Euro 2020 : মিউনিখে রামধনু আলো নিষেধ করে নিজেই রঙিন উয়েফা, ভাইরাল পোস্ট
Euro 2020 : মিউনিখে রামধনু আলো নিষেধ করে নিজেই রঙিন উয়েফা, ভাইরাল পোস্ট
মিউনিখের আলিয়াঞ্জ এরেনাকে রামধনু আলোয় সাজাতে না দিয়ে নিজেরাই সাত রঙে রঙিন হল উয়েফা। অস্তিত্বের লড়াইয়ে তারা যে সমকামী, উভকামী এবং রূপান্তরকামী বা এলজিবিটি সম্প্রদায়ের মানুষদের পাশে রয়েছ, বুধবার তা বুঝিয়ে দিল ইউরোপের ফুটবল সংস্থা। তা বলে মিউনিখের মেয়রের আবেদন খারিজ করা অনুচিত কাজ হয়েছে, তাও মানতে চায় না উয়েফা।
— UEFA (@UEFA) June 23, 2021 |
রঙিন হল ফিফা
এলজিটিবি সম্প্রদায়ের মানুষদের পাশে দাঁড়াল উয়েফা। তাঁদের ইচ্ছা, চাহিদা এবং ভালোবাসাকে সম্মান জানাতে নিজেদের লোগোর রং রামধনু দিয়ে সাজিয়েছে ইউরোপীয় ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা। সাত রঙে সুসজ্জিত হয়ে তারা একটি বিবৃতিও লিখেছে। যেখানে মতাদর্শ ও ভাবনার সাম্য ও স্বাধীনতার কথা বলেছে উয়েফা। সরাসরি না হলেও তারা পরোক্ষে হাঙ্গেরি সরকারের কড়া এলজিবিটি আইনের বিরুদ্ধেই যে সরব হয়েছে, তা বোঝাই যাচ্ছে।
মিউনিখের সিদ্ধান্তে না
সম্প্রতি সমকামীদের জন্য দেশে কড়া আইন চালু করেছে হাঙ্গেরি সরকার। তার প্রতিবাদে ভারতীয় সময় অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট দেশের বিরুদ্ধে জার্মানির ম্যাচ চলাকালীন সমকামীদের প্রতীক রামধনু রঙের আলোয় মিউনিখের আলিয়াঞ্জ এরেনা সাজানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন শহরের দাইতের রেইতের। সেই প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছিল উয়েফা। সংস্থার তরফে এক বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছিল যে তারা নিরপেক্ষ। কোনও রাজনৈতিক মতাদর্শ বা আদর্শে তারা প্রভাবিত হবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছিল ইউরোপের ফুটবল নিয়ামক সংস্থা। যদিও আজকের বিবৃতিতে তাদের এই সিদ্ধান্তকে আরও একবার সঠিক বলে দাবি করেছে উয়েফা।
ক্রিস্টোফার স্ট্রিট লিবারেশন ডে
তবে মিউনিখকে কিছুটা ছাড়ও দিয়েছে উয়েফা। হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে ম্যাচে না হলেও ঐতিহ্য মেনে ২৮ জুন কিংবা ৩ থেকে ৯ জুলাইয়ের মধ্যে ক্রিস্টোফার স্ট্রিট লিবারেশন ডে উপলক্ষ্যে মিউনিখ স্টেডিয়াম রামধনু আলোয় সাজানো হলে তারা পাশে থাকবে বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে ইউরোপীয় ফুটবল সংস্থা। ১৯৬৯ সালে নিউ ইয়র্কে সমকামী আন্দোলনের স্মরণে এই দিবসটি প্রতি বছরই পালন করা হয়ে থাকে।
নয়ারকেও ছাড় দিয়েছিল উয়েফা
চলতি ইউরো কাপের এফ গ্রুপে ফ্রান্স ও পর্তুগালের বিরুদ্ধে ম্যাচে চলাকালীন জার্মানি ফুটবল দলের গোলরক্ষক তথা অধিনায়ক ম্যানুয়েল নয়ারকে হাতে রামধনু ব্যান্ড পরে খেলতে দেখা যায়। যা সাধারণত এলজিবিটি কমিউনিটির প্রতীক বহন করে। ইউরো শুরুর আগে প্রদর্শনী ম্যাচেও নয়ারকে একই আর্ম ব্যান্ড পরে মাঠে নামতে দেখা গিয়েছিল। বিষয়টি উয়েফার নজরে পড়তেই তারা কড়া হওয়ার মন বানিয়ে ফেলেছিল। এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় বিবৃতি লিখে জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, ম্যানুয়েল নয়ারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে না উয়েফা। কারণ জার্মান গোলরক্ষক তথা অধিনায়কের হাতে পরিলক্ষিত হওয়া 'রামধনু ব্যান্ড' কোনও সম্প্রদায় কিংবা রাজনৈতিক মতাদর্শের থেকে নয়, বৈচিত্র এবং 'ভাল কারণ' বোঝাতে ব্যবহার করা হয়েছে বলে উয়েফাকে জানিয়েছিল ডিএফবি।