দলবদলের গুঞ্জনের মধ্যেই ভাইরাল জুভেন্টাস নিয়ে রোনাল্ডোর ইনস্টাগ্রাম পোস্ট
ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো কি জুভেন্টাসেই থাকছেন, নাকি অন্য ক্লাবের পথে পা বাড়াবেন তা নিয়ে চলছে জল্পনা। সিআর সেভেনের মা কিন্তু আগেই বলেছেন, আগামী মরশুমে পর্তুগালের তারকা স্ট্রাইকার খেলবেন অন্য ক্লাবের জার্সি গায়েই। এমন নানা গুঞ্জনের মধ্যে ইনস্টাগ্রামে এক বড় পোস্ট করলেও নিজের ভবিষ্যৎ এখনও স্পষ্ট করলেন না সিআর সেভেন।
আবেগাপ্লুত রোনাল্ডো
স্পেন থেকে ২০১৮ সালে ইতালিতে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। জুভেন্টাসে কাটালেন তিন মরশুম। আরও এক মরশুমও তাঁর এই ক্লাবেই থাকার কথা। কিন্তু ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড বা রিয়াল মাদ্রিদে তিনি আগামী মরশুমে যেতে পারেন, এমন জল্পনাও চলছে কয়েক মাস ধরেই। ৩৬ বছরের পর্তুগালের তারকা সোশ্যাল মিডিয়ায় জুভেন্টাসে নিজের অভিজ্ঞতা নিয়ে যে পোস্ট করেছেন তাতে একটা বিষয় স্পষ্ট যে লক্ষ্য নিয়ে এখানে এসছিলেন তা পূরণ হয়েছে। জুভেন্টাসের হয়ে দ্রুততম একশোটি গোল করার নতুন নজির গড়া রোনাল্ডো লিখেছেন, একজন টপ খেলোয়াড়ের জীবন ও কেরিয়ারে উত্থান-পতন থাকে। বছরের পর বছর ধরে আমরা দারুণ সব দলের হয়ে খেলি, অসাধারণ ভালো ফুটবলারদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে উচ্ছাকাঙ্ক্ষী হয়ে বড় লক্ষ্য তাড়া করি। সেরা জায়গায় নিজেকে ধরে রাখতে ধারাবাহিকভাবে নিজের সেরাটা দিতে হয়।
রোনাল্ডোর লক্ষ্যপূরণ
সদ্যসমাপ্ত মরশুম নিয়ে সিআর সেভেন বলেছেন, এ বছর আমরা সিরি এ জিততে পারিনি। যোগ্য দল হিসেবেই খেতাব জিতেছে ইন্টার, তাদের অভিনন্দন। দলগত ও ব্যক্তিগতভাবেও জুভেন্টাসের হয়ে খেলে যা অর্জন করেছি আমার কাছে তার গুরুত্ব অনেকটা। ইতালিয়ান কাপ, ইতালিয়ান সুপার কাপ বা সিরি এ-তে সর্বাধিক গোলদাতার ট্রফি আমাকে অনেক আনন্দ দিয়েছে। এটা এমন দেশে পেয়েছি যেখানে তা অর্জন করা সহজ ব্যাপার নয়। ইতালিতে প্রথম দিন পা রেখে যে লক্ষ্য স্থির করেছিলাম এগুলির সঙ্গে তা পূর্ণ করতে পেরেছি। এখানে এসে আমি চ্যাম্পিয়নশিপ, ইতালিয়ান কাপ, সুপার কাপ জয়ের স্বাদ পাওয়ার পাশাপাশি সেরা ফুটবলার, সর্বাধিক গোলদাতার পুরস্কার পাওয়া আমার লক্ষ্য ছিল। এমন দেশে নিজস্ব ফুটবল সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িয়ে বড় বড় ক্লাব, দারুণ দারুণ সব ফুটবলার। সেখানে আমি যে স্বীকৃতি পেয়েছি তা বাড়তি তৃপ্তি দিচ্ছে।
রেকর্ডের পিছনে ছুটি না
রোনাল্ডো লিখেছেন, আমি আবারও বলছি আমি রেকর্ডের পিছনে ছুটি না। রেকর্ড আমার পিছনে ছোটে। যাঁরা এর অর্থ বোঝেন না তাঁদের কাছে আরও সহজ বিষয়টি পরিষ্কার করে দিয়ে বলতে চাই, ফুটবল দলগত খেলা। ফুটবলাররা নিজেদের সেরাটা দিলে তবেই কোনও দল অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে। মাঠে বেশি সময় দিলে, কঠোর পরিশ্রম করলে রেকর্ড আসবে। তাতে দলগতভাবে খেতাব জয়ের সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।
গর্বিত রোনাল্ডো
জুভেন্টাসের হয়ে দুবার সিরি এ খেতাব জয়ের স্বাদ পাওয়া সিআর সেভেন আবেগঘন পোস্টে তাঁর পাশে থাকা সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে লিখেছেন, কয়েক বছরে আমি যা করতে পেরেছি তাতে গর্বিত। ইংল্যান্ড, স্পেন ও ইতালিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি, কাপ জিতেছি, সুপার কাপ জিতেছি, সেরা ফুটবলার, সেরা স্কোরারের পুরস্কার পেয়েছি। এই তিন দেশে ক্লাবগুলির হয়ে খেলে ১০০ বা তার বেশি গোলও করেছি। আমি যেভাবে খেলেছি বিভিন্ন দেশে তার সঙ্গে কোনও অনুভূতিরই তুলনা চলে না। যে দলের হয়ে খেলেছি তার সমর্থকদের আনন্দ দিতে পারাই আমাকে সবচেয়ে বেশি তৃপ্তি দেয়। আমি এভাবেই চলতে ভালোবাসি, চলব, এটা বজায় রাখব শেষ দিন অবধি। তাঁর এই পোস্ট জুভেন্টাস ছাড়ার বিদায়ী পদক্ষেপের অঙ্গ কিনা তা নিয়েই চলছে জল্পনা।