উরুগুয়ের বিরুদ্ধে বদলার ম্যাচে জিতে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে টিকিট নিশ্চিত করাই লক্ষ্য ঘানার
উরুগুয়ের বিরুদ্ধে বদলার ম্যাচে জিতে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে টিকিট নিশ্চিত করাই লক্ষ্য ঘানার
বিশ্বকাপের শেষ ষোলোর টিকিট নিশ্চিত করার লক্ষ্যে উরুগুয়ের বিরুদ্ধে নামতে চলেছে ঘানা। এই ম্যাচে জয় পেলেই লুইস সুয়ারেজের দলকে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে নক-আউট পর্যায়ে পৌঁছে যাবে আফ্রিকার দেশটি। এমনিতে ফেভারিট হিসেবেই শুরু করবে উরুগুয়ে, তবে ঘানার ফুটবলারদের শরীরী এবং ফুটবল দক্ষতার সামনে এঁটে ওঠা কঠিন উরুগুয়ের।
গ্রুপ 'এইচ'-এর প্রথম স্থানে ৬ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে পর্তুগাল। ২ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে পর্তুগাল। অপর দিকে, ২ ম্যাচের একটিতে জিতে এবং অপরটিতে হেরে ৩ পয়েন্ট নিয়ে ঘানা রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। ২ ম্যাচে ১ করে পয়েন্ট সংগ্রহ করে দক্ষিণ কোরিয়া এবং উরুগুয়ে রয়েছে যথাক্রমে তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থানে। পয়েন্ট এক হলেও গোল পার্থক্যে পিছিয়ে রয়েছে উরুগুয়ে।
এই পরিস্থিতিতে ঘানা যদি উরুগুয়ের বিরুদ্ধে ড্র করে বা উরুগুয়েকে পরাজিত করে দেয় তা হলে তা হলে তারা পরবর্তী রাউন্ডে জায়াগা পাকা করে ফেলবে। ঘানা জিতলেও বা ড্র করলেও দ্বিতীয় স্থানে থাকবে কারণ গোল পার্থক্যে এগিয়ে রয়েছে পর্তুগাল।
অপর দিকে, উরুগুয়েকে পরবর্তী রাউন্ডে যেতে হলে এই ম্যাচে জয় প্রয়োজন যে কোনও মূল্যে। হার বা ড্র-এ কোনও লাভ হবে না লুইস সুয়ারেজের দলের। উরুগুয়ে জিতলেও নির্ভর করতে হবে পর্তুগাল বনাম দক্ষিণ কোরিয়া ম্যাচের ফলাফলের উপর কারণ দক্ষিণ কোরিয়া যদি হারিয়ে দেন পর্তুগালকে তখন উরুগুয়ে জিতলেও দক্ষিণ কোরিয়া গোল পার্থক্যে পরবর্তী রাউন্ডে পৌঁছে যাবে। দক্ষিণ কোরিয়া যদি জেতে তা হলে তারা যত গোলে জিতবে তার থেকে এক গোল বেশিতে জিততে হবে উরুগুয়েকে। কারণ গোল পার্থক্য মাইনাস (-) ১।
উল্লেখ্য, এই দুই দল বিশ্বকাপে মুখোমুখি হয়েছিল ২০১০ সালে। ২০১০ বিশ্বকাপে ঘানা এবং উরুগুয়ে ম্যাচ ১-১ গোলে শেষ হয় নির্ধারিত সময়ে। পরে সেই ম্যাচে টাই ব্রেকারে জেতে উরুগুয়ে। কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছিল ঘানার। আফ্রিকার দলটি চাইবে সেই ম্যাচে হারের বদলা এই ম্যাচে নিয়ে পরবর্তী রাউন্ডে পৌঁছে যেতে।