আর বাংলা নয়, এবার ব্যাগ গুছিয়ে মুম্বই চললেন অবিনাশ
মুক্তি পেয়ে গেলেন অবিনাশ রুইদাস। ইস্টবেঙ্গল থেকে মিলে গেল ছাড়পত্র
এক ফোনেই বাজিমাত। দিল্লি -র ফুটবল হাউস থেকে একটা ফোন আসে আইএফএ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে। আর তাতেই মিলে গেল সমাধান সূত্র। যে পরিণতি জানা ছিল তাতেই পড়ে গেল সিলমোহর। এবার মুম্বই সিটি এফসি-র জার্সি গায়েই খেলবেন অবিনাশ রুইদাস।
লম্বা চলা বিতর্কে দাঁড়ি পরে গেল। সিদ্ধান্ত হয়ে গেল ইস্টবেঙ্গলে নয়, সামনের মরসুমে আইএসএলের ক্লাব মুম্বই সিটি এফ সি-তে খেলতে দেখা যাবে বজবজের এই প্রতিশ্রুতিমাণ মিডফিল্ডার।
দিল্লিতে কথাবার্তা হয়েই গিয়েছিল। শুধু বাকি ছিল কাগজপত্র তৈরির ব্যাপারটি। শুক্রবার আইএফএ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায়ের মধ্যস্ততায় অবিনাশের আইনজীবীর সঙ্গে ইস্টবেঙ্গল প্রতিনিধির বৈঠকে তা চূড়ান্ত হয়ে যায়। অবিনাশ ছাড়পত্র চেয়ে চিঠি দিয়েছিলেন পুরানো ক্লাবকে। ছাড়পত্র দিয়ে দিচ্ছে লাল-হলুদ। শুধু তাই নয়, অবিনাশের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের চুক্তি সমস্যা যে মিটে গিয়েছে সেটা একযোগে লিখিতভাবে জানাচ্ছেন দু' পক্ষই। আইএফএ সচিব জানিয়েছেন, 'ফেডারেশনের প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটিকে দু'পক্ষ একটি চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিচ্ছে আর এটা নিয়ে আলোচনার দরকার নেই। সমস্যা মিটে গিয়েছে।'
আসলে ফেডারেশন সচিব কুশল দাস উৎপল গঙ্গোপাধ্যায়কে ফোন করে ইস্যুটি নিষ্পত্তি করে নেওয়ার নির্দেশ দেন, এরপরই ব্যক্তিগত উদ্যোগে অবিনাশের আইনজীবী ও ইস্টবেঙ্গল কর্মকর্তাদের ডেকে পাঠানো হয়। সেখানেই আশ্চর্যভাবে এতদিন ধরে চলা ইস্যুর সমাধানসূত্র বেরিয়ে যায়।
অবিনাশ সমস্যা মিটে গেলেও কলকাতা লিগের ডার্বি কোথায় হবে তা নিয়ে ধোঁয়াশা রাখল আইএফএ। এ দিন আলোচনা চালিয়েও সমস্যার সমাধান হয়নি। ১৭ সেপ্টেম্বর বিশ্বকর্মা পুজোর দিন ডার্বি শিলিগুড়িতে করার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে রাজ্য ফুটবল সংস্থা। মাঠ ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। বন্যার ফলে শিলিগুড়িতে তা না হলে কল্যাণীর কথা ভাবা হবে।