
প্রতিশোধ নেওয়া হল না, ফ্রান্সের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে কোনওক্রমে হার বাঁচাল ক্রোয়েশিয়া
বিশ্বকাপ ২০১৮-এর ফাইনালে গভীর ক্ষতের স্মৃতি আজও তরতাজা ক্রোয়োশিয়ার প্রতিটা মানুষের মনে। সীমিত ক্ষমতার মধ্যে দিয়ে ইউরোপের এই ছোট দেশটি যে ভাবে বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল তা প্রশংসীত হয়েছিল গোটা বিশ্বে। কিন্তু ফ্রান্সের কাছে ফাইনালে পরাজিত হয়ে সমস্ত স্বপ্নের পতন ঘটে। হাতের সামনে থেকেও বিশ্বকাপ ছুঁতে না পারার বেদনাকৃষ্ট ক্রোয়েশিয়ার মানুষ চোখের জল মুছতে মুছতে জয় ধ্বনি দিয়েছিল লুকা মদ্রিচ-ইভান রাকিটিচদের লড়াইকে।

উয়েফা নেশনস কাপে মঙ্গলবার সেই ফ্রান্সের মুখোমুখি হয়েছিল ক্রোয়েশিয়া। ঘরের মাঠে অনেক হিসেব বুঝে নেওয়ার ম্যাচ ছিল এটি কিন্তু ফরাসি ব্রিগেডের বিরুদ্ধে খুব বেশি কিছু করতে পারল না লুকা মদ্রিচের দল। কোনও ক্রমে হার বাঁচালেন ব্রোজেভিচ-পেরিসিচরা। ম্যাচের ফল ১-১।
ভারতীয় সময়ে মঙ্গলবার রাতে আয়োজিত এই ম্যাচের প্রথমার্ধে কোনও দলই গোলের মুখ খুলতে পারেনি। তবে, দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে মিডফিল্ডার আদ্রিয়ান রারিয়ট এগিয়ে দেন ফ্রান্সকে। ক্লাব ফুটবলে জুভেন্তাসের হয়ে খেলা রাবিয়ট গোলটি করেন উইসাম বেন ইয়েদারের পাস থেকে। এই একমাত্র গোলটি ছাড়া গোটা ম্যাচে কোনও গোল করতে পারেনি ফ্রান্স। প্রথম একাদশের একাধিক তারকাকে রিজার্ভ বেঞ্চে রেখে যাঁরা মূলত প্রথম একাদশে সুযোগ খুব বেশি পান না তাঁদের রেখে দল সাজিয়েছিলেন ফরাসি কোচ।
ক্রোয়েশিয়াকে সমতায় ফেরান আন্দ্রেজ ক্রামারিচ। আন্তে বুদিমিরের পরিবর্তে মাঠে নামা এই ফুটবলার ৮০ মিনিটে পেনাল্টি অর্জন করেন। স্পট থেকে গোল করে দলকে সমতায় ফিরিয়ে আনতে কোনও ভুল তিনি করেননি। বল পজিশনের দিকদিয়ে সমানে-সমানে টক্কর দিয়েছে ক্রোয়েশিয়া এবং ফ্রান্স। ফ্রান্সের দখলে ছিল ৫১ শতাংশ বলের নিয়ন্ত্রণ এবং ক্রোয়েশিয়ার দখলে ছিল ৪৯ শতাংশ বলের নিয়ন্ত্রণ। ফ্রান্স এদিন দু'টি বড় সুযোগ মিস করেছে, একই রকম ভাবে ক্রোয়েশিয়া একটি সহজ সুযোগ হেলায় নষ্ট করেছে।