কোয়েসের সৌজন্যে লকডাউনে আস্তানাহীন ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলাররা! ম্যানেজমেন্টও উদাসীন
কোয়েসের সৌজন্যে লকডাউনে আস্তানাহীন ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলাররা! ম্যানেজমেন্টও উদাসীন
বিনিয়োগকারী সংস্থা কোয়েস হাত তুলে নেওয়ায় করোনা ভাইরাসের জেরে লকডাউনে আস্তানা হারালেন ইস্টবেঙ্গলের বিদেশি ফুটবলার এবং অফিসিয়ালরা। এহেন কঠিন পরিস্থিতিতে ম্যানেজমেন্টও তাঁদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন না বলে অভিযোগ করা হয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটেছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
কোয়েসের কীর্তি
করোনা ভাইরাসের জেরে জরুরিকালীন পরিস্থিতির অজুহাত দেখিয়ে নির্ধারিত সময়ের এক মাস আগেই ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলারদের সঙ্গে চুক্তি শেষ করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে কোয়েস। লাল-হলুদের কর্তারা এ ব্যাপারে তীব্র আপত্তি তুললেও বিনিয়োগকারী সংস্থা তাঁদের কথা শুনতে রাজি নয় বলে সূত্রের খবর।
ফুটবলারদের বেতন বাদ
চুক্তি অনুযায়ী চলতি মরশুমের শেষ পর্যন্ত ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলারদের বেতন দেওয়ার দায়িত্ব কোয়েসের। ৩১ মে পর্যন্ত বেতন পাওয়ার কথা ফুটবলারদের। কিন্তু সূত্রের খবর, কোয়েস কর্তা সঞ্জিত সেন নাকি ই-মেলের মাধ্যমে লাল-হলুদ খেলোয়াড়দের জানিয়ে দিয়েছেন যে ৩০ এপ্রিলেই শেষ হয়েছে চুক্তি। তাই মে মাসের পারিশ্রমিক পাবেন না ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলাররা।
এফপিএআই-র দ্বারস্থ
মে মাসের বেতন চুকিয়ে দিক কোয়েস, এই দাবিতে ফুটবল প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া বা এফপিএআই-র দ্বারস্থ হয়েছেন ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলাররা। মোট ১২ জন ফুটবলারের আবেদন প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের কাছে জমা পড়েছে বলে সূত্রের খবর। ইস্টবেঙ্গলের বিক্ষুব্ধ ফুটবলারদের জমা দেওয়া আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রথমে তারা বিনিয়োগকারী সংস্থা কোয়েসের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছে ফুটবল প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া। তাতে সমস্যার সমাধান না হলে তাঁরা সরাসরি এআইএফএফ-র দরজায় কড়া নাড়বেন বলে জানিয়েছেন এফপিএআই-র এক কর্তা।
ফ্ল্যাট খালি করার নির্দেশ
বেতনের পাশাপাশি ইস্টবেঙ্গল ফুটবলার (বিশেষ করে বিদেশি ফুটবলার) ও অফিসিয়ালদের থাকার জন্য ফ্ল্যাটের খরচও দিচ্ছিল কোয়েস। চুক্তি ভঙ্গ হওয়ায়, সে সবের থেকেও দায় এড়িয়ে গিয়েছে ওই বিনিয়োগকারী সংস্থা। ফলে ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলার ও (বিশেষ করে বিদেশি ফুটবলারদের) অফিসিয়ালদের অবিলম্বে ফ্ল্যাট খালি করে দেওয়ার নোটিশ দিয়েছে মালিক পক্ষ। ২০ মে বা বুধবারের মধ্যে ফুটবলারদের তাঁদের সব জিনিস নিয়ে বিদায় নিতে বলা হয়েছে। লকডাউনের মধ্যে বিকল্প থাকার জায়গা ঠিক করতে কালঘাম ছুটছে বিদেশি ফুটবলারদের। ম্যানেজমেন্টও তাঁদের কথা শুনছে না বলে অভিযোগ।
থেকে যাওয়া বিদেশিদের বিপদ
করোনা ভাইরাসের আবহে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানে খেলা অধিকাংশ বিদেশি ফুটবলার এবং কোচেরা নিজেদের দেশে ফিরে গিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে কয়েক জন কলকাতায় থেকে গিয়েছেন। লকডাউনের জেরে জারি থাকা অচলাবস্থায় নতুন আস্তানা খুঁজতে ক্লাব কর্তাদের দ্বারস্থ হয়েছেন বিদেশি ফুটবলাররা।