Messi's Goal Controversy: বিশ্বকাপ ফাইনালে মেসির গোল নিয়ে জোর বিতর্ক! ফিফার নিয়মে কি বিপদ আর্জেন্তিনার?
লিওনেল মেসির নেতৃত্বে আর্জেন্তিনা বিশ্বকাপ জিতে দেশে ফিরেছে। বুয়েনস আইরেসে উৎসবের আবহ। ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ জয় আর্জেন্তিনার।
এরই মধ্যে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে লিওনেল মেসির গোলকে ঘিরে। যা নিয়ে সরগরম সোশ্যাল মিডিয়া। ফরাসি সংবাদমাধ্যম তো বটেই, সোশ্যাল মিডিয়াতেও অনেকে সরব হয়েছেন। তাঁদের দাবি, লিওনেল মেসির দ্বিতীয় তথা আর্জেন্তিনার তৃতীয় গোল বাতিল হওয়া উচিত ছিল।
|
গোল বিতর্ক
ফিফা বিশ্বকাপ ফাইনালে প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে ছিল আর্জেন্তিনা। দ্বিতীয়ার্ধে ৮০ ও ৮১ মিনিটে গোল করেন কিলিয়ান এমবাপে, ফ্রান্স পিছিয়ে থেকেও ম্যাচটি অতিরিক্ত সময়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়। অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধে মেসি গোল করে ফের এগিয়ে দেন আর্জেন্তিনাকে। যদিও তার কিছু পরেই পেনাল্টি থেকে গোল করে সমতা ফেরান এমবাপে। টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জেতে আর্জেন্তিনা।
|
জোর চর্চা
লিওনেল মেসি অতিরিক্ত সময়ে যে গোলটি করেছিলেন সেটি নিয়েই এখন চলছে জোর চর্চা। এই গোলটি করার আগে মেসির শট রুখে দেন ফ্রান্সের গোলরক্ষক তথা অধিনায়ক হুগো লরিস। ফিরতি বল ডান পায়ের শটে জালে জড়িয়ে আর্জেন্তিনাকে ৩-২ গোলে এগিয়ে দেন মেসি। অনেকে সেই গোলের ভিডিও ফুটেজ ও স্টিল ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে গোল বাতিলের দাবি তুলেছেন।
|
অবৈধ গোল বাতিলের দাবি
কোনও কোনও ফুটবলপ্রেমীর দাবি, মেসি অফ সাইড পজিশনে ছিলেন গোল করার সময়। কারও দাবি, মেসির বল গোলে ঢোকার আগেই আর্জেন্তিনার পরিবর্ত ফুটবলাররা মাঠের মধ্যে ছিলেন। যে কারণেই এই গোলটি বাতিল হওয়া উচিত।
|
কী বলছে ফিফার নিয়ম?
অনেকেই উল্লেখ করেছেন ফিফার নিয়মের কথা। সেখানে লেখা রয়েছে, কোনও গোল হওয়ার পর ফের খেলা শুরুর আগে যদি রেফারি মনে করেন গোলটি হওয়ার সময় কোনও অতিরিক্ত ফুটবলার মাঠের মধ্যে রয়েছেন, তাহলে সেই গোলটি তিনি বাতিল ঘোষণা করবেন। এই নিয়মকেই তুলে ধরে ফরাসি সংবাদপত্র এল'ইকুইপ (L'Equipe) প্রতিবেদনে লিখেছে, ফিফার নিয়ম অক্ষরে অক্ষরে মেনে চললেই গোলটি বাতিল বলে গণ্য করা যায়। যখন লরিসের সেভের পর মেসি ভলি মারেন, তখন আবেগাপ্লুত আর্জেন্তিনার পরিবর্ত ফুটবলাররা মাঠের মধ্যে ছিলেন। গোলের সেলিব্রেশনের জন্য। যেটা নিয়ম অনুযায়ী অবৈধ।