Euro 2020 : ইতালির জয় থেকে ইংল্যান্ডের লড়াই, সদ্য শেষ হওয়া ফাইনালের গুরুত্বপূর্ণ পরিসংখ্যান
Euro 2020 : ইতালির জয় থেকে ইংল্যান্ডের লড়াই, সদ্য শেষ হওয়া ফাইনালের গুরুত্বপূর্ণ পরিসংখ্যান
ইউরো কাপের হাই-ভোল্টেজ ফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দিয়েছে ইতালি। এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য খেতাব ঘরে তুলেছে আজুরিরা। অন্যদিকে ইউরো কাপ জয়ের ঝুলি শূন্যই থেকে গিয়েছে ব্রিটিশদের। সবমিলিয়ে ওই ফাইনালের কিছু পরিসংখ্যানের দিকে নজর ফেরানো যাক। বিস্তারিত দেখে নিন।
ইতালির ষষ্ঠ আন্তর্জাতিক রেকর্ড
১৯৬৮ সালে প্রথমবার ইউরো কাপ জিতেছিল ইতালি। ৫৩ বছর পর ফের একই খেতাব অর্জন করল আজুরিরা। সবমিলিয়ে দুই বার ইউরো কাপ চ্যাম্পিয়ন হল ইতালি। সবমিলিয়ে মোট ৬টি আন্তর্জাতিক খেতাব দখল করেছে নীল জার্সির দল। যার মধ্যে চারটি বিশ্বকাপ সামিল ছিল। তালিকার শীর্ষে থাকা জার্মানি ইউরো এবং বিশ্বকাপ মিলিয়ে মোট সাতটি আন্তর্জাতিক খেতাব জিতেছে।
ইতালির অন্য পরিসংখ্যান
সদ্য শেষ হওয়া ইউরো কাপে প্রথমবার শুরুতে গোল হজম করতে হয়েছে ইতালিকে। আজুরিদের দলের অন্যতম সদস্য মার্কো ভেরেত্তি টুর্নামেন্টে ১৪ বার গোল করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করেন। যা এক রেকর্ড। ইউরো এবং বিশ্বকাপ মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি গোলের সুযোগ (২৯) তৈরি করার বিশ্বরেকর্ড রয়েছে বেলজিয়ামের কেভিন দে ব্রুইনের।
বোনুচ্চির রেকর্ড
৩৪ বছর ৭১ দিন বয়সে ইউরো কাপের ফাইনালে গোল করে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন লিওনার্দো বোনুচ্চি। টুর্নামেন্টের ফাইনালে এত বয়সে এর আগে কোনও ফুটবলার গোল করতে পারেননি। ১৯৭৬ সালের ইউরো কাপের ফাইনালে ৩০ বছর ১০৩ দিন বয়সে গোল করেছিলেন জার্মানির বার্নড হোলজেনবেইন। সেই রেকর্ড এদিন ভেঙে দিয়েছেন ইতালির বোনুচ্চি। দ্বিতীয় বারের জন্য ইউরো কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইতালি। রবিবারের জয়ের কারিগর লিওনার্দো বোনুচ্চিকে ম্যাচের সেরা ঘোষণা করা হয়। যিনি আবার ১৮ বার টুর্নামেন্টে খেলতে নেমে ইতালির কিংবদন্তি গিয়ানলুইগি বুফনকে টপকে দেশের সেরা হয়েছেন। দেশের হয়ে ১৭টি ইউরো কাপের ম্যাচ খেলেছেন আজুরিদের প্রাক্তন অধিনায়ক। একই প্রেক্ষাপটে বিশ্বতালিকার শীর্ষে রয়েছেন ইংল্যান্ডের অ্যাসলে কোল। যিনি দেশের হয়ে ২২ বার ইউরো কাপে মাঠে নেমেছেন। ইংল্যান্ডের পিটার শিল্টন ও ডেভিড বেকহ্যাম যথাক্রমে ইউরো কাপের ২০ এবং ১৯টি ম্যাচ খেলেছেন।
ইংল্যান্ডের ব্যর্থতা
প্রথমবার ইউরো কাপের ফাইনালে পৌঁছেও খেতাব জিততে ব্যর্থ হয়েছে ইংল্যান্ড। ঘরের মাঠ ওয়েম্বলিতে টাইব্রেকারে হার হজম করতে হয় ব্রিটিশদের। ইউরো এবং বিশ্বকাপ মিলিয়ে মোট ৯টি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের নক আউটে ৭টি পেনাল্টি শুট আউট হেরেছে ইংল্যান্ড। ওয়েম্বলির ফাইনালে হ্যারি কেনদের বল পসেসন ছিল ৩৪.৪ শতাংশ। যা গত পাঁচ বছরের নিরিখে সর্বনিম্ন।
ইংল্যান্ডের ভাল দিক
ইতালির বিরুদ্ধে ইউরো কাপের ফাইনালে প্রথমার্ধের ১.৫৭ মিনিটের মাথায় সুযোগসন্ধানী গোলটি আসে শ-র বুট থেকে। সেখান থেকেই নতুন ইতিহাস লেখা হয়। স্পেনের চুস পেরেদার রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন লুক শ। ১৯৬৪ সালের ইউরো ফাইনালে রাশিয়ার (তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন) বিরুদ্ধে ৫.১৭ মিনিটে গোল করেছিলেন ওই স্প্যানিশ ফুটবলার। ১৯ বছর ৩০৯ দিন বয়সে ইউরো কাপের ফাইনাল খেলেছেন ইংল্যান্ডের বুকায়ো সাকা। চতুর্থ ইউরোপীয়ান ফাইনালিস্ট হিসেবে তিনি এই নজির গড়েছেন। ইতালির বিরুদ্ধে গোল করার বা গোল তৈরির সুযোগ নষ্ট করেছেন হ্যারি কেন। ইংল্যান্ডের জার্সি ৬১ ম্যাচ খেলে ফুটবলারের জীবনে দ্বিতীয়বার এমন ঘটনা ঘটল।