La Liga: তিন ম্যাচ পর ঘরের মাঠে জয়ের মুখ দেখল বার্সেলোনা
La Liga: তিন ম্যাচ পর ঘরের মাঠে জয়ের মুখ দেখল বার্সেলোনা
অবশেষে ঘরের মাঠে জয়ের মুখ দেখল বার্সেলোনা। সোমবার রাতে এমসিডি মালোরাকার বিরুদ্ধে ক্যাম্প ন্যূতে জয়ের মুখ দেখল জাভির দল। বার্সেলোনায়র পক্ষে খেলার ফল ২-১। এর আগে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে বার্সেলোনা ক্যাম্প ন্যূ'তে পরাজিত হয়েছিল ফ্র্যাঙ্কফুটের বিরুদ্ধে।
সেই হারের ধারাবাহিকতা বজায় ছিল লা লিগায়ও। কার্ডিজ এবং রায়ো ভালকেনোর বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে পরাজিত হয়েছিল বার্সা। অবশেষে মালোরকাকে হারিয়ে নিজেদের মাঠের সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটাল কাতালান জায়ান্টরা।
এ দিন ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিলেন বার্সার আক্রমণভাগে ফুটবলাররা। ম্যাচে ২৫ মিনিটের মাথায় জর্ডি আলবার ঠিকানা লেখা পাস থেকে বার্সেলোনাকে এগিয়ে দেন মেমফিস ডিপে। প্রথমার্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়ালেও আর গোলের দেখা পায়নি বার্সা।
দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম দশ মিনিটের মধ্যে বার্সেলোনার পক্ষে দ্বিতীয় গোলটি করেন দলের অধিনায়ক সার্জিও বুসকেটস। এই মরসুমে বেশ ভালই গোল স্কোরিং ফর্মে রয়েছেন এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার। গোল সংখ্যা আরও বাড়তে পারতো যদি অফ সাইডের কারণে বাতিল না হতো ফেরান টোরেসের গোল। চোট কাটিয়ে এ দিন দীর্ঘ সময় পর বার্সার জার্সিতে মাঠে নামেন আনসু ফাতি। ৭৫ মিনিট আরবামিয়াং-এর পরিবর্তে মাঠে নামেন ফাতি।
মালোরকা হয়ে এই ম্যাচে একমাত্র গোলটি শোধ করেন অ্যান্তোনিও রাইলো। সালভা সেভিলার পাস থেকে একমাত্র গোলটি তিনি করেন। বার্সেলোনা আরও একটি গোলের সুযোগ নষ্ট না করলে স্কোরলাইন বাড়তে পারত। অপর দিকে, মালোরকা যে দু'টি গোলের সুবর্ণ সুযোগ তৈরি করেছিল তার থেকে একটিতেও যদি গোল পেত তা হলে খালি হাতে ফিরতে হত না। বার্সেলোনার দখলে ৭১ শতাংশ বলের নিয়ন্ত্রণ ছিল। মোট পাঁচটি শট অন টার্গেট ছিল বার্সার, অন্য দিকে, মালোরকার অন টার্গেট ছিল দু'টি শট যার মধ্যে একটি থেকে গোল এসেছে।
২০২১-২২ মরসুমের লা লিগার ভাগ্য নির্ণয় হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। শনিবার সান্তিয়াগো বার্নাবিউতে এস্প্যানিয়লকে ৪-০ গোলে হারিয়ে ৩৫তম লা লিগা খেতাব জিতেছে রিয়াল মাদ্রিদ। চ্যাম্পিয়নশিপ নির্ধারণ হয়ে যাওয়ার ফলে এখন লড়াই দ্বিতীয় স্থানে শেষ করার এবং একই সঙ্গে আগামী মরসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ নিশ্চিত করা। এই ম্যাচ থেকে ৩ পয়েন্ট নিয়ে ৩৪ ম্যাচে ৬৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল বার্সেলোনা। সমান ম্যাচে ৬৪ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে নেমে এল সেভিয়া।