বিশ্বকাপের আড্ডাতেই এআইএফএফ কর্তাদের তুলোধনা করলেন কম্পটন দত্ত
বিশ্বকাপে নিজের ডার্ক হর্স হিসেবে বেলজিয়ামকে বেছে নিলেন কম্পটন দত্ত। এছাড়া বিশ্বকাপ জয়েরল লড়াইতে ব্রাজিল-জার্মানি-স্পেনকে বেছেছেন তিনি।
আর কয়েক দিনের অপেক্ষা, তার পরই রাশিয়ায় বসতে চলেছে ২০১৮ ফুটবল বিশ্বকাপের আসর। বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে সমর্থকদের মতো উত্তেজিত ভারতীয় ফুটবলের প্রাক্তন নক্ষত্ররাও। বিশ্বকাপের আগে মাইখেল বাংলার সঙ্গে বিশ্বকাপের আড্ডায় দীর্ঘ আট বছর ভারতীয় দলের জার্সি গায়ে মাঠ দাপানো কম্পটন দত্ত। এশিয়ান গেমসেও ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন তিনি। শুধু দেশের জার্সিতেই নয়। ১২ বছর মোহনবাগানের জার্সিতে কম্পটন দাপিয়ে বেড়িয়েছেন ময়দানী ফুটবল।
প্রশ্ন:
বিশ্বকাপের
প্রস্তুতি
শুরু
করে
দিয়েছে
ফুটবল
সমর্থকেরা।
একজন
ফুটবল
প্রেমী
মানুষ
হিসেবে
কী
ধরনের
ফুটবলের
সাক্ষী
থাকতে
চাইছেন
২০১৮
বিশ্বকাপে?
উত্তর:
বিশ্বকাপে
সুযোগ
পাওয়াটা
মুখের
কথা
নয়।
এই
মঞ্চে
সকলেই
ভাল
পারফর্ম
করতে
চায়।
যে
তরুণ
প্রজন্ম
এই
বিশ্বকাপে
অংশ
নেবে
বিভিন্ন
দেশের
জার্সিতে,
তারা
চাইবে
নিজেদের
উজার
করে
দিতে।
কারণ
এই
বিশ্বকাপে
ভাল
ফলই
ভবিষ্যতে
বিশ্বের
বড়
ক্লাবগুলির
দরজা
খুলে
দিতে
পারে
তাঁদের
জন্য।
সব
মিলিয়ে
উত্তেজক
ফুটবল
আশা
করছি।
প্রশ্ন:
রাশিয়া
বিশ্বকাপের
আগে
কোন
দলকে
এগিয়ে
রাখবেন?
উত্তর:
ব্রাজিল,
জার্মানি,
ফ্রান্স
এবং
স্পেন-
এই
চারটি
দলকে
আমি
এগিয়ে
রাখব।
চ্যাম্পিয়ন
কে
হবে
তা
এখনই
বলা
সম্ভব
নয়,
তবে
ফুটবলের
চারটে
বিভাগ
অর্থৎ
গোলকিপিং,
ফরওয়ার্ড
লাইন,
মিডফিল্ড
এবং
ডিফেন্স-
এই
চার
বিভাগের
সমন্নয়ে
যে
দল
ভাল
খেলবে
সেই
দলই
চ্যাম্পিয়ন
হওয়ার
অন্যতম
দাবিদার।
প্রশ্ন:
গত
বিশ্বকাপে
ব্রাজিলের
পারফরম্যান্সের
গ্রাফ
একেবারেই
ভাল
ছিল
না।
ব্রাজিলকে
এগিয়ে
রাখার
কারণ
কী?
উত্তর:
পাঁচবারের
বিশ্ব
চ্যাম্পিয়ন
ব্রাজিল।
এছাড়া
টিটের
কোচিংয়ে
নতুন
করে
যে
ব্রাজিল
টিম
গড়ে
উঠেছে
সেই
দলের
ধারাবাহিকতা
আছে।
তারুণ্যে
ভরুপুর
দল।
দলের
পাঁচ-সাত
জন
ফুটবলার
যদি
নিজেদের
দক্ষতার
উর্ধ্বে
উঠে
খেলতে
পারে
তাহলে
ব্রাজিলের
কাছ
থেকে
ভাল
পারফরম্যান্স
আশা
করা
যেতেই
পারে।
প্রশ্ন:
গত
বারের
চ্যাম্পিয়ন
জার্মানি
কি
এই
বিশ্বকাপেও
নিজেদের
আধিপত্য
বজায়
রাখতে
পারবে?
উত্তর:
এই
দলটা
ব্যক্তি
নির্ভর
ফুটবল
খেলে
না।
এরা
দলগত
খেলাটা
খেলে।
এগারো
জনই
লড়াই
চালায়।
ফলে
জার্মানিকে
হারানোটা
কঠিন।
অন্তত
সেমিফাইনাল
পর্যন্ত
যাওয়ার
ক্ষমতা
আছে
এই
দলের।
প্রশ্ন:
জার্মানি
গত
বার
খেতাব
জিতলেও,
রানার্স
দল
কিন্তু
ছিল
আর্জেন্টিনা।
এই
বিশ্বকাপে
কি
দীর্ঘদিনের
অধরা
খেতাব
ঘরে
তুলতে
পারবে
সাম্পাওলির
দল?
উত্তর:
আর্জেন্টিনা
দলটার
মধ্যে
একাধিক
দক্ষ
ফুটবলার
থাকলেও
সঙ্গবদ্ধ
ভাবে
দেশের
জার্সিতে
এরা
ভাল
খেলতে
পারেনা,
যেমনটা
ক্লাবের
জার্সিতে
এদের
খেলতে
দেখা
যায়।
এছাড়া
আর্জেন্টিনা
মূলত
মেসি
নির্ভর
ফুটবল
খেলে।
১৯৮৬
সালে
মারাদোনা
যে
ফুটবল
খেলে,
একার
কাঁধে
আর্জেন্টিনাকে
চ্যাম্পিয়ন
করেছিল
সেই
ফুটবল
কিন্তু
মেসি
খেলতে
পারবে
না।
আর্জেন্টিনাকে
২০১৮
বিশ্বকাপে
সাফল্য
পেতে
হলে
টিম
গেমের
উপর
নির্ভর
করতে
হবে।
প্রশ্ন:
ইতালির
না
থাকাটা
কী
বিশ্বকাপের
জৌলুস
কিছুটা
হলেও
কমাবে?
উত্তর:
বিশ্বকাপ
ফিকে
হওয়ার
জায়গায়-ই
নেই।
যারা
এই
বিশ্বকাপে
যোগ্যতা
অর্জন
করেছে
তাদেরকে
কোনও
ভাবেই
ছোট
করে
দেখা
যাবে
না।
এই
মঞ্চের
লড়াইটাই
আলাদা।
তবে,
কোথাও
হয়তো
একটা
কমতি
থাকবে।
প্রশ্ন:
দীর্ঘ
২৮
বছর
পর
ফের
বিশ্বকাপের
যোগ্যাতা
অর্জন
করেছে
ইজিপ্ট।
এই
বিশ্বকাপে
আপনি
কতটা
আশাবাদী
ইজিপ্টকে
নিয়ে?
উত্তর:
ইজিপ্ট
খারাপ
পারফর্ম
করবে
না
বলেই
আমি
মনে
করি।
সালাহ
এখনও
খেলতে
পারবে
কি
না,
তা
নিশ্চিত
নয়।
ও
যদি
খেলতে
পারে
তাহলে
তা
বাড়তি
পাওনা
হবে
ইজিপ্টের
জন্য।
বিশ্বকাপের
মঞ্চে
কোনও
দলই
সহজে
হাল
ছাড়ে
না।
ইজিপ্টও
চেষ্টা
করবে
নিজেদের
একশো
শতাংশ
দেওয়ার।
তবে,
খুশ
বেশি
কিছু
আমি
আশা
করছি
না।
প্রশ্ন:
এই
বিশ্বকাপে
আপনার
ডার্ক-হর্স
কে?
উত্তর:
এই
বিশ্বকাপে
আমার
ডার্ক-হর্স
বেলজিয়াম।
এই
দলটার
ছয়-সাত
জন
ফুটবলার
বিশ্ব
ফুটবলের
সর্বোচ্চ
স্তরে
খেলে।
ইউরোপের
বিভিন্ন
ক্লাবে
খেলে
এরা।
লুকাকু,
কোম্পানি,
হ্যাজার্ড,
ফেলেনি-এর
মতো
ফুটবলাররা
যে
কোনও
সময়
ম্যাচের
রং
বদলে
দিতে
পারে।
বেলজিয়াম
ভাল
ফল
করলে
আমি
অবাক
হব
না।
প্রশ্ন:
বিশ্ব
ফুটবলে
একাধিক
নতুন
দেশ
উঠে
এলেও
ভারত
কেন
বারবার
ব্যর্থ
হচ্ছে?
উত্তর:
ভারতীয়
ফুটবল
আজ
যে
পরিস্থিতিতে
দাঁড়িয়ে,
তাতে
প্লেয়ারদের
থেকে
কর্মকর্তারা
বেশি
দায়ী।
এআইএফএফ
এবং
ফুটবলে
রাজ্য
সংগঠনগুলি
এই
ব্যর্থতার
জন্য
কোনও
ভাবেই
নিজের
দায়
এড়াতে
পারে
না।
ভারত
সরকারও
এর
জন্য
কোনও
অংশে
কম
দায়ী
নয়।
এআইএফএফ-এ যে কর্তারা ফুটবল প্রশাষক হিসেবে রয়েছে তাঁদের কোনও যোগ্যতা নেই ভারতীয় ফুটবলকে ঠিক পথে পরিচালণা করার। পাশাপাশি আমাদের দেশের ইউথ ডেভেলপমেন্ট প্রোজেক্ট খুব খারাপ, সাপ্লাই লাইন-ও ভাল নয়। যে কোচেদের হাতে অ্যাকাডেমিগুলির দায়িত্ব আছে, তারা কতটা যোগ্য সেই বিষয়েও সংশয় রয়েছে। ফলে এই বিষয়গুলির পরিবর্তন না হলে ভারতীয় ফুটবলেরও উন্নতি কখনই সম্ভব নয়।
[আরও পড়ুন:সঠিক পরিকল্পনা করে না এগোলে, উন্নতি মুশকিল ভারতীয় ফুটবলের, জানিয়ে দিলেন অসীম]
[আরও পড়ুন:বিশ্বকাপের আগে একান্ত সাক্ষাৎকারে চুল চেরা বিশ্লেষণ অভিজিতের]