বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার সঙ্গে অপ্রত্যাশিত নজির গড়লেন করিম বেঞ্জিমা
বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার সঙ্গে অপ্রত্যাশিত নজির গড়লেন করিম বেঞ্জিমা
শনিবার অনুশীলনে উরুতে চোট পান করিম বেঞ্জিমা। চোটের তীব্রতা এতটাই ছিল যে ফিজিও দেখে বুঝতে পরেছিল হয়তো বিশ্বকাপে আর নামা হবে না ব্যালন ডি'ওর জয়ী তারকার। রবিবার এমআরআই রিপোর্ট আসার পর ফিজিও-র সংশয়ই ঠিক প্রমাণিত হয়।
অনুশীলনের সময় চোট পান বেঞ্জিমা:
শনিবার দোহায় অনুশীলনের সময় চোট পান বেঞ্জিমা, তাঁকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তাঁর স্ক্যান করানো হয়। এমআরআই রিপোর্টে ধরা পড়েছে ফেমোরাল রেকটাসে গভীর চোট পেয়েছেন বেঞ্জিমা এবং তিন সপ্তাহ কমপক্ষে এই চোটের কারণে মাঠের বাইরে থাকতে হবে তাঁকে। তার পর হবে রিহ্যাব, সেই রিহ্যাব পর্ব মিটিয়ে মাঠে ফিরতে ফিরতে আরও দুই সপ্তাহ।
বেঞ্জিমারচোট সম্পর্কে যা বলেছেফরাসি ফুটবল ফেডারেশন:
ফরাসি ফুটবল ফেডারেশনের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, "বাম উরুরু কোয়াড্রিসেপ্সে (উরুরু সামসের পেশি) চোট পান, যার ফলে বিশ্বকাপে নেওয়া থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হলেন রিয়াল মাদ্রিদের স্ট্রাইকার। দোহায় একটি হাসপাতালে এমআরআই করানোর জন্য নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। দুর্ভাগ্যবশত সেই রিপোর্টে ধরা পড়েছে ফেমোরাল রেকটাসে চোট রয়েছে, যা সেরে ওঠার জন্য প্রয়োজন তিন সপ্তাহ। চিকিৎসক ফ্র্যাঙ্ক লা গিলের সঙ্গে কথা বলার পরই দিদিয়ের দেঁশচ্যাম্পস বিশ্বকাপ দলে রিয়াম মাদ্রিদের স্ট্রাইকার করিম বেঞ্জিমাকে নেন।"
বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ায় এক অপ্রত্যাশিত রেকর্ড গড়েছেন করিম বেঞ্জিমা:
ইএসপিএন-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১৯৭৮ সালের পর বেঞ্জিমাই প্রথম ফুটবলার যিনি ব্যালন ডি'ওর জিতেও বিশ্বকাপে অংশ নিতে পারেননি। ১৯৭৮ সালে ব্যালন ডি'ওর জয়ী ডেনমার্কের অ্যালান সিমনসেন বিশ্বকাপে অংশ নিতে পারেননি কারণ তাঁর দেশ যোগ্যতা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়। ১৯৫৭ সালে ব্যালন ডি'ওর জয়ী আলফ্রেডো ডি স্টিফানো ব্যর্থ হন ১৯৫৮ বিশ্বকাপে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে কারণ স্পেন বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়। যে কোনও ফুটবলার যত বড় মানেই পৌঁছে যান না কেন বিশ্বকাপে দেশের জার্সিতে প্রতিনিধিত্ব করার স্বপ্ন সকলের থাকে। বেঞ্জিমা নিজেও এই ধক্কায় ভেঙে পড়েছেন।
বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গিয়ে ভেঙে পড়েছেন বেঞ্জিমা:
বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া যে কোনও ফুটবলারের স্বপ্ন থাকে। সেই সুযোগ পেয়েও এই রকম ভাবে হাতছাড়া হওয়ায় ভেঙে পড়েছেন বেঞ্জিমা। তিনি জানিয়েছে, সুস্থ এবং ফিট ফুটবলারকে জায়গা ছেড়ে দিতে তাঁকে সরে যেতে হচ্ছে। ইনস্টাগ্রাম পোস্টে বেঞ্জিমা লিখেছেন, "জীবনে কখনও আমি হাল ছাড়িনি কিন্তু আজ আমার দলের কথা ভাবতে হচ্ছে যেমনটা আমি সব সময় করে এসেছি। আমার স্বত্ত্বা জানাচ্ছে সুস্থ. ফিট কোনও ফুটবলারের জন্য নিজের জায়গা ছেড়ে দেওয়ার কথা যাতে আমাদের বিশ্বকাপ অভিযান আরও ভাল হয়। তোমাদের সকলের বার্তা এবং পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।"