মঙ্গলবার রাত থেকেই ফের জমজমাট ইউরোপিয় ফুটবল - এক নজরে চ্যাম্পিয়নস লিগে নম্বরের খেলা
মঙ্গলবার (৬ নভেম্বর) ফিরছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। তার আগে দেখে নিন কিছু উল্লেখযোগ্য পরিসংখ্যান।
মঙ্গলবার (৬ নভেম্বর) আরও একবার ফিরছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের খেলা। এখনও পর্যন্ত দুরন্ত ফর্মে রয়েছেন বার্সেলোনার ফিলিপে কুটিনহো ও নাপোলির ইনসিগনে। ইচ্ছেমতো গোল করছেন, করাচ্ছেন কুটিনহো। ইন্টারের বিরুদ্ধেও সেই ফর্মই তিনি ধরে রাখবেন, এমনটাই আশা করছে বার্সেলোনা। আর প্যারি সাঁ জাঁ-এর বিরুদ্ধে গোল করে ঘরের মাঠে পর পর ৫ গোলের লক্ষ্যে নামছেন লোরেঞ্জো ইনসিগনে।
দু'সপ্তাহ আগেই ঘরের মাঠে অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দেওয়ার পর বরুসিয়া ডর্টমুন্ড আরও একবার নিজেদের মেলে ধরতে চায় মাদ্রিদের মাঠে। আর লিভারপুল মুখোমুখি হচ্ছে রেডস্টার বেলগ্রেড-এর। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২০১৮ঃএর এই সব গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলির এক নজরে দেখে নেওয়া যাক চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সংখ্য়ার খেলা।
মোনাকো বনাম ক্লাব ব্রাগ
১১ - ২০১৬-১৭ মরসুমের কোয়ার্টার ফাইনালে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড-কে দুই লেগেই হারানোর পর থেকে ১১ ম্যাচ কেটে গিয়েছে। জয় পায়নি মোনাকো (ড্র - ৩, হার - ৮)।
১ - ক্লাব ব্রাগের পক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আগের ম্যাচেই (মোনাকোর বিরুদ্ধে) তাদের প্রথম গোলটি করেছেন ওয়েসলি। এই ম্যাচেও গোল করতে পারলে তিনি ২০০৫-এ বস্কো বালাবানের পর ক্লাবের হয়ে এই টুর্নামেন্টে পরপর দুই ম্যাচে গোল করবেন।
অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ বনাম বরুসিয়া ডর্টমুন্ড
৫ - চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ডর্টমুন্ডের বিরুদ্ধে তাদের ৫ বারের সাক্ষাতে একবারও ক্লিন শিট রাখতে পারেনি অ্যাথলেটিকো। গত ম্যাচের ৪ গোল নিয়ে জার্মান ক্লাবটির বিরুদ্ধে মোট ৮ গোল হজম করেছে তারা।
৭ - আত্মঘাতি গোল বাদ দিলে এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এখনও পর্যন্ত ডর্টমুন্ডের হয়ে ৭ ফুটবলার গোল করেছেন। এই সংখ্যাটা লিগে খেলা সব দলের মধ্যে সর্বোচ্চ।
ইন্টার মিলান বনাম বার্সেলোনা
১১ - একমাত্র এডিন জেকো (১৪)-কে বাদ দিলে বক্সের মধ্য থেকে গোল করায় এবারের লিগে সবচেয়ে এগিয়ে আছেন ইন্টার স্ট্রাইকার মৌরো ইকার্দি। মোট ১১ বার তিনি বক্সের ভিতর থেক বল জালে জড়িয়েছেন।
১০ - বার্সা মিডফিল্ডার ফিলিপে কুটিনহো তাঁর শেষ ৭ ম্যাচে মোট ১০টিগোলের ক্ষেত্রে জড়িত ছিলেন। নিজে করেছেন ৬টি গোল, করিয়েছেন ৪টি গোল।
টটেমহাম বনাম পিএসভি
১১ - চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে ম্য়াচ প্রতি গোল করার অনুপাতে (অন্তত ১০টি ম্য়াচ খেলে) সবার আগে আছেন টটেনহামের স্ট্রাইকার হেনরি কানে (০.৮৩)। ১৩ ম্যাচ খেলে ১১ গোল করেছেন তিনি।
৬৯ - এই মরসুমে লিগে একমাত্র রেডস্টার বেলগ্রেড (৭৫) ছাড়া সবচেয়ে বেশি গোলে শট এসেছে পিএসভি (৬৯)-র। তাদের ৩ ম্যাচের প্রতিটিতে প্রতিপক্ষ অন্তত ২০টি করে শট নিয়েছে তাদের গোলে।
রেডস্টার বেলগ্রেড বনাম লিভারপুল
৫ - চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গত ৫ ম্যাচ ধরে জয়হীন রয়েছে রেডস্টার বেলগ্রেড (ড্র - ৩, হার - ২)। গত ২ ম্যাচে তারা শুধু হারেনি ১০ গোল হজম করেছে (৬-১ বনাম পিএসজি, ৪-০ বনাম লিভারপুল)।
৪৮ - গত মরসুম থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মোট ১৬ ম্যাচে রেকর্ড ৪৮ গোল করেছে লিভারপুল।
নাপোলি বনাম প্যারি সাঁ জাঁ
৪ - ঘরের মাঠে গত ৪ টি ম্যাচের প্রতিটিতে গোল করেছেন ইনসগনিয়া। ক্লাবের ইতিহাসে যে রেকর্ড নেই আর কোনও ফুটবলারের।
৮ - প্য়ারি সাঁ জাঁ স্ট্রাইকার এমবাপে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মোট ৮টি অ্যাওয়ে গোল করেছেন।
পোর্তো বনাম লোকোমোটিভ মস্কো
২৬ - চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মোট পোর্তোর মোট ২৭টি গোলের ২৬টিই এসেছে বক্সের ভিতর থেকএ। এই মরসুমে ৫টি গোলের ৫টিই।
৮ - ২০০২ সালে গালাতাসারের বিরুদ্ধে ২-১ ফলে জেতার পর থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ৮টি অ্যাওয়ে ম্যাচে জয় পায়নি লোকোমোটিুভ মস্কো।
শালকে বনাম গালাতাসারে
৪ - গত ৪ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ম্যাচে শালকে অপরাজিত রয়েছে। জয় পেয়েছে ২টিতে ২টি ড্র।
২৪ - তাদের শেষ ২৪টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ অ্যাওয়ে ম্যাচের প্রতিটিতে গালাতাসারে অন্তত ১টি করে গোল হজম করেছে। শেষবার তারা ক্লিন শিট রেখেছিল ২০০২ সালে লোকোমোটিভ মস্কোর বিরুদ্ধে (২-০)।