বারপুজোর দিনেও ভিন্ন মেজাজ ধরা পড়ল ময়দানের দুই প্রধানে
আইএসএলে রানার-আর হয়েছে এটিকে মোহনবাগান। অন্যদিকে, এসসি ইস্টবেঙ্গল হতশ্রী পারফরম্যান্সে সমর্থকদের হতাশ তো করেছেই, বিনিয়োগকারীর সংস্থার সঙ্গে চুক্তি নিয়ে জটিলতায় অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখেই দাঁড়িয়ে লাল হলুদ। সামনের মরশুমের জন্য বাকি দলগুলি যখন ঘর গোছাতে ব্যস্ত তখন লাল হলুদ যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই। এমনকী পয়লা বৈশাখ বারপুজোতেও দুই প্রধানে ধরা পড়ল ভিন্ন চিত্র।
মোহনবাগান মাঠে বারপুজো হলো রীতি মেনেই। তবে করোনা আবহে এবারও চেনা জনসমাগম ছিল না। কোভিড বিধি মেনেই হলো বারপুজো। সৃঞ্জয় বোস, সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়, দেবাশিস দত্ত, স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ ক্লাবকর্তা ও কার্যকরী সমিতির সদস্যদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন প্রণয় হালদার, প্রীতম কোটাল, সুসাইরাজ, প্রবীর দাস-সহ এটিকে মোহনবাগানের কয়েকজন ফুটবলারও। ছিলেন দলের গোলকিপার অরিন্দম ভট্টাচার্য, যিনি সম্প্রতি অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাতের পর মিঠুন চক্রবর্তীর হাত থেকে বিজেপির পতাকা গ্রহণ করেছেন। অরিন্দম বিকেলে ফেসবুকে লেখেন, বারপুজো ময়দানের চিরাচরিত এক প্রথা। আজ মোহনবাগান মাঠে পুরানো স্মৃতি ফিরে পেলাম। মোহনবাগানের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে বারপুজো সরাসরি সম্প্রচারিত হয়েছে। যাতে ঘরে বসেই বারপুজোর সাক্ষী থাকতে পেরেছেন সমর্থকরা।
মোহনবাগানের ঠিক উল্টো ছবি ইস্টবেঙ্গল মাঠে। আইএসএলের পারফরম্যান্সের মতোই যেন ছন্নছাড়া অবস্থা। সবুজ মেরুনের বারপুজোয় এটিকে মোহনবাগানের ফুটবলাররা হাজির থাকলেও ইস্টবেঙ্গল মাঠে আসেননি এসসি ইস্টবেঙ্গল দলের কোনও ফুটবলার। এমনকী বিনিয়োগকারী সংস্থার তরফেও কেউ আসেনি। চুক্তি সংক্রান্ত জটিলতার মধ্যে এই ছবি স্বাভাবিকভাবে অস্বস্তি বাড়াচ্ছে। যদিও ক্লাব কর্তা সৈকত গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সব জটিলতা দ্রুতই কেটে যাবে। এমনকী বিনিয়োগকারী সংস্থার দফতরে মিষ্টিও পাঠানো হয়েছে এদিন। বিনিয়োগকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, তাদের দফতরের কয়েকজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। দফতর বন্ধ আছে। যাঁরা করোনা আক্রান্ত হয়েছে তাঁদের সঙ্গে সম্প্রতি এসসি ইস্টবেঙ্গলের কয়েকজন ফুটবলার এসে দেখা করেছিলেন। তাই তাঁদের তো বটেই, করোনা পরিস্থিতিতে ফুটবলারদের সুরক্ষিত রাখতে সকলকেই এদিন বারপুজোয় অংশ না নিতে বলা হয়েছে।
ইস্টবেঙ্গল মাঠে এদিন তাই খুদে ও যুব ফুটবলার এবং কয়েকজন ক্রিকেটারকে নিয়ে নমো নমো করে বারপুজো সারতে হলো। দেবব্রত সরকার-সহ কয়েকজন ক্লাবকর্তা ছিলেন। এসেছিলেন দীপেন্দু বিশ্বাস, রহিম নবি, দীপঙ্কর রায়ের মতো প্রাক্তনরাও। উপস্থিত ছিলেন আইএফএ সভাপতি অজিত গঙ্গোপাধ্যায়। বিশ্বরূপ দে-ও এসেছিলেন। অজিত গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, আইএফএ সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায়ের পদত্যাগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলার ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থায় এই সংক্রান্ত জটিলতা দ্রুতই মিটে যাবে। এদিন বারপুজো হয়েছে হকি বেঙ্গলের নিজস্ব মাঠেও।