ফুটবল সম্রাট পেলেকে দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে জয় উৎসর্গ করল ব্রাজিল, বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন দেখা শুরু নেইমারদের
ফুটবল সম্রাট পেলেকে দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে জয় উৎসর্গ করল ব্রাজিল, বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন দেখা শুরু নেইমারদের
দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে জয় ফুটবল সম্রাট পেলেকে উৎসর্গ করে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাল ব্রাজিল দল। এই মুহূর্তে সাও পাওলোর অ্যালবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পেলে। প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে স্টেডিয়াম ৯৭৪-এ ৪-১ ব্যবধানে দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে জয়ের পর ৮২ বছর বয়সী কিংবদন্তির ছবি দেওয়া একটা বড় ব্যানার মাঠে বের করে ধরেন ব্রাজিল ফুটবলাররা।
|
পেলের আরোগ্য কামনায় নেইমার:
এশিয়ার দলটির হয়ে প্রথম গোলটি করেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র, দ্বিতীয় গোলটি পেনাল্টি থেকে করেন নেইমা, পরবর্তী দুইটি গোল যথাক্রমে করেন রিচারলিসন এবং লুকাস প্যাকুয়েতা। দক্ষিণ কোরিয়ার হয়ে একমাত্র গোলটি করেন পরবর্তী ফুটবলার পাইক সিউং-হো। ম্যাচের শেষে নেইমার বলেন, "এই মুহূর্তে পেলে যে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে সেই বিষয়ে কথা বলাটা কঠিন। কিন্তু আমি তাঁর দ্রুত স্বাস্থ্যের উন্নতি কামনা করি।" গ্লোবোকে তিনি বলেন, "আমি আশা করি দ্রুতই তিনি সুস্থ হবেন। আশা করি এই জয়ের মধ্যে দিয়ে তাঁকে কিছুটা তৃপ্তি দিতে পেরেছি আমরা।"
পেলের জন্য বিশ্বকাপ জিততে চান ভিনিসিয়াস জুনিয়র:
কোলন ক্যান্সারের বিরুদ্ধে পেলের লড়াই বিশ্বকাপে প্রতিনিধিত্ব করা ব্রাজিল দলকে প্রেরণা দিচ্ছে রেকর্ড ষষ্ঠ বিশ্বকাপ জয় করার। তরুণ ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়াস জুনিয়র বলেছেন, "আমাদের থেকে তাঁর শক্তি প্রয়োজন এবং এই জয় তাঁর জন্য, যাতে সে এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন এবং আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে পারি তাঁর জন্য।"
পেলের থেকে এক গোল দূরে নেইমার:
দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে নেইমারকে খেলানোর জন্য মরিয়া চেষ্টা চালিয়েছিল ব্রাজিলের টিম ম্যানেজমেন্ট এবং তারা শেষ পর্যন্ত সফল হয়। এ দিন ১৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ব্রাজিলের হয়ে গোল করেন নেইমার। এটি তাঁর কেরিয়ারের ৭৬ নম্বর গোল। আর একটি গোল করলেই পেলেকে ছুঁয়ে ফেলবেন তিনি। মহান নক্ষত্র পেলে ব্রাজিলের জার্সিতে ৭৭টি গোল করেছেন।
বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন দেখা শুরু ব্রাজিলের:
১৯৯৮ সালের পর এই প্রথম বিশ্বকাপের নক-আউট পর্বে প্রতিপক্ষকে চার গোল মারল ব্রাজিল। ম্যাচ শেষে নেইমার বলেছেন, "আমরা খেতাব জয়ের স্বপ্ন দেখছি, এবং এটাই বাস্তব। আমিদের স্টেপ বাই স্টেপ যেতে হবে।"
সার্বিয়া ম্যাচে ছিটকে যাওয়ার পর কেঁদেছিলেন নেইমার:
প্রথম ম্যাচে সার্বিয়ার বিরুদ্ধে চোট পাওয়ার পর ছিটকে যাওয়া মেনে নেওয়া তাঁর পক্ষে মেনে নেওয়া কতটা কষ্টকর ছিল দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচ শেষে জানান নেইমার। তিনি বলেন, "যখন চোট পাই, সে দিনের রাতটা কাটানো অত্যন্ত কঠিন ছিল আমার জন্য। লক্ষ লক্ষ বিভিন্ন বিষয়ে ভাবছিলাম আমি। প্রচণ্ড কেঁদে ছিলাম। আমি ভয় পেয়েছিলাম যে এই বিশ্বকাপে আর হয়তো খেলতে পারব না। কিন্তু আমার সতীর্থদের থেকে সমর্থন পেয়েছি এবং আমার পরিবার আমায় শক্তি জুগিয়েছে।"