আইএসএল ডার্বিতে এটিকে মোহনবাগান ঝড়ে বিধ্বস্ত এসসি ইস্টবেঙ্গল, বিরতিতে হাবাসের দল এগিয়ে ৩-০ গোলে
তিনজনকে ডিফেন্সে রেখে শুরু, সেই সঙ্গে অরিন্দম ভট্টাচার্যের জঘন্য গোলকিপিং। যার নিট ফল তিলক ময়দানে আইএসএলের ডার্বিতে প্রথমার্ধে ০-৩ গোলে পিছিয়ে আয়োজক এসসি ইস্টবেঙ্গল। এটি লাল হলুদের হোম ম্যাচ। গত বছর আইএসএলে প্রথম সাক্ষাতে আজকের দিনেই ডার্বি জিতেছিল আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের দল। ফের তার পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে।
শুরুর কয়েক মিনিট আক্রমণাত্মক পজিটিভ খেলছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। ম্যানুয়েল দিয়াজ ৩-৪-৩ ছকে দল নামান। হাবাস ৪-৩-৩ ছকে শুরু করেন। চেনা ছন্দে ফিরতে দেরি হয়নি এটিকে মোহনবাগানের। ১১ মিনিটের মধ্যে তিন গোল হতোদ্যম করে দেয় এসসি ইস্টবেঙ্গলকে। ১২ মিনিটে রয় কৃষ্ণর প্রথম গোল। মনবীর সিং ডানদিক দিয়ে উঠে এসে বল বাড়ান প্রীতম কোটালের দিকে। এটিকে মোহনবাগানের অধিনায়ক বক্সের কাছে গিয়ে বল বাড়়ান রয় কৃষ্ণকে উদ্দেশ্য করে। দর্শনীয় ভঙ্গিমায় বল জালে জড়ান রয় কৃষ্ণ।
এর ঠিক দুই মিনিট পরেই ব্যবধান বাড়ান মনবীর। জনি কাউকোর দুরন্ত থ্রু পাস থেকে অরিন্দম ভট্টাচার্যকে পরাস্ত করে সবুজ-মেরুনকে এগিয়ে দেন মনবীর। ২৩ মিনিটে লিস্টন কোলাসোর দল। দ্বিতীয় গোলের মতোই তৃতীয় গোলটিও এটিকে মোহনবাগানকে কার্যত উপহার দেন অরিন্দম। বক্সের প্রায় বাইরে গিয়ে কোলাসোর থেকে বল কেড়ে নিতে গিয়েছিলেন অরিন্দম। তাঁকে পরাস্ত করতে সময় নেননি কোলাসো।
৩৩ মিনিটে অরিন্দম ভট্টাচার্যকে দিয়াজ তুলে নিতে বাধ্য হন। গোলকিপার হিসেবে নামানো হয় শুভম সেনকে। কোলাসোর পা থেকে বল কাড়তে গিয়ে চোটও পান লাল হলুদ অধিনায়ক। তাঁর পায়ে আগে থেকেই ব্যান্ডেজ বাঁধা ছিল। গোলকিপার গোলপোস্ট ছেড়ে এগিয়ে ভুল করলেও লাল হলুদের কোনও সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার দুর্গরক্ষায় পৌঁছাতেই পারেননি। সহজেই গোল করে যান কোলাসো। অরিন্দমের সঙ্গেই হলুদ কার্ড দেখা লালরিনলিয়ানা হামতেকে তুলে নেন দিয়াজ। অমরজিৎ কিয়ামকে নামানো হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, অমরজিৎকে প্রথম একাদশে রাখা উচিত ছিল। তিন গোল করার পরও আরও বেশ কয়েকটি গোলের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল সবুজ মেরুন। কিন্তু লাল হলুদের লজ্জা বিরতির আগে অবধি আর বাড়েনি। এটিকে মোহনবাগান কমপ্যাক্ট ফুটবল খেলেই আরও একটি স্মরণীয় জয়ের দিকে এগোচ্ছে। তিন ডিফেন্সে খেলার ছকে দিয়াজ দল নামালেও যে মানের ডিফেন্ডার প্রয়োজন হয় তা এসসি ইস্টবেঙ্গলে নেই। আর সে কারণেই লাল হলুদকে নিয়ে ছেলেখেলা করে যাচ্ছে এটিকে মোহনবাগানের শক্তিশালী আক্রমণভাগ।