ভারত বনাম বাহরিন - আশ্চর্য সমাপতন! কেটে গিয়েছে ৮ বছর, রয়ে গিয়েছেন ৪ প্রতিদ্বন্দ্বী
ভারত বনাম বাহরিন, এএফসি এশিয়ান কাপ ২০১৯-এর ম্যাচে উভয় পক্ষের দুইজন করে খেলোয়াড় তাদের আট বছরের পুরনো শত্রুতা ঝালিয়ে নিতে প্রস্তুত।
আশ্চর্য সমাপতন! এছাড়া আর কীই বা বলা যায়। সোমবার এশিয়ান কাপ ২০১৯-এর গ্রুপ-এ'র ম্যাচে শারজার মাঠে বাহরিনের মুখোমুখি হয়েছিল হচ্ছে ভারত। ঠিক আট বছর আগে ২০১১ সালে, এই ১৪ জানুয়ারি তারিখেই দুইদল এই প্রতিযোগিতারই গ্রুপের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল। ম্যাচটি হয়েছিল শারজা স্টেডিয়াম থেকে ৬৮০ কিলোমিটার দূরে কাতারে।
৯০ মিনিটের শেষে সেই ম্যাচ বাহরিন জিতেছিল ৫-২ গোলে। এক ম্যাচে খেলা বাকি থাকতেই ভারত ছিটকে গিয়েছিল প্রতিযোগিতা থেকে। তারপর থেকে গত আট বছরে বদলে গিয়েছে অনেক কিছুই। ২০১৯-এর ম্যাচের আগের পরিস্থিতিই ধরা যাক, ম্য়াচ ড্র করলেও ভারত নকআউটে যাবে মসৃণভাবে। আর বাহরিন দাঁড়িয়ে রয়েছে একেবারে খাদের ধারে।
কিন্তু এত বদলের মধ্যেও অপরিবর্তিতও রয়েছে - দুই দলের দুজন করে খেলোয়াড় ২০১১ সালের ১৪ জানুয়ারির ম্যাচেও ছিলেন, ২০১৯-এও আছেন। দেখে নেওয়া যাক সেই ৮ বছরের পুরনো ৪ প্রতিদ্বন্দ্বীকে।
সুনীল ছেত্রি (ভারত)
ভারতের বর্তমান দলের আক্রমণভাগের প্রধান ভরসা সুনীল সেই সময় ছিলেন ২৬ বছরের তরতাজা যুবক। ভারত হারলেও সেই ম্যাচে একটি গোলও করেছিলেন তিনি। এশিয়ান কাপে সেটিই তাঁর প্রথম গোল।
|
আবদুলওয়াহাব আল-সফি (বাহরিন)
বাহরিনের বর্তমান অধিনায়ক আল-সফি ২০১১ সালেও মাঝমাঠ সামলানোর দায়িত্বে ছিলেন। তবে সেই ম্য়াচে কিন্তু তাঁর জন্যই ভারত একটি ফ্রিকিক পেয়েছিল। রেনেডি সিং নিয়েছিলেন সেই ফ্রিকিক। তা থেকেই গোল পেয়েছিলেন গৌরামাঙ্গি সিং।
গুরপ্রিত সিং সান্ধু (ভারত)
২০১১ সালের দলে সুব্রত পাল ছিলেন ১ নম্বর গোলরক্ষক। এছাড়া দলে ছিলেন শুভাশীষ রায়চৌধুরিও। গুরপ্রিত ছিলেন দলের তিন নম্বর গোলরক্ষক। ১৮ বছরের গুরপ্রিতকে হাউটন গোটা টুর্নামেন্ট বেঞ্চেই রেখেছিলেন। তারপরের ৮ বছরের অবশ্য গুরপ্রিতের ঝুলিতে নরওয়ের ক্লাব স্তাবেকের হয়ে ইউরোপা লিগ খেলা প্রথম ভারতীয় ফুটবলার হওয়ার মতো সম্মান জুড়েছে। গত তিন বছরে তিনি ভারতীয় দলের প্রধান গোলরক্ষক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন।
|
ওয়ালিদ আল হায়াম (বাহরিন)
গুররপ্রিতের মতো আল হায়াম-ও ২০১১ সালে দলের জয় দেখেছিলেন সাইডলাইনের বাইরে থেকেই। সেই সময় তাঁকে ১০ নম্বর জার্সি দেওয়া হয়েছিল। তাঁকে মাঝমাঠের ফুটবলার হিসেবেই দলে নেওয়া হয়েছিল। গত আট বছরে কিন্তু তিনি নিজেকে মাঝমাঠ থেকে সরিয়ে রক্ষণে প্রতিষ্ঠা করেছেন। মিরোস্লাভ সোকুপের দবলে আল হায়াম খেলেন লেফ্ট সেন্টার হাফ পজিসনে।
সোমবার, ভারতীয় সময় রাত সাড়ে ন'টায় ম্য়াচ শুরু হবে। তার আগে পর্যন্ত সফি ও হায়াম তাঁদের ৮ বছর আগের জয়ের ঢেকুর তুলতে পারেন। পরের ৯০ মিনিট কিন্তু বদলা নিতে মরিয়া সুনীল-গুরপ্রীতদের মোকাবিলা করতে হবে তাঁদের। ঘুমন্ত দৈত্য থেকে ক্ষুধার্ত নীল বাঘ - ৮ বছরে বদলে গিয়েছে যে অনেক কিছুই।