
Brazil vs Argentina: ফিফার নির্দেশে আয়োজিত হতে চলেছে ভেস্তে যাওয়া ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচ
ফিফার তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হল ভেস্তে যাওয়া ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচ পুনরায় খেলা হবে। দুই দেশের ফুটবল ফেডারেশন প্রথমে এই ম্যাচ পুনরায় খেলার বিষয় আপত্তি জানালেও নিজেদের সিদ্ধান্তে অটল রইল ফিফা।

৫ সেপ্টেম্বর সাও পাওলে-এ ব্রাজিলীয় স্বাস্থ দফতরের কিছু আধিকারিক মাঠের মধ্যে ঢুকে এই ম্যাচের মধ্যে ব্যাঘাত সৃষ্টি করেন। ব্রাজিলের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভাইলেন্স এজেন্সি সেই সময়ে দাবি করে আর্জেন্টিনার চার জন ফুটবলার কোভিড নীতি লঙ্ঘন করেছে এবং তাঁদরে তৎক্ষনাৎ কোয়ারেন্টাইনে ঢুকতে হবে। ওই চার ফুটবলারকে কোনও ভাবেই খেলতে দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়। ব্রাজিলের স্বাস্থ দফতরের আধিকারিকদের এই আতরণ জন্ম নেয় নজিরবিহীন এক ঘটনার।
ফেব্রুয়ারি মাসে পুনরায় এই ম্যাচ আয়োজনের কথা ঘোষণা করে ফিফা এবং চার ফুটবলার, টটেনহ্যামের ক্রিস্টিয়ান রোমেরো, জিওভান্নি লো সেলসো এবং অ্যাস্টন ভিলার এমিলিয়ানো মার্টানেজ এবং এমিলিয়ানো বুয়েন্ডিয়াকে দুই ম্যাচ করে নির্বাসিত করে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা। বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা উভয় ফেডারেশনকেই একাধিক জরিমানা করে ম্যাচ বাতিল হওয়াকে কেন্দ্র করে। ম্যাচের মধ্যে অনৈতিক ভাবে ব্রাজিলের স্বাস্থ কর্মীদের ঢুকে পড়া এবং ম্যাচ বানচাল করে দেওয়াটা একেবারেই ভাল ভাবে গ্রহণ করেনি ফিফা। এই ম্যাচ ভেস্তে যাওয়ার কারণে ফিফার শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির তরফ থেকে করা জরিমানার পরিমাণ ৫০৩৪২ ডলার।

ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনা উভয় দলই ২০২২ কাতারে আয়োজিত হতে চলা বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করে ফেলেছে। প্রথমে এই ম্যাচটি পুনরায় খেলার জন্য আপত্তি জানায় আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশন। ম্যাচটি খেলতে বাধ্য করলে আদালতে যাওয়ারও হুমকি দেয় তারা। ব্রাজিল এত বড় কোনও হুমকি না দিলেও তাঁরাও অনুরোধ করে ম্যাচটি বাতিলের জন্য। তবে, কারোর কোনও হুমকি বা আবেদনেই কাজ হয়নি। ফিফা নিজের সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছে এবং বিশ্বকাপের টিকিট পকেটে ঢুকিয়ে নিলেও এই ম্যাচে মাঠে নামতেই হবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দলকে।