
ফিফা বিশ্বকাপে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর ফিটনেস নিয়ে সংশয়, খেলবেন দক্ষিণ কোরিয়া ম্যাচে?
ফিফা বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় ইতিমধ্যেই জায়গা করে নিয়েছে পর্তুগাল। গ্রুপশীর্ষে থেকে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর দেশ রাউন্ড অব সিক্সটিনে যেতে পারবে কিনা তা স্পষ্ট হয়ে যাবে আগামীকাল। যদিও এরই মধ্যে সিআর সেভেনের ফিটনেস নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।

পর্তুগাল অধিনায়ক ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো গতকাল দলের সঙ্গে অনুশীলনে যাননি। জিমে কিছু এক্সারসাইজ সারেন। এতেই জল্পনা শুরু হয় যে, রোনাল্ডো আদৌ ফিট কিনা। সে ব্যাপারে পর্তুগাল শিবির থেকে কিছুই জানানো হয়নি। তবে দলের হেড কোচ ফার্নান্দো সান্তোসের কথায় ইঙ্গিত মিলেছে, দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে গ্রুপের শেষ ম্যাচে রোনাল্ডোকে বিশ্রামে রেখেই নামতে পারে পর্তুগাল।
আজ সাংবাদিকদের সান্তোস বলেন, রোনাল্ডোর খেলা বা না খেলার সম্ভাবনা ফিফটি-ফিফটি। দেখা যাক কী হয়। আজকের অনুশীলনে দেখব রোনাল্ডো প্র্যাকটিসে নামছেন কিনা। কিংবা নামলেও কী অবস্থায় রয়েছেন সেটা দেখেই দক্ষিণ কোরিয়া ম্যাচে তাঁকে নিয়ে পরিকল্পনা করব। যদি ভালো কন্ডিশনে থাকেন তাহলে নিশ্চিতভাবেই খেলবেন। আবার রোনাল্ডোকে না পাওয়া গেলেও সেইমতো পরিকল্পনা তৈরি রয়েছে।
ঘানা ও উরুগুয়ের বিরুদ্ধে জয় ছিনিয়ে পর্তুগাল রাউন্ড অব সিক্সটিনে পৌঁছে গিয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে ড্র করলেই গ্রুপশীর্ষে থেকে শেষ ষোলোয় যাওয়া নিশ্চিত হবে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রি কোয়ার্টারে যাওয়ার সম্ভাবনাও ফুরিয়ে যায়নি। পর্তুগাল ইতিমধ্যেই চোট সমস্যায় ভুগতে শুরু করেছে। উরুগুয়ে ম্যাচে উরুতে চোট পেয়ে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যেতে হয়েছিল নুনো মেন্দেস। তাঁকে আর বিশ্বকাপে যে পাওয়া যাবে না, তা নিশ্চিত করেছেন পর্তুগাল কোচ। তিনি বলেন, নুনো ছিটকে গেলেও দলের সঙ্গেই থাকবেন। এ ব্যাপারে তাঁর ক্লাবও সহমত পোষণ করেছেন। ফিট হওয়ার প্রক্রিয়া দলের সঙ্গে থেকেই শুরু হবে। নুনো নিজেও পর্তুগাল দলের সঙ্গে থাকতে চেয়েছেন। এতেই বোঝা যাচ্ছে গোটা দলের মনোবল কোথায় রয়েছে।
ওতাভিওর সঙ্গে দানিলোরও চোট রয়েছে। পর্তুগাল কোচ তাই দক্ষিণ কোরিয়া ম্যাচে কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছেন না। নক আউট পর্বে যাতে ফুটবলাররা তরতাজা থেকে নামতে পারেন তা নিশ্চিত করতে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া ম্যাচের দল সাজাবেন। তিনি বলেন, ফুটবলারদের প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে। ইতিমধ্যেই তিনজনকে পাচ্ছি না। দেখা যাক বাকিরা কেমন অবস্থায় থাকেন। চার দিন অন্তর খেলা কঠিন। প্লেয়াররা ক্লান্তও হয়ে যান। ক্লান্তিভাব থেকে স্ট্রেস বাড়ছে, চোট লাগার ক্ষেত্রেও সেই স্ট্রেসই সমস্যা তৈরি করছে। গ্রুপের ১ নম্বর দল হতে পারলে রাউন্ড অব সিক্সটিনে নামার আগে একদিন অতিরিক্ত সময় পাব। ফলে শেষ ম্যাচ থেকে পয়েন্ট নিশ্চিত করাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।