এশিয়ান কাপ ২০১৯, ওঁত পেতে নীল ব্যাঘ্রর দল! যোদ্ধা হস্তিবাহিনীর মোকাবিলায় ভরসা সন্দেশদের রক্ষণ
এএফসি এশিয়া কাপ ২০১৯-এর ভারত বনাম থাইল্যান্ড ম্যাচের প্রিভিউ। এছাড়াও জেনে নিন কখন ও কোথায় ম্যাচ দেখা যাবে।
২০১৬-২০১৭ দুই বছর ধরে যোগ্যতা অর্জনের ম্য়াচ খেলতে হয়েছে। তারপর গত একটা বছর ধরে প্রতীক্ষা আর একের পর এক ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলে খেলে দক্ষতায় শান দেওয়া। অবশেষে রবিবার (৬ জানুয়ারি) আবু ধাবির আল নাহিয়ান স্টেডিয়ামে থাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে এএফসি এশিয়ান কাপ ২০১৯ অভিয়ান শুরু করতে চলেছেন সুনীল ছেত্রিরা।
খাতায়-কলমে ভারতের থেকে পিছিয়ে আছে থাইল্যান্ড। ফিফা ক্রমতালিকায় যেখানে এখন ভারত রয়েছে ৯৭ নম্বরে, সেখানে থাইল্য়ান্ড রয়েছে ১১৯তম স্থানে। সম্প্রতি এএফএফ কাপেও সেমিফাইনাল থেকেই ছিটকে যেতে হয়েছে মালয়েশিয়ার কাছে হেরে। কিন্তু তাদের তীব্র গতি ও স্ট্রাইকারদের সাম্প্রতিক ফর্ম এবং তার পাশাপাশই ভারতীয় স্ট্রাইকারদের গোল-খরা ভারতের জন্য চিন্তার কারণ হয়ে উঠতে পারে।
যোদ্ধা হস্তিবাহিনীর খবর
থাইল্য়ান্ড ফুটবল দলকে তাঁদের সমর্থকরা ভালবেসে ডাকেন 'ওয়ার এলিফ্য়ান্টস' বা 'যোদ্ধা হস্তিবাহিনী' বলে। তাদের দলের খেলোয়াড়দের গতি কিন্তু হাতি নয় বরং চিতার সঙ্গে তুলনীয়। শুধু তাই নয়, এই মুহূর্তে আগুনে ফর্মে আছেন তাদের স্ট্রাইকাররা। এএফএফ কাপে সেমিফাইনালে হারতে হলেও ৬ ম্যাচে থাইল্য়ান্ড গোল করেছিল ১৭টি!তাদের আক্রমণভাগের ফুটবলার অদিসাক ক্রাইসর্ন ৮ টি গোল করে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোল দাতা হন।
এএফএফ কাপে কিন্তু খেলেননি তাদের তারকা ফুটবলার তিরাসিল দাঙ্গদা ও চানাথিপ সংক্রাসিন। রবিবার সন্ধ্যায় কিন্তু তাঁদের দুজনকেই খেলাবেন, তাদের চেক কোচ মিলোভান রাজেভাচ।
ভারতের পক্ষে আশার খবর, 'উড়ন্ত কাওয়িন' নামে খ্যাত থাইল্যান্ডের প্রথম গোলরক্ষক কাওয়িন থামসাতচানান চোটের জন্য এই ম্যাচে খেলতে পারবেন না। এছাড়া দলে কোনও চোট আঘাতের সমস্য়া নেই।
নীল ব্যঘ্র-বাহিনীর খবর
থাইল্যান্ড যদি 'ওয়ার এলিফ্যান্টস' হয় তাহলে ভারতও 'ব্লু টাইগার্স' বা 'নীল ব্যাঘ্র-বাহিনী'। হাতিদের আক্রমণে ক্রাইসর্ন-সংক্রাসিনরা থাকলে নীল বাঘেদের রক্ষণেও থাকছেন সন্দেশ-আনাস'রা। ভারতের রক্ষণও কিন্তু চিন-ওমানকে রুখে দিয়েছে। জর্ডনের বিরুদ্ধে একটি জঘন্য গোল খেলেও শেষ প্রহরী গুরপ্রিতও চমৎকার ফর্মে আছেন।
নাকের চোটের জন্য আইএসএল-এ ক্লাব ম্যাচ খেলছিলেন না প্রণয় হালদার। কিন্তু গত সপ্তাহে ওমনের বিরুদ্ধে ক্লোজ ডোর ম্যাচে তাঁকে খেলিয়েছেন কনস্টানটাইন। মাঝমাঠে তিনি খেললে অনিরুধ থাপা আক্রমণেও যোগ দিতে পারবেন। তবে থাইল্যান্ড ম্যাচে বেশি ওপরে ওঠার সুযোগ নাও পেতে পারেন তিনি।
আক্রমণে অভিজ্ঞ সুনীল ছেত্রি ছন্দেই আছেন। কিন্তু, গোল উবে গিয়েছে জেজের পা থেকে। ২০১৮সালের জুলাই মাসের পর থেকে না জাতীয় দল, না ক্লাব কোনও জার্সিতেই একটিও গোল পাননি তিনি। তাঁর বিকল্প বলবন্তেরও একই অবস্থা।
প্রথম পছন্দের দুই উইঙ্গার উদান্ত সিং ও হোলিচরন নার্জারির পা থেকে বেশি গোল না এলেও গোলের সুযোগ তারি করতে তাঁরা ওস্তাদ। তাঁদের গতি কিন্তু থাইল্যান্ডের ফুল ব্য়াকদের নির্বিষ করতে কাজে আসবে।
মুখোমুখি দ্বৈরথের ইতিহাস
মুখোমুখি লড়াইতে কিন্তু এগিয়ে আছে থাইল্যান্ডই। রবিবারের ম্য়াচের আগে এখনও পর্যন্ত ফুটবল মাঠে ২১ বার মুখোমুখি হয়েছে ভারত ও থাইল্যান্ড।
থাইল্যান্ড
জয়ী
-
১১
ভারত
জয়ী
-
৪
অমিমাংসিত
-
৬
দুই দলের সম্ভাব্য প্রথম একাদশ
থাইল্যান্ড (৪-২-৩-১): চাতচাই বুদপ্রম, থিরাথন বুনমথন, পানসা হেমভিবুন, চালের্মপং কেরদ্কায়েও, ট্রিস্চান ডো, থিতিপান পুয়াংচান, তানাবুন কেসারাত, সুমন্যা পুরিসাই, চানাথিপ সংক্রাসিন, আদিসাক ক্রাইসর্ণ, তিরাসিল দাঙ্গদা
ভারত (৪-৪-২): গুরপ্রিত, নারায়ণ দাস, আনাস এডাথোড়িকা, সন্দেশ ঝিঙ্গান, প্রীতম কোটাল, হোলিচরন নার্জারি, প্রণয় হালদার, অনিরুধ থাপা, উদান্ত সিং, সুনীল ছেত্রি, জেজে লালপেখলুয়া
কখন কোথায় দেখবেন?
ভারত
বনাম
থাইল্যান্ড
স্থান
-
আল
নাহিয়ান
স্টেডিয়াম,
আবু
ধাবি
তারিখ
-
রবিবার,
৬
জানুয়ারি
সময়
-
ভারতীয়
সময়
সন্ধ্যা
৭টা
টিভি
চ্যানেল
-
স্টার
স্পোর্টস
২
/
২
এইচডি
অনলাইন
-
হটস্টার.কম
(২,৪,৫ ছবি সৌ. - টুইটার / ইন্ডিয়ান ফুটবল)