ভারত বনাম জর্ডন: খেলা হওয়া নিয়ে গভীর সংশয়! ধাক্কা খেল ভারতের প্রস্তুতি
দলের সব সদস্য সময়মতো গন্তব্যে না পৌঁছতে পারায় ভারত বনাম জর্ডন ফিফা আন্তর্জাতিক ফ্রেন্ডলি ম্যাচটি সম্ভবত বাতিল হতে চলেছে।
বড়সড় ধাক্কা খেতে চলেছে ভারতের এএফসি কাপের প্রস্তুতি। শনিবার জর্ডনের রাজধানী আম্মানে, সেই দেশের ফুটবল দলের সঙ্গে ফিফা আন্তর্জাতিক ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলার কথা ছিল স্টিভেন কনস্টানটাইনের দলে। কিন্তু, সেই ম্যাচটি সম্ভবত বাতিল হতে চলেছে।
জানা গিয়েছে খারাপ আবহাওয়ার জন্য ভারতীয় দলের সব সদস্য সময়মতো আম্মানে না পৌঁছানোতেই এই বিপত্তি। আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও ম্যাচটি বাতিল ঘোষণা করা হয়নি। চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়াটা অবশ্য ভারতের হাতে নেই, তা নেবে জর্ডন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন।
গত এক সপ্তাহ ধরেই মধ্য প্রাচ্যে প্রবল বর্ষণ চলছে। যার জেরে ওই অঞ্চলের বিমান পরিবহন পরিষেবা ব্যহত হচ্ছে। ভারতীয় দলও এই পরিস্থিতির শিকার হয়েছে। গোলরক্ষক গুরপ্রিত-সহ ভারতীয় দলের ১৫ জন সদস্য বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর)-ই জর্ডনে পৌঁছে গেলেও দলের বাকি ৭ সদস্য ও কর্তারা সেই দেশে পৌঁছেছেন শুক্রবার (১৬ নভেম্বর) গভীর রাতে। খারাপ আবহাওয়ার ন্য তাদের বিমান ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কুয়েতের বিমানবন্দরে তাঁদের ১০ ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে।
এর ফলে একরাশ ক্লান্তি নিয়ে তাঁরা জর্ডনে পৌঁছান। ফলে শনিবার তাঁদের পক্ষে মাঠে নামা প্রায় অসম্ভব। ম্য়াচটি পিছিয়ে দেওয়ারও সম্ভাবনা নেই। কারণ ২০ নভেম্বরই জর্ডনের ফুটল দলের খেলা রয়েছে সৌদি আরবের সঙ্গে। এমনকি শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রাক ম্যাচ সাংবাদিক বৈঠকও বাতিল করা হয়।
এই ম্যাচ বাতিল হওয়ায় ভারতের আগামী জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে চলা এএফসি এশিয়ান কাপের প্রস্তুতি বড়সড় ধাক্কা খেল। ভারতীয় কোচ কনস্টানটাইন বরাবরই ভাল মানের দলের বিরুদ্ধে ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলার পক্ষপাতি। বর্তমানে ভারত (৯৭)-এর থেকে ফিফা ক্রমতালিকায় জর্ডন (১১২) পিছিয়ে থাকলেও তাদের বেশ শক্তিশালী।
তার থেকেও বড় কথা এশিয়ান কাপ হবে আরব আমিরশাহিতে। জর্ডনের আবহাওয়া ও জলবায়ু প্রায় সেই দেশের মতোই। কাজেই এই ম্যাচে মধ্যপ্রাচ্যের আবহাওয়ায় খেলার অভিজ্ঞতা সংগ্রহের ভাল সুযোগ ছিল ভারতীয় দলের কাছে। তাছাড়া, ভারতের হাতে এরমধ্যে আর খুব বেশি ম্যাচও নেই। শনিবারের ম্যাচ না হলে তাদের হাতে এএফসি কাপের আগে আর মাত্র একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সুযোগ থাকবে - আগামী ২৭ ডিসেম্বর ওমানের বিরুদ্ধে খেলবেন সুনিল-সন্দেশরা।