গত বিশ্বকাপের রানার আপদের আটকে দিল অ্যাটলাসের সিংহরা, গোল বিহীন ভাবে শেষ ক্রোয়েশিয়া - মরক্কো ম্যাচ
গত বিশ্বকাপের রানার আপদের আটকে দিল অ্যাটলাসের সিংহরা, গোল বিহীন ভাবে শেষ ক্রোয়েশিয়া - মরক্কো ম্যাচ
রাশিয়া বিশ্বকাপ রানার আপ হিসাবে শেষ করেছিল ক্রোয়েশিয়া। তারপর থেকে তেমন ভাবে ভাল খেলতে দেখা যায়নি তাঁদের। ২০২২ বিশ্বকাপ যাত্রা শুরুটা খুব একটা ভালো হল না। মরক্কোর বিরুদ্ধে গোল শূন্য ড্র করল তাঁরা।
লড়াই সেয়ানে সেয়ানে
ক্রোটদের থেকে বেশ পিছনে রয়েছে আফ্রিকার এই দেশ। গুনে গুনে দশ ধাপ পিছনে। তবে লড়াই চালিয়ে গেল সেয়ানে সেয়ানে। জমি ছাড়ল না তার ফলে ম্যাচে স্পষ্ট। গতবারের রানার আপরা এবারে বিশ্বকাপ শুরু করল ড্র করে। জ্লাতকো দালিক হুলেন ক্রোয়েশিয়ার কোচ। তাঁর দল বল নিজেদের কাছে রেখেছিল। ওয়ালিদ রেগ্রাগুইয়ের প্রসিক্ষনে খেলছে মরক্কো। তাঁর ছেলেরা বল কম পেল কিন্তু বল পেলেই করল আক্রমণ। জায়গা ছাড়লা না। বল দখল তো গোল দখল ভাবনা কাজে আসেনি ক্রিয়েশিয়ার। বিপক্ষও কম গেল না গোল দখলের ব্যর্থতায়। আসলে দুই দল তেকাঠি চিনতে পারেনি ভালো করে। ফলে হতাশার ড্র। বেশি হতাশ হবে ক্রোটরাই। পোল্যান্ড ম্যাচের মত এই ম্যাচও শেষ হল গোল বিহীন অবস্থায়।
ম্যাচে দুই দল মিলিয়ে মোট ১৪টি শট অন টার্গেট ছিল। কিন্তু ফল শূন্য। গোলের মধ্যে নেই সেই শট। এপাশ ওপাশ দিয়ে বল যায় নয় গোলকিপারের হাতে বল চলে গেল। ফেল ফরোয়ার্ড লাইন, এবং তা উভয় পক্ষেরই। তবে হল টা কী? মারামারি, গাদাগাদি। বল রাখার চেষ্টা। খুব একটা ভালো ফুটবল হল না বলেই বলছে বিশেষজ্ঞরা। পোল্যান্ড মেক্সিকো ম্যাচে ভালো মুহূর্ত ছিল এই ম্যাচে তা মেলেনি বিশেষ। লড়াই হয়ে সেয়ানে সেয়ানে। তা গোল বাচাবার এবং গোল মিস করার।
গোলকিপারের ভুল
ম্যাচের
১৭
মিনিট।
গোলকিপারের
ভুল
বল
গেছিল
পেরসিচের
কাছে।
বল
গোলে
না
মেরে
উড়িয়ে
দিলেন
উপর
দিয়ে।
পালটা
হানা
দেয়
মরক্কোও।
জিয়েচের
ক্রস
হেড
দিতে
ব্যর্থ
হন
এন
নাসিরি।
ফল
সেই
শূন্য।
এতো
গেল
প্রথম
অর্ধের
গল্প।
দ্বিতীয়ার্ধেও
গল্প
একই।
আক্রমণ
,
পালটা
আক্রমণ
আক্রমণ , পালটা আক্রমণ হয়, কিন্তু তেকাঠি না চিনলে ফুটবলে লড়াই করে আর কী লাভ। ম্যাচ জেতার আসল মন্ত্র তো গোল দখল। তা আর দুই দল করল না, বলা ভালো পারল না। এক মিনিটের মধ্যেন মরক্কো জোড়া সুযোগ পেয়ে হারায়। সোফিয়ান বোফালে শট নেন। আটকে দেন লভরেন। তিনি ক্রোয়েশিয়ার সেন্টার ব্যাক। বল সেখান থেকে গিয়েছিল মাজরাউইয়ের কাছে। শট নিলেন এবার রুখে দিলেন গোলকিপার লিভাকোভিচ।
সেরা সুযোগ
৬২ মিনিটেও এসেছিল একদম সেরা সুযোগ। শুধু ক্রস থেকে পা ঠেকাতে হত। ফের মিস। এন নাসিরি পারলেনই না তা করতে। ৬৫ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে আশরাফ হাকিমির শট আটকে দেন লিভাকোভিচ। ৭১ মিনিট। রণে লুকা মদ্রিচ। ফ্রি কিক নিলেন। হেড দিয়ে বল হাইরে করে দেয় মরক্কোর শক্তপোক্ত ডিফেন্স। কাউন্টার অ্যাটাক করে মরক্কো ঢুকে পড়েছিল ক্রোটদের গোলের দিকে। পাঁচিল হয়ে দাঁড়ান লভরেন।
বিশ্বকাপের দান, ডিমের বাজারে ব্যাপক লাভের মুখ দেখছে ভারতের এই রাজ্য