করোনা পরিস্থিতিতে ইস্তানবুলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল অনিশ্চিত, সরতে পারে যে দেশে
করোনা পরিস্থিতিতে এবার অনিশ্চয়তার মুখে পড়ল উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল। ইংল্যান্ডের দুটি দল চেলসি ও ম্যাঞ্চেস্টার সিটি এবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে মুখোমুখি হবে। ২৯ মে হওয়ার কথা সেই ফাইনাল ম্যাচ। যদিও তুরস্কে করোনা সংক্রমণের জেরে সেই দেশে ফাইনাল হওয়া নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
উয়েফার পরিকল্পনা
এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল ইংল্যান্ডের দুই ক্লাবের লড়াই। চেলসি বনাম ম্যাঞ্চেস্টার সিটি। ইস্তানবুলে সেই ফাইনাল হওয়ার কথা ২৯ মে। ফাইনালে ১০ হাজার দর্শক প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে উয়েফার। তবে তুরস্ক থেকে ফাইনাল সরানো হলে মাঠে বসে অনেক বেশি মানুষ খেলা দেখতে পারবেন। গত বছরও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল ইস্তানবুল থেকে সরিয়ে লিসবনে নিয়ে যাওয়া হয় এবং খেলা হয়েছিল দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে।
রেড লিস্টে
যদিও করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলায় তুরস্ক ঢুকে পড়েছে ইংল্যান্ডের রেড লিস্টে। জরুরি পরিষেবা ছাড়া সেই দেশে আপাতত সব কিছুই বন্ধ রয়েছে। তিন সপ্তাহের দেশব্যাপী লকডাউনের দ্বিতীয় সপ্তাহ চলছে। সংক্রমণে কিছুটা রাশ টানা গেলেও শুক্রবারও ২০ হাজারের বেশি মানুষের দেহে নতুন করে সংক্রমণের হদিশ মিলেছে। মারা গিয়েছেন ২৭৮ জন। এই পরিস্থিতিতে ব্রিটিশ সরকার চেলসি ও ম্যান সিটি সমর্থকদের তুরস্কে যেতে নিষেধ করেছে। সেই সঙ্গে জানিয়েছে, ব্রিটিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন উয়েফার সঙ্গে কথাবার্তা চালাচ্ছে ফাইনাল ম্যাচটি ইংল্যান্ডে আয়োজনের ব্যাপারে।
ওয়েম্বলিতে ফাইনাল?
লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ২০২৪ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল হওয়ার কথা। তুরস্ক থেকে এবার ইংল্যান্ডে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল সরানো হলে প্রথম পছন্দ লন্ডনের এই স্টেডিয়াম। এখানে ফাইনাল ম্যাচ হলে সম্প্রচার-সহ অন্যান্য বিষয়েও উয়েফাকে পরিকাঠামোগতভাবে তেমন ঝক্কি সামলাতে হবে না। কেন না, ইতিমধ্যেই জুনে ইউরোর জন্য সেখানে পরিকাঠামোগত প্রস্তুতির কাজ চলছে। মধ্য ইংল্যান্ডের বার্মিংহ্যামের ভিলা পার্ককেও তালিকায় রাখা হচ্ছে। তবে সেই স্টেডিয়াম অনেক পুরানো। উয়েফার প্রয়োজনমতো সেখানে এই অল্প সময়ে পরিকাঠামোর অনেকটা বদলে ফেলা কঠিন। তাই পরিকাঠামোগতভাবে ওয়েম্বলি অনেক আধুনিক হওয়ায় সেখানেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল হওয়ার জোরালো সম্ভাবনা।
সমর্থকদের উপস্থিতিতেই
ব্রিটিশ পরিবহন সচিব গ্র্যান্ট শ্যাপস জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতিতেও মাঠে দর্শকদের সামনে ফুটবল ম্যাচ আমাদের দেশে আয়োজন করা হয়েছে। ফাইনালেও খেলবে ইংল্যান্ডের দুটি দলই। আমরা ফাইনাল আয়োজন করতে প্রস্তুত। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে উয়েফাই। উল্লেখ্য, গত ১৫ মে এফএ কাপ ফাইনালে ওয়েম্বলিতে ২১ হাজার দর্শক করোনা নেগেটিভের রিপোর্ট দেখিয়ে মাঠে বসে খেলা দেখেছেন। ইউরোর ম্যাচগুলিতে ৯০ হাজার দর্শকাসনবিশিষ্ট ওয়েম্বলিতে ২২,৫০০ দর্শককে মাঠে বসে খেলা দেখার অনুমতি দেওয়া হবে। ১১ জুলাই ফাইনালে সেই সংখ্যা বাড়িয়ে মোট দর্শকাসনের অর্ধেকে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।