মোহনবাগান সচিবের পদে দেবাশিসের বসা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা, এক নজরে প্রস্তাবিত কমিটি
মোহনবাগান সচিবের পদে দেবাশিসের বসা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা, এক নজরে প্রস্তাবিত কমিটি
মোহনবাগান নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় শনিবার (১২ মার্চ) সবুজ-মেরুন তাঁবুর বাইরে। একদল অজ্ঞাত পরিচয় যুবক হকি স্টিক, ব্যাট, এমনকী বাঁশ নিয়েও তেড়ে যান ক্লাবের বাইরে জমায়েত করা কিছু ব্যক্তির দিকে। ক্লাবের বাইরে দাঁড় করানো প্রাক্তন ফুটবলার সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের গাড়িতেও ভাঙচুর করেন। তবে, সমস্ত দায় গা থেকে ঝেড়ে ফেলে ক্লাবের পক্ষ থেকে অর্থ-সচিব তথা আগামী দিনের সচিব পদে মনোনয়ন জমা দেওয়া দেবাশিস দত্ত জানিয়েছেন, যাঁরা এই কাজ করেছেন তাঁদের সঙ্গে ক্লাবের কোনও যোগাযোগ নেই। তাঁরা বাইরের লোক।
১৭ মার্চ নির্বাচন কমিটি যাবতীয় মনোনয়ন নিরীক্ষণ করার পর নতুন কমিটির নাম ঘোষণা করবে। নির্বাচনের জন্য একমাত্র মনোনয়োন পেশ করেছে দেবাশিস দত্ত'র প্যানেল। তাঁদের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে অন্য কোনও প্যানেল নিজেদের মনোনয়ন জমা দেয়নি। ফলে বিপক্ষ না থাকলে বিনা নির্বাচনেই নতুন সচিব পদে বসবেন দেবাশিস দত্ত।
দীর্ঘদিন ক্লাবের অর্থসচিব থাকলেও, ফুটবল সচিব স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শে (বাবুন) এবার সচিব পদে মনোনয়ন পেশ করেছেন দেবাশিস দত্ত। বাবুনের সঙ্গে একটা সময়ে মধুর সম্পর্ক না থাকলেও বিগত কয়েক মাসে সম্পর্কের রসায়ন পুরো বদলে গিয়েছে।
সুভাষ ভৌমিক সহ এগারোর জনের স্মরণ সভায়ও দু'জনকে একাধিকবার একান্ত ভাবে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করতে দেখা গিয়েছিল।
গতবারের নির্বাচনের শেষ মুহূর্তে ঘুরে গিয়ে অঞ্জন মিত্রের গোষ্ঠী থেকে সরে টুটু বসুর গোষ্ঠীতে নাম লিখেয়েছিলেন বাবুন। এ বারও তিনিই পিছন থেকে পরিচালনা করছেন এই নির্বাচনকে।
মনোনয়ন জমা দেওয়া পুরো প্যানেলের নাম ঘোষণা করার পর দেবাশিস বলেছেন, "ক্লাবের সকলের সমর্থন আমাদের সঙ্গে রয়েছে। টুটু বোসের সঙ্গেও কথা হয়েছে। অনেক নতুন নামের সঙ্গে মানস ভট্টাচার্যর মতো ফুটবল ব্যক্তিত্বও আমাদের প্যানেলে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।" তিনি আরও বলেন, "মোহনবাগান ক্লাবের ১০ হাজার সদস্যের মধ্যে ৫ হাজার সদস্যই পদে আসার মতো যোগ্য। কিন্তু সবাইকে তো নেওয়া সম্ভব হয় না। ঐতিহ্য মেনে প্রাক্তন ফুটবলারদের কিন্তু প্যানেলে রাখা হয়েছে।"
এর আগে কার্যকরী কমিটিতে মহিলা সদস্য থাকলেও এবার প্যানেলে কোনও মহিলা নেই।
এক নজরে প্রস্তাবিত কমিটি:
দেবাশিস দত্ত- সচিব, সত্যলজিৎ চট্টোপাধ্যায়- সহ-সচিব, উত্তম কুমার সাহা- কোষাধ্যক্ষ, মুকুল সিনহা- অর্থ সচিব, স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়- ফুটবল সচিব, মহেশ টেকরিওয়াল- ক্রিকেট সচিব, শুভাশিস পাল- হকি সচিব, সন্দীপন বন্দ্যোপাধ্যায়- টেনিস সচিব, তন্ময় চট্টোপাধ্যায়- মাঠ সচিব, দেবাশিস মিত্র-অ্যাথলেটিক্স সচিব, মানস ভট্টাচার্য- যুব ফুটবল সচিব।
এক্সিকিউটিভ কমিটি
রঞ্জন বসু, সমীর চট্টোপাধ্যায়, পার্থজিৎ দাস, দেবাশিস চট্টোপাধ্যায়, চিন্ময় চট্টোপাধ্যায়, পিনাকী রঞ্জন দাস, দেবাশিস রায়, সোমেশ্বর বাগুই, দেবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, সম্রাট ভৌমিক, সাত্যকী দে।