আইএসএল খেলাই লক্ষ্য, ফের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দরবার ইস্টবেঙ্গলের!
আইএসএল খেলতে চেয়ে ফের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দরবার ইস্টবেঙ্গলের!
আইএসএল খেলতে বদ্ধপরিকর ইস্টবেঙ্গল। সেই অভিষ্ট পূরণ করতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই শেষ সম্বল ধরে এগোচ্ছেন লাল-হলুদের কর্তারা। তাই তাঁরা নেত্রীর কাছেই বারবার ছুটে যাচ্ছেন। গেলেন আবারও। স্বাগত জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা
সূত্রের খবর, আরও একবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নবান্নে গিয়ে দেখা করেন ইস্টবেঙ্গলের এক শীর্ষ কর্তা। সেই আলোচনা থেকে নাকি ইতিবাচক দিক উন্মোচন হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী নাকি আরও একবার ইস্টবেঙ্গলকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। আর তাতেই ফের নতুন করে আইএসএল খেলার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে লাল-হলুদ।
এআইএফএফ-কে চিঠি
ইস্টবেঙ্গেলকে আইএসএল খেলার সুযোগ করে দিতে এর আগেও পদক্ষেপ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লাল-হলুদের পাশে দাঁড়িয়ে ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন বা এআইএফএফ-কে চিঠি লিখেছেন রাজ্যের প্রশাসনিক সুপ্রিমো। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে ইস্টবেঙ্গলের পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলগুলিও।
তবে কী ওড়িশা মডেল?
ফুটবলের প্রসারে ইতিমধ্যেই উদ্যোগী হয়েছে নবীন পট্টনায়কের ওড়িশা সরকার। আর্থিক সমস্যায় জর্জরিত দিল্লি ডায়ানামোস দলকে নানা সুযোগ সুবিধা দিয়ে ওড়িশায় নিয়ে আসা হয়েছে। ওড়িশা এফসি নামে গত মরশুমের আইএসএলও খেলেছে ওই দল। ইস্টবেঙ্গলকে তরতাজা করতে কি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার একই রকম উদ্যোগ নিতে চলেছে, সেই প্রশ্নের উত্তরও দিয়েছেন লাল-হলুদ কর্তারা। বলেছেন, সরাসরি না হলেও ইস্টবেঙ্গলের জন্য বিনিয়োগকারী খুঁজে দিতে পারে সরকার।
ইস্টবেঙ্গল বনাম কোয়েস
কোয়েসের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের বিচ্ছেদ প্রক্রিয়া এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। কারণ বেঙ্গালুরুর ওই সংস্থার কাছ থেকে এখনও ক্লাবের স্পোর্টিং রাইটস ফিরে পায়নি লাল-হলুদ। সেটি না পেলে ইস্টবেঙ্গলের এএফসি ক্লাব লাইসেন্স যে নবীকরণ হবে না, তা নিশ্চিত। এই ইস্যুতে ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের দেওয়া সময়সীমাও শেষ হতে চলেছে।