বেতন না পেলে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ফিফায় যাওয়ার হুমকি এবার সহকারি কোচের
বেতন না পেলে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ফিফায় যাওয়ার হুমকি এবার সহকারি কোচের
দেশি এবং বিদেশি ফুটবলারের পর এবার বেতন ইস্যুতে সরব হলেন ইস্টবেঙ্গলের সহকারি কোচ তথা ফিজিক্যাল ট্রেনার কার্লোস নোদার। বকেয়া না পেলে ক্লাব এবং সদ্য প্রাক্তন বিনিয়োগকারী সংস্থা কোয়েসের বিরুদ্ধে ফিফায় যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন স্প্যানিশ কর্তা। ইস্টবেঙ্গল এবং কোয়েসের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগও তুলেছেন নোদার।
চরম দ্বন্দ্ব
করোনা ভাইরাস সহ নানা অজুহাত দেখিয়ে ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে চুক্তি ভঙ্গ করে বিনিয়োগকারী সংস্থা কোয়েস। ফলে মে মাসের বেতন থেকে বঞ্চিত হন লাল-হলুদের ফুটবলাররা। কোয়েস হাত উঠিয়ে নেওয়ায় ইস্টবেঙ্গলে খেলা বিদেশি ফুটবলারদের (ফ্রাম্সের কাশিম আইডারা, কোস্টারিকার জনি অ্যাকোস্টা) লকডাউনের মধ্যেই ফ্ল্যাট খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
ইস্টবেঙ্গল ও কোয়েসের বিচ্ছেদ
এক মাস আগেই নিজেদের তলপি-তলপা গুটিয়ে ফেলেছিল কোয়েস। তাদের কলকাতার অফিসও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল বেশকিছু দিন আগে। আনুষ্ঠানিক ভাবে লাল-হলুদের সঙ্গে নিজেদের বিচ্ছেদও ঘোষণা করেছে বেঙ্গালুরুর বিনিয়োগকারী সংস্থা। তবে ইস্টবেঙ্গলের স্পোর্টিং রাইটস নিজেদের হাতেই রেখে দিয়েছে কোয়েস। তবে ক্লাবের স্পোর্টিং রাইটস ইস্টবেঙ্গল কর্তারা এখনও ফেরত পেয়েছেন কিনা, তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। কারণ স্পোর্টিং রাইটস ছাড়া যে কোনও ফুটবল টুর্নামেন্টে অঁস নিতে পারবে না ইস্টবেঙ্গল। কলকাতা লিগ খেলা থেকেও বঞ্চিত হবে রেঞ্জার্সরা।
বেতন বকেয়া থাকার অভিযোগ
চুক্তি অনুযায়ী চলতি মরশুমের শেষ পর্যন্ত ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলারদের বেতন দেওয়ার দায়িত্ব কোয়েসের। ৩১ মে পর্যন্ত বেতন পাওয়ার কথা ফুটবলারদের। কিন্তু সূত্রের খবর, কোয়েস কর্তা সঞ্জিত সেন নাকি ই-মেলের মাধ্যমে লাল-হলুদ খেলোয়াড়দের জানিয়ে দিয়েছেন যে ৩০ এপ্রিলেই শেষ হচ্ছে চুক্তি। তাই মে মাসের পারিশ্রমিক পাবেন না ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলাররা।
ফুটবলারদের পদক্ষেপ
বেতনের দাবিতে প্রথমে প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া বা এফপিএআই-র দ্বারস্থ হয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলাররা। তাতে কাজ না হওয়ায় তাঁরা সরাসরি কোয়েসকেই চিঠি লেখেন। ফিফার নিয়মকে সামনে রেখে দাবি মানা না হলে ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে চুক্তিভঙ্গ করে ক্ষতিপূরণ চাওয়ার হুমকিও ফুটবলাররা। সেক্ষেত্র ফ্রি এজেন্ট কোটায় অন্য ক্লাবে সই করতেও যে তাঁরা পিছপা হবেন, তাও স্পষ্ট জানিয়ে দেন অভিষেক আম্বেকর, পিন্টু মহতারা। অন্যদিকে বকেয়া বেতনের দাবিতে কোয়েস ও ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের চিঠি লিখেছেন দলের বিদেশি ফুটবলার এবং কোচ।
আটকে যান অ্যাকোস্টা
কোয়েস ও ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে চুক্তিভঙ্গের অভিযোগ তুলে ফিফায় যাওয়ার হুমকি দিয়েছে কোস্টারিকার বিশ্বকাপার জনি অ্যাকোস্টা। চুক্তি মতো কোস্টারিকার বিশ্বকাপার জনি অ্যাকোস্টার বেতন শোধ দেওয়া তো দূর, তাঁর দেশে ফেরার টিকিটের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়নি বলে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। দেশে ফেরার কোনও উপায় না দেখে দিল্লির কোস্টারিকা দূতাবাসে আটকে গিয়েছিলেন জনি।
কোয়েসের জবাব
ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের চিঠির জবাব দিয়েছিল ক্লাবের সদ্য প্রাক্তন বিনিয়োগকারী সংস্থা কোয়েস। দুই মাসের বেতন অমিলের অভিযোগ সরাসরি উড়িয়ে দিয়েছিল বেঙ্গালুরুর সংস্থা। বক্তব্য, কর্পোরেট দুনিয়ায় তাদের যথেষ্ট সম্মান রয়েছে। লাল-হলুদ ফুটবলারদের বেতন আটকে রেখে তারা নিজেদের ভাবমূর্তি নষ্ট হতে দিতে পারে না বলেও জানিয়েছিল কোয়েস।ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের চিঠির জবাব দিয়েছিল ক্লাবের সদ্য প্রাক্তন বিনিয়োগকারী সংস্থা কোয়েস। দুই মাসের বেতন অমিলের অভিযোগ সরাসরি উড়িয়ে দিয়েছিল বেঙ্গালুরুর সংস্থা। বক্তব্য, কর্পোরেট দুনিয়ায় তাদের যথেষ্ট সম্মান রয়েছে। লাল-হলুদ ফুটবলারদের বেতন আটকে রেখে তারা নিজেদের ভাবমূর্তি নষ্ট হতে দিতে পারে না বলেও জানিয়েছিল কোয়েস।
কী বললেন কার্লোস
ইস্টবেঙ্গলের সহকারি কোচ তথা ফিজিক্যাল ট্রেনার কার্লোস নোদার কোয়েসের দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন। সাফ জানিয়েছেন, তিন এপ্রিল ও মে মাসের বেতন পাননি। উল্লেখ্য ২০২১-এর ৩১ মে পর্যন্ত ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ স্প্যানিশ কোচ। সে অনুযায়ী কলকাতার ক্লাব তাঁর বকেয়া বেতন মিটিয়ে দিতে বাধ্য বলেও স্পেনে থেকে জানিয়েছেন নোদার। প্রয়োজনে এই ইস্যুতে তিনি ফিফার দ্বারস্থ হবেন বলেও জানিয়েছেন। অভিযোগ করেছেন, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের সময় কলকাতায় আটকে পড়ে পরিবারের সদস্যদের জন্য জল, খাবার, ওষুধ চেয়েও ইস্টবেঙ্গল ও কোয়েস কর্তাদের তরফে কোনও সদুত্তর পাননি।
কুড়ি-বিশের ক্রিকেটের বড় টুর্নামেন্ট থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিলেন ক্রিস গেইল