AFC Cup : ইন্টার জোনাল সেমিফাইনালে পর্যুদস্ত এটিকে মোহনবাগান, ৬ গোলের শোচনীয় হার
এএফসি কাপের ইন্টার জোনাল সেমিফাইনালে উজবেকিস্তানের এফসি নাসাফের বিরুদ্ধে ০-৬ গোলে হারল এটিকে মোহনবাগান।
গ্রুপ পর্বে অসাধারণ পারফরম্যান্স করেও এএফসি কাপের নক আউট পর্বে শোচনীয় পরাজয়ের সম্মুখীন হল এটিকে মোহনবাগান। টুর্নামেন্টের ইন্টার জোনাল সেমিফাইনালে উজবেকিস্তানের ক্লাব এফসি নাসাফের বিরুদ্ধে পর্যুদস্ত হল কলকাতার ক্লাব। ০-৬ গোলের বড় ব্যবধানে ম্যাচ হেরেছে সবুজ-মেরুন। প্রতি আক্রমণ নির্ভর রণনীতিতে মাঠে নেমে কার্যত দাঁড়াতে পারেনি আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের দল।
এএফসি কাপের ইন্টার-জোনাল সেমিফাইনালে নিজেদের ঘরের মাঠেই এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছিল এফসি নাসাফ। ৪-৪-১-১ ছকে দল সাজিয়ে মাঠে নেমে প্রথম থেকেই আক্রমণে ঝাঁপাতে থাকে উজবেকিস্তানের ক্লাব। অন্যদিকে পরিচিত ৩-৫-২ ছক অর্থাৎ ডিফেন্সিভ ছকে দল সাজিয়েও উজবেকদের আক্রমণ সামলাতে পারেনি আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের দল। প্রতি আক্রমণে উঠে নিজেদের জন্য সেভাবে সুযোগ তৈরি করতে ব্যর্থ হল এটিকে মোহনবাগান।
লাগাতার আক্রমণ শানিয়ে ম্যাচের ৪ মিনিটের মাথাতেই প্রথম গোল পেয়ে যায় এফসি নাসাফ। ডিফেন্ডার প্রীতম কোটালের আত্মঘাতী গোলে শুরুতেই পিছিয়ে যায় এটিকে মোহনবাগান। এরপরই ম্যাচ থেকে কার্যত হারিয়ে যায় কলকাতার ক্লাব। এফসি নাসাফ ক্লাবের আক্রমণের ঝড় সামলাতে নাজেহাল হয়ে যায় হাবাসের দল। সবুজ মেরুন ডিফেন্সের ফাঁক ফোকরগুলির সুবিধা নিয়ে একের পর এক গোল করে যায় উজবেকিস্তানের ক্লাব।
এটিকে মোহনবাগানকে ম্যাচেক প্রথমার্ধেই আরও চার গোল দেয় এফসি নাসাফ। হ্যাটট্রিক করেন হুসেন নোরচায়েভ। ম্যাচের ১৮ মিনিটে প্রথম গোল আসে তাঁর বুট থেকে। ২১ মিনিটের মাথায় দ্বিতীয় গোল করে হুসেন। ৩১ মিনিটের মাথায় তৃতীয় গোল করে হ্যাটট্রিক করার পাশাপাশি দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান নোরচায়েভ। প্রথমার্ধের সংযুক্ত সময়ে গোল করে এফসি নাসাফের হয়ে ব্যবধান বাড়ান ওইবেক বোজোরভ। ০-৫ গোলে পিছিয়ে থেকেই প্রথমার্ধ শেষে সাজঘরে ফেরে এটিকে মোহনবাগান।
দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা লড়াইয়ে ফেরার চেষ্টা করে এটিকে মোহনবাগান। যদিও রয় কৃষ্ণ ও ডেভিড উইলিয়ামসদের মাঠে সেভাবে খুঁজে পাওয়া যায়নি। মৃয়মান দেখিয়েছেন মনবীর সিং, লেনি রডরিগেজ, শুভাশিস বোসদের। উল্টে বারবার আক্রমণে উঠে এটিকে মোহনবাগানকে একাধিকবার পতনের মুখে ঠেলে দেয় এফসি নাসাফ। ৭১ মিনিটের মাথায় ম্যাচের ষষ্ঠ গোলটি করে উজবেকিস্তানের ক্লাব। ৬ গোলের ব্যবধানেই ম্যাচ হারতে হয়েছে সবুজ-মেরুনকে।
ম্যাচে ৪৩ শতাংশ বলের দখল নিজেদের কাছে রাখতে সক্ষম হয়েছেন রয় কৃষ্ণরা। নিজেদের মধ্যে ৪২২টি পাস খেললেও গোলমুখে মাত্র একটি শট মারতে সক্ষম হয়েছেন রয় কৃষ্ণরা। অন্যদিকে বারবার আক্রমণে উঠে এটিকে গোলমুখে ২৯টি শট মারে এফসি নাসাফ। তার মধ্যে ১০টি শট লক্ষ্যে রাখতে সক্ষম হয় উজবেক ক্লাব।