FIFA World Cup 2022: স্পেন ম্যাচে জাপানের দ্বিতীয় গোল চর্চায়! কেন বৈধ জানাল ভার?
ফিফা বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গিয়েছে জার্মানি। স্পেনকে ২-১ গোলে হারিয়ে গ্রুপ ই-র শীর্ষে থেকে রাউন্ড অব সিক্সটিনে গিয়েছে এশিয়ার দেশটি। স্পেন ও জার্মানির পয়েন্ট সমান থাকলেও গোলপার্থক্য শেষ ষোলোয় নিয়ে গিয়েছে স্পেনকে। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে স্পেনের হার এবং জার্মানির জয় সত্ত্বেও। ইতিমধ্যেই চর্চা শুরু হয়েছে জাপানের দ্বিতীয় গোলটি নিয়ে। যা সব হিসেব ওলটপালট করে দিয়েছে।
|
গোল নিয়ে বিতর্ক
স্পেন-জাপান ম্যাচ ড্র হলে কোস্টা রিকাকে হারানোর সুবাদে জার্মানি যেত শেষ ষোলোয়। স্পেনও যেত। ১১ মিনিটে আলভারো মোরাতার করা গোলে বিরতিতে স্পেন এগিয়েও ছিল। ৪৮ মিনিটে সমতা ফেরান রিৎসু দোয়ান। এরপর ৫১ মিনিটে জয়সূচক গোলটি করেন আও তানাকা। এই গোলটির বৈধতা নিয়ে অনেকেই দ্বিধাবিভক্ত। তবে প্রযুক্তি বলছে সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছে ভার। যদিও ভার বেশ কিছুক্ষণ সবকিছু দেখে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা অবাক করেছে স্পেনের কোটচ লুইস এনরিকেকে।
|
জাপানের জয়ে বিদায় জার্মানির
কাওরু মিতোমা যে বলটি বাড়িয়েছেন তানাকার জন্য তার আগেই বলটি গোললাইন পেরিয়ে গিয়েছিল বলে মনে করছেন অনেকে। জাপান গোল করার সেলিব্রেশন শুরু করার পর গোলটি বাতিল ঘোষণা করেন সহকারী রেফারি। ভার-এর দায়িত্বে ছিলেন মেক্সিকোর ফার্নান্দো গুয়েরেরো। তিনি নিশ্চিত ছিলেন বলের পুরোটা গোললাইন অতিক্রম করেনি। বলের যে অংশ মাটিতে থাকে সেটিই শুধু নিশ্চিত করে না যে বলটি গোললাইন পেরিয়ে গিয়েছে। বলের গোলাকৃতি অংশটি লাইনে রয়েছে কিনা সেটাও বিচার্য। সেটা বলের খুব সামান্য অংশ হলেও নিয়ম একই থাকে। গোললাইন ক্যামেরা নিশ্চিতভাবেই ব্যবহৃত হচ্ছে। কিন্তু এই সংক্রান্ত স্পষ্ট ধারণা ফুটবলপ্রেমীদের জন্য ফিফা জানাতে না পারায় থাকছে সংশয়।
|
গোলের পক্ষে সওয়াল
একই বল বিভিন্ন জায়গা থেকে দেখানো হলে বিভিন্নরকম মনে হয়। তাই জাপান-ভক্তরা বল একটি জায়গায় রেখে ক্যামেরাকে নানা অ্যাঙ্গেলে সেটা প্রমাণের চেষ্টা চালিয়ে সেই ভিডিও পোস্টও করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে পর্যন্ত টিভি ক্যামেরা বা প্রযুক্তির কোনও মাধ্যমেই নিশ্চিত হয়নি যে, বলটি গোললাইন অতিক্রম করেছিল। সে কারণে মাঠে খেলা পরিচালনার দায়িত্বে থাকা রেফারিদের সিদ্ধান্ত বদলানোর নির্দেশ দেয় ভার। জাপানের এই গোলই জার্মানির বিদায়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।
|
বিশ্বাস হচ্ছে না স্পেন কোচের
ম্যাচের পর স্পেনের কোচ লুইস এনরিকে জানিয়েছেন, তিনি বিশ্বাসই করতে পারছিলেন জাপানের ওই গোলটি বৈধ বলে ঘোষিত হওয়ায়। এমনকী স্টিল ছবি দেখেও তিনি নিশ্চিত নন। তবে এ ব্যাপারে বেশি কিছু বলতে চাননি এনরিকে। অনেকে এই গোলটির তুলনা টানছেন ২০১০ সালে ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের ভূতুড়ে গোলের সঙ্গে। জার্মানির বিরুদ্ধেই ল্যাম্পার্ডের শট ক্রসবারের নীচে লেগে মাটিতে পড়ে, অথচ জালে জড়ায়নি। বল ধরে গোলকিপার ফের খেলার জন্য ছুড়ে দেন, রেফারিও খেলা চালিয়ে যান। দলের খেলায় অবশ্য স্পেন কোচ খুশি হতে পারেননি। তিনি চেয়েছিলেন গ্রুপশীর্ষে থেকেই রাউন্ড অব সিক্সটিনে যেতে। কিন্তু জাপানের অল্প সময়ের ব্যবধানে জোড়া গোল সেই পরিকল্পনায় ধাক্কা দেয়।