ফের হার ইস্টবেঙ্গলের, ঘরের মাঠে দুই বারের লিগ জয়ীদের বিরুদ্ধে জয়ের দেখা পেল না লাল-হলুদ
ফের হার ইস্টবেঙ্গলের, ঘরের মাঠে দুই বারের লিগ জয়ীদের বিরুদ্ধে জয়ের দেখা পেল না লাল-হলুদ
জয়ের মুখ দেখতে ব্যর্থ ইস্টবেঙ্গল। ডার্বি ম্যাচে এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে পরাজিত হওয়া ইস্টবেঙ্গল শুক্রবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গণে ঘুরে দাঁড়াবে এই আশা নিয়ে যে সকল সমর্থকেরা মাঠ ভরিয়েছিলেন তাঁদের নিরাশ হয়েই মাঠ ছাড়তে হল। গোল করে দলকে জেতানো ছাড়া সবই করতে পারেন ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা। যে দলের কোচের নাম স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন, সেই দলের থেকে আরও কত ভাল ফুটবল আশা করা যায়। ক্রমাগত ব্যর্থ হওয়া একটা দলকে কী ভাবে ঘুরে দাঁড় করানো যায় সেই পথ খুঁজে না পেয়ে ব্রিটিশ কোচ ব্যস্ত অজুহাত খুঁজতে। চেন্নাইয়ান ম্যাচে হারের পরেও অজুহাত নিশ্চিত ভাবে তৈরি করে ফেলেছেন স্টিফেন।
ঘরের মাঠে আর প্রতিপক্ষের মাঠে খেলা দু'টোই এখন একই রকম হয়ে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গলের কাছে। ঘরের মাঠে হোম টিম সব সময় দর্শকের সমর্থনকে কাজে লাগায় কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের সেই অবকাশই নেই। কারণ সমর্থকদের গর্জন তখন তো প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলবে যখন দল ঠিক মতো খেলতে পারবে। যেই দলটা দু'টো পাস নিজেদের মতো ঠিক ভাবে খেলতে পারে না, সেই দল কী ভাবে সমর্থকদের চিৎকারকে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে আরও একটি অস্ত্র হিসেবে কাজে লাগাবে।
শুক্রবার আরও এক বার লাল-হলুদের খেলা দেখে মনে হয়েছে এই দলটা ৯০ মিনিট খেলার মতো জায়গায় নেই। দ্বিতীয়ার্ধের ৭০ মিনিট থেকেই হাঁপিয়ে উঠছিলেন ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা। এত দিন সময় হাতে পেয়েও একটা দল কী ভাবে এখনও ফিট করে তুলতে পারলেন না ফিজিও সেটাও এখন প্রশ্ন। তবে, একের পর এক প্রশ্ন থাকবে স্টিফেনের জন্য। তিন মাসের বেশি সময় পেয়েও দলকে কেন এখনও গড়ে তুলতে পারলেন না তিনি। ভারতীয় দলের প্রাক্তন কোচের কিক অ্যান্ড রান ফুটবল যে ব্যাকডেটেড তা বোঝার মতো ফুটবল বুদ্ধি ব্রিটিশ কোচের রয়েছে কি না সন্দেহ! দ্বিতীয়ার্ধের ১৯ মিনিটের মাথায় অর্থাৎ ম্যাচের ৬৯ মিনিটে চেন্নাইয়িনের হয়ে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন ভাফা হাখামানেসশি। আগে একটি হলুদ কার্ড দেখেছিলেন ভাফা। গোল করে জার্সি খোলার কারণে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে ৭০ মিনিটে মাঠ ছাড়েন তিনি। ৭৫ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে সার্থক গলুই মাঠ ছাড়লে ইস্টবেঙ্গলও ১০ জনে হয়ে যায়। এই ম্যাচে হারের ফলে ১০ নম্বরে নেমে এল লাল-হলুদ এবং চেন্নাইয়িন উঠে এল ৫ নম্বরে।