
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিতে শেষ মিনিট পর্যন্ত সেয়ানে সেয়ানে টক্কর, ম্যাচ জিতল সিটি , হৃদয় বেঞ্জেমার
গোলের বন্যা বইল ম্যানচেস্টার সিটি এবং রিয়াল মাদ্রিদের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম লেগের ম্যাচে। সাত সাতটা গোল হল। সঙ্গে ম্যাচ শেষ সেকন্ড পর্যন্ত উত্তেজনায় ভরপুর। একবার সিটি এগিয়ে যায় তো পর মুহূর্তেই ফিরে আসে রিয়েল।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারের প্রথম এই ম্যাচ ছিল হচ্ছিল সিটির হোম গ্রাউন্ডে। সেখানে চার গোল করলেও রিয়াল ছাড়ার পাত্র নয়। করে দেয় দিন গোল। ম্যাচ হারলেও পরের লেগে খেলা তাদের মাঠে। সেখানে সিটি সামান্য অ্যাডভান্টেজ নিয়ে নামলেও চাপেও থাকবে, কারণ এই ম্যাচে তাঁরা ২-০ তে এগিয়ে গিয়েও ঘরের মাঠে হজম করেছে তিন তিনটে গোল। আর সেটা বার্নাব্যুতে তাদের পরের লেগে এগিয়ে থেকেও চাপে রাখবে।
এদিনের ম্যাচে কেভিন ডি ব্রুইন দ্বিতীয় মিনিটে রিয়াদ মাহরেজের ক্রস থেকে ডাইভিং হেড দিয়ে সিটির স্বপ্নের দৌড় শুরু করেন এবং ফর্মে থাকা গ্যাব্রিয়েল জেসুস দ্রুত আক্রমণের করে দ্বিতীয় গোলটিও করে দেন সিটির হয়ে। মনে হচ্ছিল আর ফিরতে পারবে না রিয়াল, কিন্তু তাদের দলে যে রয়েছে স্বপ্নের ফর্মে থাকা বেঞ্জেমা। দলকে ম্যাচে ফেরান তিনি। ৩৩ মিনিটে হোম ফেরল্যান্ড মেন্ডির ক্রসে সুইপ করে রিয়ালকে ম্যাচে লাইফলাইন দেন।
বিরতির পরপরই মাহরেজের সট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। ৫৩তম মিনিটে ফার্নান্দিনহোর ক্রসে অচিহ্নিত ফোডেন হেড করলে সিটি আবারই দুই গোলের ব্যাবধান করে নেয়। মিনিট দুয়েক বাদেই ফিরে আসে রিয়াল। ভিনিসিয়াস জুনিয়র ফার্নান্দিনহোকে পেছনে ফেলে নিজের হাফের ভেতর থেকে দৌড়ে রিয়ালের হয়ে দুর্দান্ত দ্বিতীয় গোল করে যান।
তবে বার্নার্ডো সিলভাকে সিটির চতুর্থ গোল করে দেন ৭৪ মিনিটে। অনেকেই ভেবেছিলেন ম্যাচ শেষ। ঠিক তখনই ৮২ মিনিটের মাথায় সিটির হ্যান্ডবল থেকে পেনাল্টি পায় রিয়েল। বেনজেমা স্নায়ুর চাপকে বাড়তে দেননি। এডারসনকে প্যানেনকা পেনাল্টিতে চিপ করে গোল করে যান।
এই হ্যান্ডবলটি করেছিলেন আইমেরিক লাপোর্ট। ফলে ম্যাচ শেষ আট মিনিট বাকি উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে। শেষে ম্যাচ যেতে সিটি। পরের লেগে তাদের খেলতে হবে রিয়ালের ঘরের মাঠে। সেখানেই হতে পারে চাপ। সেখানে কে ফাইনালের পথে আগে পা রাখবে সেটাই দেখার জন্য অপেক্ষা করবে ফুটবল ভক্তরা।
আজ বুধবার অ্যানফিল্ডে প্রথম লেগে লিভারপুল এই বছরের অন্য সেমিফাইনালে স্প্যানিশ দল ভিলারিয়ালের মুখোমুখি হবে। ২৮ মে শনিবার প্যারিসের স্টেডে ডি ফ্রান্সে ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে।