মাথায় গোল করেছিলেন। বেলিংহ্যামের আজ বয়স ১৯ বছর ১৪৬ দিন। ৪৩ ও ৬২ মিনিটে দুটি গোল করা বুকায়ো সাকা বলেছেন, এই জয় ইংল্যান্ডের জন্য প্রয়োজন ছিল। দলের জয়ে অবদান রাখতে পেরে তিনি গর্বিত। রাহিম স্টার্লিংও গোল করেন প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে। মার্কাশ রাশফোর্ডের গোলটি আসে ৭১ মিনিটে। পরিবর্ত হিসেবে নেমে দ্রুততম গোল করার নিরিখে তিনি রইলেন তৃতীয় স্থানে, মাঠে নেমে ৪৯ সেকেন্ডের মাথায় গোল করেন তিনি। ইংল্যান্ডের শেষ গোলটি করেন জ্যাক গ্রিলিশ। ইরানের গোল দুটি মেহদি তারেমির।