ভাইচুং এআইএফএফ সভাপতি নির্বাচনে লড়ার সম্ভাবনা ওড়ালেন না, বেশি উপযুক্ত মনে করেন কোন দুই প্রাক্তনকে?
এআইএফএফের নির্বাচনে ভাইচুং ভুটিয়াকেই সভাপতির পদে লড়ার জন্য অনুরোধ করেছেন অনেক প্রাক্তন ফুটবলার। তবে চূড়ান্ত ইলেক্টোরাল লিস্ট দেখেই তিনি পদক্ষেপ করবেন বলে জানিয়ে দিলেন পাহাড়ি বিছে। একইসঙ্গে দেশের প্রাক্তন অধিনায়ক ভাইচুং মনে করেন, এআইএফএফ সভাপতি পদে বসার ক্ষেত্রে তাঁর চেয়ে বেশি উপযুক্ত ব্রুনো কুটিনহো ও আইএম বিজয়ন।
২৮ অগাস্ট হবে এআইএফএফের নির্বাচন। তার আগে ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হলো ভোটার তালিকা। ৬৭ জনের তালিকায় রয়েছেন ২৪ জন পুরুষ ও ১২ জন মহিলা ফুটবলার। তালিকায় উল্লেখযোগ্য নামগুলি হলো, ভাইচুং ভুটিয়া, আইএম বিজয়ন, মরিসিও আলফন্সো, ক্লাইম্যাক্স লরেন্স, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য, ব্রুনো কুটিনহো, ওইনাম বেমবেম দেবী। নিয়ম অনুযায়ী, দেশের হয়ে অন্তত ২টি ম্যাচ খেলা এবং নির্বাচনের ২ বছর আগে অবসর নেওয়া ফুটবলারের নামই রাখা হয়েছে তালিকায়। অগাস্টের ১৭ থেকে ১৯ তারিখের মধ্যে মনোনয়ন দাখিল করা যাবে।
যে ৬৭ জনের নাম প্রথম প্রকাশিত ভোটার তালিকায় রয়েছে তার মধ্যে ৩১টি রাজ্য সংস্থার ৩৬ জন প্রাক্তন ফুটবলার। কয়েকদিনের মধ্যেই চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে। ভাইচুং আজ গ্যাংটকে বলেন, আমি সুপ্রিম কোর্টকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এবং প্রাক্তন ফুটবলারদের ভোটদানের অধিকার দেওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি। এআইএফএফের নতুন সংবিধান দ্রুতই চূড়ান্ত হয়ে যাবে। তাতে আরও স্পষ্ট হবে কারা ভোট দিতে পারবেন। এরপর একটি বৈঠক ডেকে স্থির করা হবে এআইএফএফের সভাপতি পদে কে লড়বেন। ভাইচুং স্বীকার করে নিয়েছেন তাঁকে অনেক প্রাক্তন ফুটবলারও সভাপতি পদে নির্বাচনে লড়ার জন্য অনুরোধ করেছেন।
ভাইচুং বলেন, আমার মতে যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে তাতে অনেক সিনিয়র খেলোয়াড় রয়েছেন যাঁদের মধ্যে কেউ এআইএফএফ সভাপতি পদে বসে দেশের ফুটবলের অগ্রগতিতে অগ্রণী ভূমিকা নিতে পারবেন। এ ব্যাপারে প্রাক্তন ফুটবলারদের মধ্যেও বেসরকারিভাবে আলোচনা হয়েছে। তাতে প্রাক্তন কোনও ফুটবলারকে সভাপতি পদে লড়ার প্রস্তাব এসেছে। ভাইচুং বলেন, বিজয়ন ও ব্রুনোর ভারতীয় ফুটবলে প্রচুর অবদান রয়েছে। তৃণমূলস্তরে ফুটবলের বিকাশেও তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। আবার জুনিয়রদের মধ্যে রেনেডি সিং, অভিষেক যাদবরাও রয়েছেন। তবে তাঁদের কোচিং লাইসেন্স রয়েছেন, তাঁরা কোচিংয়েই আগ্রহী। প্রশাসনে এখনই আসতে চান না। এই আবহে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় যেমন বিসিসিআইয়ের সভাপতি পদে বসেছেন, তেমনই দেশের প্রাক্তন অধিনায়ক ভাইচুং ভারতীয় ফুটবলের নিয়ামক সংস্থার শীর্ষে বসতে পারেন কিনা তা বলবে সময়।