কলকাতার ঠান্ডায় কাবু! বিশ্বের সবচেয়ে শীতল গ্রামের সম্পর্কে জানেন কি
কলকাতার ঠান্ডায় অনেকের দাঁতে দাঁত লেগে যাচ্ছে। তবে বিশ্বের সবচেয়ে শীতল গ্রাম সম্পর্কে জানেন কি
কলকাতা সহ সারা রাজ্যে দারুণ ঠান্ডা পড়েছে। এমনকী এবছর সারা দেশেই ঠান্ডার আমেজে গা ভাসিয়েছে সাধারণ মানুষ। উত্তর ও পূর্ব ভারতে ঠান্ডার দাপট অব্যাহত। পাশাপাশি দক্ষিণ ও পশ্চিম ভারতেও আবহাওয়া বেশ মনোরম। কলকাতার ঠান্ডায় অনেকের দাঁতে দাঁত লেগে যাচ্ছে। জেলাতেও অনেকে বেশ কয়েকদিন হল স্নান বন্ধ করে দিয়েছেন।
ঘটনা হল এই ঠান্ডাতেই যদি সকলের এই অবস্থা হয় তাহলে বিশ্বের সবচেয়ে শীতল গ্রামের তাপমাত্রা ও জীবনযাত্রা সম্পর্কে জানলে ভিড়মি খাওয়া অস্বাভাবিক নয়। সেই গ্রামটি রয়েছে রাশিয়ায়।
শীতলতম গ্রাম
ওইময়াকোন নামের এই গ্রামটি রাশিয়ায় অবস্থিত। বিশ্বের সবচেয়ে শীতল গ্রাম নামে এটি পরিচিত। জানুয়ারি মাসে এই গ্রামে গড় তাপমাত্রা থাকে মাইনাস ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সবচেয়ে কম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১৯২৪ সালে মাইনাস ৭১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ওইময়াকোন
ওইময়াকোন শব্দের অর্থ হল জমাট বাঁধেনি এমন জল। কারণ এখানে একটি উষ্ণ প্রস্রবন রয়েছে। এখানে শিকারে আসা ব্যক্তিরা আগে উষ্ণ প্রস্রবনের জল ব্যবহার করত।
পাঁচশো জনের বাস
আবহাওয়ার দিক থেকে বসবাসের অযোগ্য হলেও এমন কঠিন পরিস্থিতিতেও এই গ্রামে মানুষ বাস করে। সবমিলিয়ে এই গ্রামে মানুষের সংখ্যা ৫০০ জন। সারা গ্রামে বাড়ির ভিতর গরম রাখতে কাঠ বা কয়লার আগুন জ্বলে।
খাদ্যাভ্যাস
গ্রামে চাষবাস করা সম্ভব নয় খারাপ আবহাওয়া ও বরফাবৃত অবস্থার জন্য। তাই গ্রামবাসীদের মূল খাদ্য বল্গাহরিণ ও ঘোড়ার মাংস। তবে আশ্চর্য়ের বিষয় হল কেউ এই গ্রামে অপুষ্টিতে ভোগে না। পশুর দুধ খায় সকলে। তাতে থাকা মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস শরীরের পুষ্টিগুণ ধরে রাখে।
কঠিন জীবন
এই গ্রামে পেনে লেখা যায় না কারণ তা জমে থাকে, গ্লাসে জল খেতে গেলে তা মুহূর্তে জমে যায়। গাড়ি সবসময় স্টার্ট দিয়ে গরম রাখতে হয়। একবার বন্ধ হয়ে জমে গেলে ইঞ্জিন স্টার্ট হবে না। মারাত্মক ঠান্ডার কারণে মোবাইল কাজ করে না। ফলে নেটওয়ার্কও নেই।
গ্রীষ্মে ওইময়াকোন
জুন থেকে অগাস্টের মধ্যে এখানে তাপমাত্রা মাইনাসে থাকে না। তবে দুই অঙ্কের সংখ্যাও ছাড়ায় না। দিনের তাপমাত্রাও বেশ মনোরম থাকে। তবে অক্টোবর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত পুরোটাই বরফে ঢাকা থাকে শুরু নয়, কমপক্ষে গড়ে তাপমাত্রা থাকে মাইনাস ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে কলকাতার ঠান্ডায় কষ্ট পাওয়া বাঙালিরা এই অবস্থার কথা ভেবে মনে মনে উষ্ণতা অনুভব করতে পারেন।