আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয় সেলিব্রেশন আতঙ্কের রূপ নিল কেরালায়
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয় সেলিব্রেশন আতঙ্কের রূপ নিল কেরালায়
রবিবার রাত্রে আর্জেন্টনার বিশ্বকাপ জয়ের পর কেরালায় আনন্দের ছবি হঠাৎই বদলে গেল আগ্রাসণে এবং উগ্রপন্থায়। রবিবার বিশ্বকাপ জয়ের পর আর্জেন্টিনার সমর্থকেরা কেরালার কান্নুরের উৎসবে মেতে ওঠে। সারা রাত ধরে প্রায় চলে উৎসব কিন্তু রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এই উৎসব রূপ নিয়ে ফেলে উগ্রপন্থার।
বিশ্বকাপ
জয়ের
পর
আর্জেন্টিনার
বিজয়
উৎসবের
মধ্যেই
বিভিন্ন
জায়গায়
তারা
হাতাহাতিতে
জড়িয়ে
পড়ে
ব্রাজিলের
সমর্থকদের
সঙ্গে।
জানা
গিয়েছে
তিন
জন
সমর্থককে
ছুড়ির
আঘাত
পাওয়া
অবস্থায়
উদ্ধার
করেছে
পুলিশ।
পুলিশি
সূত্রে
জানা
গিয়েছে,
এই
ঘটনায়
গ্রেফতার
হয়েছেন
৬
জন।
অপর
দিকে,
কেরালার
কালোরে
তিন
জন
পুলিশ
আধিকারিক
এই
বিজয়
সম্মেলনী
সমলাতে
গিয়ে
আহত
হয়েছেন।
পুলিশ
সূত্রে
খবর,
বেশ
কিছু
সমর্থক
বাইক
নিয়ে
আসছিলেন
এবং
তাঁরা
রীতিমতো
মদ্যপ
ছিলেন।
এই
ঘটনায়
যুক্ত
থাকার
অভিযোগে
২০
জন
গ্রেফতার
হয়েছেন।
ওই
বাহনকেও
আটক
করা
হয়েছে।
তিরুঅনন্তপুরমের
এক
সাব
ইন্সপেক্টার
একটি
ভিক্ট্রি
র্যালি
নিয়ন্ত্রণ
করতে
গিয়ে
আহত
হয়েছেন।
এই
ঘটনায়
যুক্ত
থাকার
অভিযোগে
পাঁচ
জনকে
গ্রেফতার
করেছে
পুলিশ।
অপর
দিকে,
বিভিন্ন
জায়গায়
ভাল
ছবিও
ফুটে
উঠেছে।
আর্জেন্টিনার
সমর্থকেরা
ফ্রি-ফুড
ডিস্ট্রিবিউটর
করেছে।
ত্রিশূরে
একটি
হোটেলের
মালিক
১৫০০
প্লেট
চিকিন
বিরিয়ানি
খাইয়েছে
ফ্রি-তে।
উল্লেখ্য,
আর্জেন্টিনার
জয়ের
পর
কেরালার
মুখ্যমন্ত্রী
লিওনেল
মেসির
দলকে
শুভেচ্ছা
জানিয়েছেন
টুইট
করে।
লুসাইল স্টেডিয়ামে আয়োজিত মেগা ফাইনালে শুরুতেই লিড পায় আর্জেন্টিনা। বক্সের মধ্যে ডি মারিয়াকে ওসমানে ডিম্বেলে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় আর্জেন্টিনা। স্পট কিক থেকে গোল করতে ভুল করতে পারেন না মেসি এবং করেননি তিনি। ১২ গজ দূর থেকে ২৩ মিনিটে ম্যাচের প্রথম গোলটি মেসি করেন। এই গোলের কিছু সময়ের পর কাউন্টার অ্যাটেক দ্বিতীয় গোলটি তুলে নেয় আর্জেন্টিনা। ২-০ গোলে এগিয়ে যায় এল আলবেসিলেস্তা। ম্যাচের বয়স তখন প্রায় ৮০ মিনিট। ঘড়ির কাঁটা জানান দিচ্ছে ১০ মিনিট পরই লিওনেল মেসির হাতে উঠতে চলেছে বিশ্বকাপ। কিন্তু এমন সময়েই নাটকীয় পট পরিবর্তন ঘটে ম্যাচের। নিকোলাস ওটামেন্ডে বক্সের মধ্যে কোলো মুয়ানিকে ফাউল করেন ওটামেন্ডে।
পেনাল্টি পায় ফ্রান্স। কিনিলায়ন এমবাপে গোল করে ম্যাচের ব্যবধান কমিয়ে করেন ২-১। এর দুই মিনিটের মধ্যেই দুর্ধর্ষ শটে ফ্রান্সকে সমতায় ফেরান এমবাপে। ম্যাচ গড়ায় অ্যাডেড টাইমে। ১০৮ মিনিটে লিওনেল মেসি ডান পায়ের গোলে কার্যত ম্যাচের ভাগ্য লিখে দিয়েছিলেন কিন্তু এই ক্ষেত্রেও আর্জেন্টিনা ডিফেন্সের ভুল বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়ায়। বক্সের মধ্যে নীল-সাদা জার্সি ধারী ফুটবলার হ্যান্ড বল করলে পেনাল্টি দেন রেফারি এবং খেলায় আবার ৩-৩ গোলে সমতা ফিরিয়ে আনেন এমবাপে। হ্যাটট্রিক করেন তিনি। ম্যাচের শেষ লগ্নে দুর্ধর্ষ সেভ দেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। তিনি ওই সেভ না দিতে পারলে টাই ব্রেকার পর্যন্ত যেতো না ম্যাচ।
বিশ্বকাপের রুদ্ধশ্বাস ম্যাচের পর মেসি এবং আর্জেন্টিনার বন্দনায় শাহরুখ-সচিনরা