বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনকারী ম্যাচে জিতল আর্জেন্টিনা, চেনা ছন্দে ফিরল ব্রাজিল
বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনকারী ম্যাচে জিতল আর্জেন্টিনা, চেনা ছন্দে ফিরল ব্রাজিল
জয়ের ধারা বজায় রাখল মেসি-বিহীন আর্জেন্টিনা। কনমেবল বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনকারী পর্বের ম্যাচে লাউথারো মার্টিনেজের একমাত্র গোলে কলম্বিয়াকে পরাজিত করল আর্জেন্টাইন দল। প্রথমার্ধেই ম্যাচের একমাত্র গোলটি আসে। মার্কোস আকুনার পাস থেকে আর্জেন্টিনার হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন লাউথারো মার্টিনেজ।
কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দেয় লিওনেল স্কালোনির ছেলেরা। অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার নেতৃত্বে মুহূর্মুহু আক্রমণে কলম্বিয়ার রক্ষণদূর্গে একের পর এক আক্রমণ তুলে এনেছিলেন মার্টিনেজ গিওভান্নি লো সেলসো-আপ্পু গোমেজরা। তবে, কলম্বিয়ার গোরক্ষক কামিলো ভার্গাসের সামনে প্রতিহত হয় সব প্রচেষ্টা। গোটা ম্যাচে চারটি দুর্দান্ত সেভ দেন তিনি। বল পজিশন, শট অন টার্গেট, সঠিক পাস-সব দিক থেকেই এগিয়ে ছিল আর্জেন্টিনা।
আর্জেন্টিনার তিন পয়েন্ট অর্জন করারদিন জয়ের মুখ দেখেছে ব্রাজিলও। দুর্বল প্যারাগুয়েকে ৪-০ ব্যবধানে পরাজিত করে তারা। ম্যাচের ২৮ মিনিটে মার্কুইনসের পাস থেকে প্রথম গোল করে ব্রাজিলকে এগিয়ে দেয় রাফিনা। ৬ মিনিটে ভিনিসিয়াস জুনিয়রের গোল বাতিল না হলে প্রথম গোলের জন্য এতক্ষণ করতে হত না ব্রাজিলকে। প্রথার্ধে আর কোনও গোল হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধে আসে ম্যাচের বাকি তিনটি গোল। প্রথম গোলের ঠিকানা লেখা পাস বাড়ানো মার্কুইনসেরপাস থেকেই আসে দ্বিতীয় গোল। গোলটি করেন দীর্ঘ দিন অফ ফর্মে থাকা ফিলিপ কুটিনহো। ৮৬ মিনিটে তৃতীয় গোলটি করেন পরিবর্ত ফুটবলার হিসেবে নামা অ্যান্তোনি। দুই মিনিটের ব্যবধানে প্যারাগুয়ের কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দেন সুপার সাব রড্রিগো।
গোটা ম্যাচে ৭৭ শতাংশ বলেরদখল ছিল ব্রাজিলের কাছে। মোট ২২টি শট নিয়েছল তারা যার মধ্যে গোলের মধ্যে ছিল ৮টি। গোটা ম্যাচে ব্রাজিল পাস খেলেছে ৭২৭টি, পক্ষান্তের প্যারাগুয়ের পাস সংখ্যা মাত্র ২১৯।
ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনার ম্যাচের দিনই আরও তিনটি ম্যাচ ছিল কনমেবল বিশ্বকাপ অর্জনকারী পর্বে। প্রথম খেলায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে ৩-২ গোলে বলিভিয়াকে পরাজিত করে চিলি। দুর্বল ভেনিজুয়েলাকে উরুগুয়ে চারটি গোল মারলেও ক্লিনশিট রাখতে পারেনি। ম্যাচের ফল ৪-১। এ দিনের শেষ খেলায় মুখোমুখি হয়েছিল পেরু এবং ইকুয়েডর। শুরুতেই পেরু পিছিয়ে পড়লেও দ্বিতীয়ার্ধে সমতা ফিরিয়ে আনে তারা। ১-১ ব্যবধানে শেষ হয় ম্যাচ।