East Bengal: আইএসএল-এ দাপিয়ে বেড়ানো এই ফুটবলারের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়াল ইস্টবেঙ্গল
East Bengal: আইএসএল-এ দাপিয়ে বেড়ানো এই ফুটবলারের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়াল ইস্টবেঙ্গল
দল গোছানোর কাজ আগেই শুরু করে দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। ব্যান থাকার ফলে এবং সংশ্লিষ্ট ফুটবলারদের সঙ্গে আগের ক্লাবের চুক্তির মেয়াদ কয়েক দিন বাকি থাকায় এখনও চূড়ান্ত চুক্তিপত্রে সই করাতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। প্রি কনট্র্যাক্ট ড্রাফটে সই করিয়ে রাখছে শতাব্দী প্রাচীন এই ক্লাব।
এ বার আসন্ন মরসুমের দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে শেষ দুই বছরের সৈনিক ওয়াহেংবাম আঙ্গুসানা লুয়াং-এর সঙ্গে চুক্তি নবীকরণ করল ইস্টবেঙ্গল। মনিপুরের এই মিডফিল্ডারের সঙ্গে দুই বছরের নতুন চুক্তি করেছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। আই লিগের দল ট্রাউ এফসি থেকে আঙ্গুসানাকে সই করিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। আইএসএল-এর প্রথম মরসুমে রবি ফাওলারের কোচিং-এ এবং দ্বিতীয় মরসুমে মানলো ডিয়াজ, রেনেডি সিং এবং পরবর্তীতে মারিও রিভেরার কোচিং-এ নিজেকে মেলে ধরেছেন আঙ্গু।
সাগোসবান্দ এফসি'র হয়ে নিজের ফুটবল কেরিয়ার শুরু করেন আঙ্গুসানা। এর পর আই লিগের দল ট্রাউ এফসি'তে সই করেন তিনি। যদিও সেই সময়ে দ্বিতীয় ডিভিশন আই লিগে খেলত ট্রাউ। দ্বিতীয় ডিভিশন আই লিগে মনিপুরের ক্লাবটির হয়ে ১২টি ম্যাত খেলেন তিনি এবং আই লিগের মূল পর্বে দলকে ওঠানোর পিছনে গুরুত্বপূর্ণ রাখেন। আই লিগের মূল পর্বে ট্রাউয়ের হয়ে ১৭টি ম্যাচে প্রতিনিধিত্ব করেছেন আঙ্গুসানা।
ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতে এখনও পর্যন্ত ২৮টি ম্যাচে প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি এবং বিগত দুই মরসুমের অন্যতম সেরা ফুটবলার ছিলেন তিনি। গত মরসুমে দু'টি অ্যাসিস্ট করেছিলেন তিনি। গোটা মরসুমে একটিও হলুদ কার্ড বা লাল কার্ড দেখেননি আঙ্গু। তাঁর নির্ভুল পাস ছিল ৭৬.৯২ শতাংশ। প্রথম মরসুমে একটি গোলের নেপথ্যে নিজের অবদান রেখেছিলেন। নির্ভুল পাস ছিল ৮১.৭৮ শতাংশ। তবে, ইস্টবেঙ্গলের পারফরম্যান্স দুই মরসুমেই অত্যন্ত জঘন্য ছিল। ২০২০-২১ মরসুমে প্রথম বার আইএসএল-এ সুযোগ পেয়ে নবম স্থানে শেষ করে লাল-হলুদ। তিনটি ম্যাচে জয় এবং আটটি ম্যাচ ড্র করেছিল তারা। পরবর্তী মরসুম অর্থাৎ ২০২১-২২ আইএসএল-এ আরও অবনতি ঘটে ইস্টবেঙ্গলের পারফরম্যান্সে। গোটা মরসুমে মাত্র একটি ম্যাচ জেতে ঐতিহ্যশালী ইস্টবেঙ্গল, আটটি ম্যাচ ড্র করে ১১ পয়েন্ট নিয়ে এগারো দলের লিগে সবার নীচে শেষ করে ইস্টবেঙ্গল।